বদিউল আলম মজুমদার
সার্চ কমিটি চাইলে অনেক কিছু করার আছে

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে একটি অনুসন্ধান কমিটি বা সার্চ কমিটির গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি কেমন হলো জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এটা দেখার বিষয়। বিক্ষ তার পরিচয় ফলে। সার্চ কমিটি চাইলে তাদের অনেক কিছু করার আছে।’
গঠিত অনুসন্ধান কমিটি প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে আইনের ভিত্তিতে এটা (সার্চ কমিটি) করা হলো আইনটাই ত্রুটিপূর্ণ। কারণ আইনটা আগের অনুসন্ধান কমিটির যে প্রজ্ঞাপন ছিল ওটারই আইনের খোলস পরানো হয়েছে। আগের অনুসন্ধান কমিটি পোস্ট অফিসের ভূমিকা পালন করেছে। সরকার যে সকল নাম গুলো ধরিয়ে দিয়েছে সেগুলোই তারা মূলত সুপারিশ করেছে।
তিনি বলেন, সদ্য পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের ৪ (১) ধারায় বলা আছে এই কমিটি সততার সঙ্গে এবং নিরপক্ষেভাবে দায়িত্ব পালন করবে। দায়িত্ব পালন করে সৎ এবং সুনাম সম্পন্ন লোকদের সুপারিশ করবে। আসলে সততা এবং সুনামের কোনো মানদণ্ড নাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রস্তাব হলো সার্চ গণশুনানি করে সত্যিকার অর্থে অনুসন্ধান করবে। অনুসন্ধান করে তারা চূড়ান্ত তালিকা রাস্ট্রপতির কাছে প্রেরণের আগে একটা চূড়ান্ত তালিকা এবং তার সঙ্গে একটা প্রতিবেদন কোন যুক্তিতে কোন কারণে এই ১০ জন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করেছে। জনমতামত যদি নেওয়া হয় তাহলে সঠিক ব্যক্তি যোগ্য ব্যক্তি পাওয়া সম্ভব।
সার্চ কমিটির একজন সদস্য নিয়ে কথা উঠেছে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন এই প্রেক্ষপটে তার পক্ষে কতটুক নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা সম্ভব?
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি। ওনার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল তার সঙ্গে কাজও করেছি যখন ইসিতে ছিলেন। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না। এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা বিবর্জিত হবে।
তিনি বলেন, যাদের নিয়োগ করা হয়েছে সেটা সঠিক পদ্ধতিতে করা হয়নি। আমরা প্রস্তাব করেছিলাম তিন জন সংসদ সদস্য সার্চ কমিটিতে থাকবেন। একজন বিরোধী দলীয় নেতা থাকবেন। তবুও অনুসন্ধান কমিটি চাইলে তারা অনেক কিছু করতে পারবে। তারা যদি সৎ ইচ্ছা প্রদর্শন করতে চায়, তারা যদি আইনের ৪ ধারায় সততা এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সৎ এবং সুনামসম্পন্ন ব্যক্তিদের তারা নিয়োগ সুপারিশ করবেন। তাদের অনেক কিছু করার আছে যদি তারা করতে চায়। এখন এটাই দেখার বিষয়। তারা যদি মনে করে আমার কাজ আমি করব কার কি হলো দেখার নাই। এটা করলে নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে আস্থার সংকট সেটা আরও প্রকট হবে। ইসি এবং নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থার সংকট প্রকট হবে, ব্যাপক হবে। ভয়াবহ আকারণ ধারণ করবে। যেটা আমাদের মহাবিপদের দিকে ধাবিত করবে।
এসএম/
