সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি : শুল্কে ‘অনিয়ম’ খুঁজতে কমিটি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলো কীভাবে সম্পাদন করা হয়েছে, তাতে কোনো ত্রুটি ছিল কি না, শুল্ক পরিহার বা প্রত্যাহারের বিষয় রয়েছে কি না; এমন আরও প্রশ্ন সামনে রেখে তদন্তে নামছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

এই কাজে আট কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আদেশ জারি হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম এই কমিটি অনুমোদন করেছেন। আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে কমিটির তদন্তকাজ।

ভারতের বিতর্কিত শিল্পপতি গৌতম আদানির মালিনাধীন বহুজাতিক কোম্পানি আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার অভিযোগ রয়েছে।

বিপুল অঙ্কের শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ থাকা ধনকুবের গৌতম আদানি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদপুষ্ট হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গড্ডায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপন করে আদানি। সেই কেন্দ্রের জন্য কয়লা কিনতে ঢাকার কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে, যা নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়।

এরই মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করে আদানি দ্বিগুণ মুনাফা করছেন। নানা কারণে শেখ হাসিনার আমলে হওয়া এই ব্যয়বহুল চুক্তি বাতিলের দাবিও উঠেছে।

এমন অবস্থায় আদনির সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তিতে শুল্ক-কর বিষয়ে অনিয়ম রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অধিপ্তরের যুগ্ম পরিচালক এদিপ বিল্লাহকে। এতে একজন সদস্য সচিব ও ছয়জনকে সদস্য রাখা হয়েছে।

অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় আমলে নেওয়া হবে জানতে চাইলে এদিপ বিল্লাহ বলেন, ‌আমরা প্রথমেই আদানির সাথে হওয়া চুক্তিটি দেখব, কী ছিল এখানে।

এরপর দেখব বিদ্যুৎ আমদানি হত কোন কোন শুল্ক স্টেশন দিয়ে এবং সে ক্ষেত্রে তাদের ডিক্লারেশন (ঘোষণা) কী ছিল।

যে এইচএস কোডের মাধ্যমে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে, সেটি কাস্টমস আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, সেটিও দেখা হবে বলে তথ্য দিয়েছেন কমিটির এই আহ্বায়ক।

এদিপ বিল্লাহ বলেন, চুক্তি দিয়ে শুরু করব। কারণ এ ক্ষেত্রে কাস্টমস আইন পরিপালন সঠিকভাবে হয়েছে কি না, দেখার আছে। রবিবার থেকে কমিটির কাজ শুরু হবে।

কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে এই অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে।

কমিটি কার্যপরিধির বিবরণ অনুযায়ী, আদানির বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের নির্ধারিত মূল্য এবং তাতে শুল্ক-কর প্রযোজ্য কি না, সেটি যাচাই করা; এ পর্যন্ত আমদানি করা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক-করের পরিমাণ কত এবং তা পরিশোধ করা হয়েছে কি না এসব খতিয়ে দেখতে কমিটি।

আমদানি করা বিদ্যুতের শুষ্ক-কর মওকুফ-সংক্রান্ত কোনো চুক্তি ছিল কি না; থাকলে এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন বা আদেশ জারি হয়েছে কি না- এটিও তদন্ত করবে কমিটি।

কোন কাস্টমস হাউস বা স্টেশন দিয়ে এবং কী প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে এবং আলোচ্য পণ্যের শুল্কায়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে কোনো দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া আছে কি না; এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান এদিপ বিল্লাহ।

যদি অন্য কোনো বিষয় থাকে, যেটি শুল্ক-করের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত; তাও খতিয়ে দেখার এখতিয়ার দেওয়ার হয়েছে কমিটিকে।

এসব বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কমিটিকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাজের সুবিধার জন্য প্রয়োজন হলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: উপ-পরিচালক মুনমুন আকতার দিনা, রাজস্ব কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা পলাশ কুমার মল্লিক, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাহেদ হাসান লিমন।

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও ‘আদানি পাওয়ার’ এর মধ্যে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয়। আদানি পাওয়ার হল বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের আদানি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।

চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি পাওয়ার।

আদানির বিদ্যুৎ দেশে এনে জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে বিশেষ সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন স্থাপনা নির্মাণ করেছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-পিজিসিবি।

গত বছরের ৯ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে ঝাড়খণ্ডের গড্ডা থেকে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন শুরু হয়। সূত্র : বিডি নিউজ

Header Ad

রাতেই দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন সাবেক মুখ্যসচিব কায়কাউস !

ফাইল ছবি

আজ রাতেই যেকোন সময় দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস। জানা গেছে, তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছাড়াও রয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট। আর এসব পাসপোর্ট ব্যবহার করেই যেকোনো সময় এমিরেটস বিমানের একটি ফ্লাইটে করে আজ রাতেই বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতিতে লক্ষ্য কোটি টাকা লুটপাটকারী খলনায়কদের একজন শেখ হাসিনার সাবেক এই মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস। হাসিনার সরকারের দুর্নীতিবাজ' মাফিয়া ব্যক্তিত্ব আহমেদ কায়কাউসের দুর্নীতির বড় উদাহরণ হচ্ছে এই পাসপোর্ট। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ সচিব হয়েও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হয়েছেন আমেরিকার নাগরিক। বিশ্বজুড়ে ঘোরেন দুই দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেই। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আবার সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব। এত বড় প্রতারণা জালিয়াতি কিভাবে করলেন এই কায়কাউস?

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির মহোৎসবের সময়টাতেই যেন সব অনিয়ম দুর্নীতি যায়েজ ছিলো মাফিয়া তন্ত্র কায়েমকারী সবার।

অভিযোগ রয়েছে, সুদূর আমেরিকায় কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন কায়কাউস। আমেরিকায় বাড়ি রয়েছে ডজন খানেক। এছাড়া বেনামে গড়েছেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

আরও অভিযোগ রয়েছে, কায়কাউস তার সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে লুটেপুটে খেয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগে কোন টেন্ডার ছাড়াই একশটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দিয়েছেন। রেন্টাল- কুইক ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার কেন্দ্রগুলোকে  ক্যাপাচিটি চার্জ হিসেবে এক লক্ষ কোটি টাকা গচ্চা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যার বেশির ভাগ টাকা কায়কাউস, নসরুল হামিদ বিপু, তৌফিক-ই- ইলাহী সিন্ডিকেট লুটেপুটে নিয়েছেন।

২০১৯ সালে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব থেকে সেসময়কার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হন আহমদ কায়কাউস। মুখ্য সচিব পদে বসেও নিয়ন্ত্রণ করতেন বিদ্যুৎ বিভাগ । কায়কাউস আর তৌফিক-ই-ইলাহী সিন্ডিকেট গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে লুটেপুটে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ।

দুর্নীতির মাফিয়া আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হয়েও এখানেও আইন ভেঙে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা পরিষদের (ইপিআরসির) চেয়ারম্যান হন। একই সময়ে আইনের তোয়াক্কা না করে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ সিপিজিসিবিএল এরও চেয়ারম্যান হন।

এছাড়া মুখ্যসচিব থাকাকালে চট্টগ্রামে নিজ এলাকা পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর সুচক্রদন্ডী ওয়ার্ডের জন্য এক হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ নেন কায়কাউস। অথচ কোন সংসদীয় আসনের নামেও এমন বরাদ্দ হয় না। দেশের ইতিহাসে ক্ষমতার ভয়ংকর অপব্যবহার করে নিজের ছোট্ট ওয়ার্ডের নামে বরাদ্দ নিয়ে তার পুরোটাই লুটে নেন তিনি। এতে সহায়তা করে নিজেও হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুপক সেন।

তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা লুটপাটে সাহায্য করার পুরস্কার হিসেবে আহমদ কায়কাউসকে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী প্রধান করেন শেখ হাসিনা।

২০২৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে গুঞ্জন ওঠে দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রী হচ্ছেন দেশের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড আহমদ কায়কাউস। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে আর মন্ত্রী হওয়া হয়নি আহমেদ কায়কাউসের।

সৈয়দপুর রেল কারখানা থেকে লোহা ও কয়লা চুরি

ছবি: সংগৃহীত

অভিনব কায়দায় দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা থেকে লোহা ও কয়লা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা কারখানায় এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানা গেছে, চোরেরা গাছ বেয়ে রেলওয়ে কারখানার প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে উপকারখানায় প্রবেশ করে। এরপর কারখানার ফাউন্ড্রি শপের ফার্নেস (চুল্লি) কেটে তিন মেট্রিক টন লোহা ও চার মেট্রিক টন কয়লা চুরি করে নিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ও শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুদিন রেলওয়ে কারখানাটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ থাকে। এই সুযোগে চোরেরা গাছ বেয়ে ওপরে উঠে কারখানার সুউচ্চ প্রাচীর টপকে রেলওয়ে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে। রেলওয়ে কারখানায় মোট ২৬টি শপ (উপ-কারখানা) রয়েছে। এর মধ্যে কারখানার ফাউন্ড্রি শপে ঢুকে শপের ফার্নেস চুল্লি কেটে তিন মেট্রিক টন লোহা ও পাঁচ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যায়।

সূত্রমতে, রেলওয়ে কারখানার সুউচ্চ প্রাচীর ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এভাবে চুরির বিষয়টি অনেককে অবাক করেছে।

উপ-কারখানার নূরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শেখ হাসানুজ্জামান জানান, সুউচ্চ প্রাচীর টপকে কারখানার মালামাল চুরি আমাদের বিস্মিত করেছে। বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা, নৌকা ডুবে নিহত ৮

ফাইল ছবি

পশ্চিম ইউরোপের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।

জানা গেছে, রাবারের তৈরি নৌকাটিতে ৬০ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ইরিত্রিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিলেন।

অবৈধভাবে ইংল্যান্ড প্রবেশের চেষ্টায় প্রায়ই ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে প্রাণহানি ঘটে। এবারের ঘটনা দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে ঘটল। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর কয়েক ডজন অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। এতে ছয় শিশু এবং একজন গর্ভবতী নারীসহ ১২ জন মারা যান।

ফ্রান্সের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরই এটি ডুবে যায়। বিচের উদ্ধারকর্মীরা সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক ৫৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অপরদিকে ছয়জন মারাত্মকভাবে হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে বলেছে, সর্বশেষ ঘটনাটি আরেকটি ভয়ংকর এবং এড়ানো যায় এমন ট্র্যাজেডি ছিল। অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুহার কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি।

শরণার্থী কাউন্সিলের সিইও এনভার সলোমন বলেন, এ ধরনের মৃত্যু চাইলেই এড়ানো সম্ভব। এ জন্য নিরাপদ রুটে অভিবাসীদের গমনাগমন নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

রাতেই দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন সাবেক মুখ্যসচিব কায়কাউস !
সৈয়দপুর রেল কারখানা থেকে লোহা ও কয়লা চুরি
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা, নৌকা ডুবে নিহত ৮
ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান
সেন্সর বোর্ডের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিলেন আশফাক নিপুণ
হারিয়ে যাওয়া ২০০ একর জমি বাংলাদেশকে ফেরত দিতে সম্মত ভারত
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডে থাকছেন যারা
নির্বাচিত সরকারই ঠিক করবে কী সংস্কার হবে: মির্জা ফখরুল
১০০ কোটি নয় কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে লাগছে ১ কোটি টাকারও কম
অবশেষে মিলল শেখ হাসিনার পদত্যাগের চিঠি
রাজশাহীর সাবেক এমপি এনামুল ঢাকায় গ্রেপ্তার
নতুন ডিসির ৫৬ জনই আওয়ামী লীগের তালিকার!
গোপনে দলিলপত্র সরাচ্ছে এস আলম গ্রুপ, এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় ১৫ বস্তা নথি
এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনার অ্যাকাউন্টে তিন কোটি টাকা
পালানোর সময় কিলঘুষি দিয়ে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে আটক
পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ক্ষমতাসীন দল
সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গ্রেপ্তার
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) আজ
মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার জন্য অনুসরণীয় আদর্শ: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস