বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদার

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদার। ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাজেটে সব থেকে বেশি বরাদ্দ পেত পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাত। নতুন সড়ক, সেতু, রেলপথ নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। খাতটিতে বিভিন্ন বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররাও। তবে এসব ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে গত দেড় দশকে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি টাকার কাজ করেছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও তমা কনস্ট্রাকশন। অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)। এছাড়াও তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে থাকা অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রানা বিল্ডার্স, হাসান টেকনো বিল্ডার্স, মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ও মুহাম্মদ আমিনুল হক। দেশের একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। লাকসাম-চিনকি আস্তানা, কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ রেলপথসহ রেলওয়ের একাধিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে রেলের চলমান দুটি প্রকল্পের কাজ করছে ম্যাক্স। এর মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকার। আর আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ প্রকল্পে চীন ও বাংলাদেশের দুই প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকার কাজ করছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। অভিযোগ আছে বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া ঠিকাদারদের অন্যতম তিনি। এ বিষয়ে জানতে গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করেও গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রেলওয়ে ছাড়াও সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ পেয়েছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে সড়কটির একাংশের নির্মাণকাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রেলের আরেক শীর্ষ ঠিকাদার তমা কনস্ট্রাকশন। দোহাজারী-কক্সবাজার ও আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে ৬ হাজার ১৬১ কোটি টাকার কাজ করছে তমা। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আতাউর রহমান ভূঁইয়া।

একসময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি। তমা কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

অন্যদিকে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে শীর্ষে রয়েছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)। সরকারি ক্রয়সম্পর্কিত তথ্যভাণ্ডার সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ১১৩টি কার্যাদেশ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার বেশি। সড়ক, সেতুর পাশাপাশি বিদ্যুৎ, আবাসনসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের কাজও করে এনডিই। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন সরকার।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আরেক শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৪২২টি কার্যাদেশ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। রানা বিল্ডার্সের মালিক মো. আলম।

গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, চার দশকের বেশি সময় ধরে ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত মো. আলমের উত্থান হয়েছে মূলত গত এক দশকে। এর আগে সওজসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ছোট ছোট কাজ করত রানা বিল্ডার্স। তবে ২০১০ সালের পর থেকেই সওজের বড় বড় উন্নয়নকাজ পেতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পটুয়াখালীর শেখ রাসেল সেতু, খেপুপাড়া সেতু, মহিপুর সেতু, জিঞ্জিরা-দোহার মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর মহাসড়ক, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়ক, কাঁচপুর-ভৈরব-সিলেট-জাফলং মহাসড়ক, দৌলতদিয়া-খুলনা-যশোর মহাসড়ক, লাকসাম-মাইজদী মহাসড়ক, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েসহ একাধিক বড় বড় প্রকল্পের কাজ করেছে রানা বিল্ডার্স।

রানা বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আলমের ভাগনে নাজমুল হাসান (পাখি)। তার মালিকানায় থাকা হাসান টেকনো বিল্ডার্স ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৪২০টি কাজ পেয়েছে, যেগুলোর চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। একইভাবে আলমের ভাতিজা জুলফিকার হোসেন মাসুদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে।

রানা বিল্ডার্সের মালিক মো. আলমের দাবি, তারা সব ধরনের নিয়মকানুন মেনেই কাজ পেয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যেসব কাজ পেয়েছি, সবই যথাযথ দরপত্র অনুযায়ী হয়েছে। কোথাও কোনো গরমিল কেউ পাবে না। ২০২০ সালের পর আমাদের কাজের পরিমাণ কমে এসেছে। এজন্য মূলত সরকারের ক্রয় পদ্ধতি (ইজিপি) দায়ী। সড়কে অনেক ঠিকাদার রয়েছে, যাদের কাজ বেশি কিন্তু মূল্য কম। অথচ দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাদের কাজের পরিমাণ বেশি, তাদেরই কাজ দেয়া হয়। এ সুযোগে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে অস্বাভাবিকভাবে কাজ পেয়েছে।’

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আরেক শীর্ষ ঠিকাদার মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। সিপিটিইউর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ১৭৬টি কাজ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। মোজাহার এন্টারপ্রাইজের মালিক কাজী মোজাহারুল হকের বাড়ি খুলনায়। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ঠিকাদারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৬৪১টি কার্যাদেশ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর থেকে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ১৮৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খান মো. আফতাব উদ্দিন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে উঠে এসেছে নওগাঁর মুহাম্মদ আমিনুল হক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নওগাঁর আমিনুল হক। নব্বইয়ের দশকে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত আমিনুল হকের পাওয়া কাজের সংখ্যা হাতে গোনা। এরও একটি অংশ আবার তিনি পেয়েছিলেন অন্য কোম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে।

সিপিটিইউর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৮১১টি কার্যাদেশ পেয়েছে আমিনুল হক লিমিটেড। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল আমিনুল হকের সেলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের শীর্ষ ঠিকাদারের মধ্যে আরো রয়েছে এমএম বিল্ডার্স, মাহফুজ খান, ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স ও আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটির বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যবহার করে কার্যাদেশ বাগিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান করে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন, মাসুদ হাইটেক, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, রানা বিল্ডার্স, হাসান টেকনো বিল্ডার্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‌আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন কিন্তু এক ঠিকাদারের বেশি কাজ পাওয়ার ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে আরো কমে আসবে। আর দেশে কাজের বিপরীতে ঠিকাদারের সংখ্যা কিন্তু কম। তাই অনেক ঠিকাদারকে বেশি বেশি কাজ করতেই হবে।’

এদিকে বিদ্যমান সরকারি ক্রয় পদ্ধতি বাংলাদেশে ঠিকাদারদের বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রত্যেক ঠিকাদারেরই নিজস্ব সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ঠিকাদারের যে পরিমাণ আর্থিক সক্ষমতা, জনবল ও যন্ত্রপাতি রয়েছে, তার চেয়ে তার কাজের পরিমাণ বেশি হলে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। কাজ বিলম্বিত হয়। মান খারাপ হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার বেশি কাজ পায়, সে তৃতীয় পক্ষকে সেটা হস্তান্তর করে। এ ধরনের ঘটনা কাজের গুণগত মান আরো খারাপ করতে ভূমিকা রাখে। এ ধরনের জটিলতা এড়াতে দরপত্র পদ্ধতিতে মৌলিক কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। আহ্বান করা দরপত্রের শর্ত কিছুটা শিথিল করে বেশি বেশি ঠিকাদারদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিলে এ খাতে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। এর বাইরে প্রত্যেক ঠিকাদারের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা সীমারেখা বেঁধে দেয়া উচিত। বলেও মনে করেন তিনি।

Header Ad

সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।

অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।

ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী

সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দুই সাংবাদিকের নামের পাশে সহকারী প্রেস সচিব পদে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর গ্রেড-১ ভুক্ত ৫৩,০৬০ টাকা নির্ধারিত বেতনে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।’

বলা হয়েছে, এই নিয়োগের অন্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

ছবি: সংগৃহীত

মানহানিকর এবং মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করার অভিযোগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ওরিয়ন গ্রুপ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের পক্ষে এর প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মো. শামসুর রহমান এবং টেলিভিশনটির সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ রাফিকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

মামলায় ওরিওন গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন বারবার একটি বিভ্রান্তিকর ও সম্পূর্ন অসত্য প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছে। ওই প্রতিবেদনে মিথ্যা অভিযোগ করে বলা হয় যে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকারকে কোনো বিদ্যুৎ না দিয়েও ওরিয়ন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচার করেছে।

ওরিয়ন গ্রুপ দৃঢ়ভাবে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে। এ কোম্পানি সবসময় জাতীয় নিয়মনীতি পুরোপুরি মেনে ব্যবসা করেছে। বাংলাদেশের আরও শতাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের মতো একই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করেছে ওরিয়ন গ্রুপ। প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে ২০১১ সাল থেকে ওরিয়ন তাদের ছয়টি অত্যাধুনিক, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং সম্পূর্ণরূপে চালু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৬.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরিয়ন গ্রুপ নিশ্চিত করছে যে, কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সমন্বয়ে সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার অর্থায়ন করা হয়েছে। ব্যবসায়িক ঋণ ওরিয়ন ধারাবাহিকভাবে সময়মতো পরিশোধ করে চলছে।

এ ছাড়া দুবাই ও চীনের দুটি বিদেশি কোম্পানি ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন হওয়ার অভিযোগও মিথ্যা। এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ওরিয়নের অংশীদারত্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিডিং প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং কোম্পানি দুটির কোনোটিই ওরিয়নের চেয়ারম্যান বা কোন বাংলাদেশি ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়। ওরিয়ন গ্রুপের কোনো কোম্পানিতে কোনো বহিরাগত রাজনৈতিক মালিকানা নেই।

এসব মিথ্যা দাবি ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার লঙ্ঘনও। যাচাই না করে প্রমাণ ছাড়া এসব প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্দেশ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওরিয়ন গ্রুপের সুনাম নষ্ট করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সত্য প্রতিষ্ঠা এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ওরিয়ন গ্রুপ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের এই উদ্যোগ নিয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: আসিফ নজরুল
সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম: শাবনূর
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মানুষটার শরীর দেখে বারবার আবরারের কথা মনে পড়েছে: সারজিস
দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে
ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ শিক্ষার্থী আটক
সৌদি আরবে হতে পারে আইপিএলের নিলাম
নিউইয়র্কে ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না
শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের মৃত্যু
ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যা দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাড়ে ২০ লাখ টাকা খরচে চালু হচ্ছে কাজিপাড়া স্টেশন
এস আলম গ্রুপের তথ্য চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে দুই দলের সংঘর্ষ, আহত ১৫