বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদার

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদার। ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাজেটে সব থেকে বেশি বরাদ্দ পেত পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাত। নতুন সড়ক, সেতু, রেলপথ নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। খাতটিতে বিভিন্ন বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররাও। তবে এসব ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে গত দেড় দশকে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি টাকার কাজ করেছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও তমা কনস্ট্রাকশন। অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)। এছাড়াও তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে থাকা অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রানা বিল্ডার্স, হাসান টেকনো বিল্ডার্স, মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ও মুহাম্মদ আমিনুল হক। দেশের একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। লাকসাম-চিনকি আস্তানা, কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ রেলপথসহ রেলওয়ের একাধিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে রেলের চলমান দুটি প্রকল্পের কাজ করছে ম্যাক্স। এর মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকার। আর আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ প্রকল্পে চীন ও বাংলাদেশের দুই প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকার কাজ করছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। অভিযোগ আছে বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া ঠিকাদারদের অন্যতম তিনি। এ বিষয়ে জানতে গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করেও গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রেলওয়ে ছাড়াও সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ পেয়েছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে সড়কটির একাংশের নির্মাণকাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রেলের আরেক শীর্ষ ঠিকাদার তমা কনস্ট্রাকশন। দোহাজারী-কক্সবাজার ও আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে ৬ হাজার ১৬১ কোটি টাকার কাজ করছে তমা। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আতাউর রহমান ভূঁইয়া।

একসময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি। তমা কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

অন্যদিকে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে শীর্ষে রয়েছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)। সরকারি ক্রয়সম্পর্কিত তথ্যভাণ্ডার সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ১১৩টি কার্যাদেশ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার বেশি। সড়ক, সেতুর পাশাপাশি বিদ্যুৎ, আবাসনসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের কাজও করে এনডিই। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন সরকার।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আরেক শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৪২২টি কার্যাদেশ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। রানা বিল্ডার্সের মালিক মো. আলম।

গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, চার দশকের বেশি সময় ধরে ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত মো. আলমের উত্থান হয়েছে মূলত গত এক দশকে। এর আগে সওজসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ছোট ছোট কাজ করত রানা বিল্ডার্স। তবে ২০১০ সালের পর থেকেই সওজের বড় বড় উন্নয়নকাজ পেতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পটুয়াখালীর শেখ রাসেল সেতু, খেপুপাড়া সেতু, মহিপুর সেতু, জিঞ্জিরা-দোহার মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর মহাসড়ক, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়ক, কাঁচপুর-ভৈরব-সিলেট-জাফলং মহাসড়ক, দৌলতদিয়া-খুলনা-যশোর মহাসড়ক, লাকসাম-মাইজদী মহাসড়ক, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েসহ একাধিক বড় বড় প্রকল্পের কাজ করেছে রানা বিল্ডার্স।

রানা বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আলমের ভাগনে নাজমুল হাসান (পাখি)। তার মালিকানায় থাকা হাসান টেকনো বিল্ডার্স ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৪২০টি কাজ পেয়েছে, যেগুলোর চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। একইভাবে আলমের ভাতিজা জুলফিকার হোসেন মাসুদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে।

রানা বিল্ডার্সের মালিক মো. আলমের দাবি, তারা সব ধরনের নিয়মকানুন মেনেই কাজ পেয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যেসব কাজ পেয়েছি, সবই যথাযথ দরপত্র অনুযায়ী হয়েছে। কোথাও কোনো গরমিল কেউ পাবে না। ২০২০ সালের পর আমাদের কাজের পরিমাণ কমে এসেছে। এজন্য মূলত সরকারের ক্রয় পদ্ধতি (ইজিপি) দায়ী। সড়কে অনেক ঠিকাদার রয়েছে, যাদের কাজ বেশি কিন্তু মূল্য কম। অথচ দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাদের কাজের পরিমাণ বেশি, তাদেরই কাজ দেয়া হয়। এ সুযোগে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে অস্বাভাবিকভাবে কাজ পেয়েছে।’

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আরেক শীর্ষ ঠিকাদার মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। সিপিটিইউর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ১৭৬টি কাজ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। মোজাহার এন্টারপ্রাইজের মালিক কাজী মোজাহারুল হকের বাড়ি খুলনায়। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ঠিকাদারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৬৪১টি কার্যাদেশ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর থেকে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ১৮৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খান মো. আফতাব উদ্দিন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে উঠে এসেছে নওগাঁর মুহাম্মদ আমিনুল হক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নওগাঁর আমিনুল হক। নব্বইয়ের দশকে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত আমিনুল হকের পাওয়া কাজের সংখ্যা হাতে গোনা। এরও একটি অংশ আবার তিনি পেয়েছিলেন অন্য কোম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে।

সিপিটিইউর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৮১১টি কার্যাদেশ পেয়েছে আমিনুল হক লিমিটেড। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল আমিনুল হকের সেলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের শীর্ষ ঠিকাদারের মধ্যে আরো রয়েছে এমএম বিল্ডার্স, মাহফুজ খান, ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স ও আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটির বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যবহার করে কার্যাদেশ বাগিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান করে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন, মাসুদ হাইটেক, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, রানা বিল্ডার্স, হাসান টেকনো বিল্ডার্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‌আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন কিন্তু এক ঠিকাদারের বেশি কাজ পাওয়ার ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে আরো কমে আসবে। আর দেশে কাজের বিপরীতে ঠিকাদারের সংখ্যা কিন্তু কম। তাই অনেক ঠিকাদারকে বেশি বেশি কাজ করতেই হবে।’

এদিকে বিদ্যমান সরকারি ক্রয় পদ্ধতি বাংলাদেশে ঠিকাদারদের বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রত্যেক ঠিকাদারেরই নিজস্ব সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ঠিকাদারের যে পরিমাণ আর্থিক সক্ষমতা, জনবল ও যন্ত্রপাতি রয়েছে, তার চেয়ে তার কাজের পরিমাণ বেশি হলে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। কাজ বিলম্বিত হয়। মান খারাপ হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার বেশি কাজ পায়, সে তৃতীয় পক্ষকে সেটা হস্তান্তর করে। এ ধরনের ঘটনা কাজের গুণগত মান আরো খারাপ করতে ভূমিকা রাখে। এ ধরনের জটিলতা এড়াতে দরপত্র পদ্ধতিতে মৌলিক কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। আহ্বান করা দরপত্রের শর্ত কিছুটা শিথিল করে বেশি বেশি ঠিকাদারদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিলে এ খাতে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। এর বাইরে প্রত্যেক ঠিকাদারের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা সীমারেখা বেঁধে দেয়া উচিত। বলেও মনে করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক

ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে আটক হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ আছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

তারেক আলমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আদালতে হাজির করতে যাচ্ছে।

অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচার ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, এমন অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচারের অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ টিমও কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!

২৮ জানুয়ারি থেকে চলবে না ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

পেনশন ও নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি রাজধানীর রেল ভবনে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা করছে না। তারা বারবার সময় চাইছে। আমরা মহাপরিচালকের সঙ্গে সভায় আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ২৮ তারিখ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।

ময়মনসিংহ স্টেশনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ।

মো. মজিবুর রহমান বলেন, রেলের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) এবং সাব-লোকোমাস্টার (এসএলএম)। ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।

মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আমরা আন্দোলন করে আসছি।

চট্টগ্রাম বটতলী পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।  

অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয় বলে অনেক রানিং স্টাফ চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রানিং স্টাফ পদে এতে ২ হাজার ২৩৫ জন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৫ জন কাজ করছেন। এতে রানিং স্টাফরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না। 

অবশ্য এর আগেও মাইলেজের দাবিতে রেলের রানিং স্টাফরা আংশিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসে রানিং স্টাফদের কর্মসূচিতে বেশ কয়েকটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এবার দেশব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি

কণ্ঠশিল্পী মনির খানের বাবার জানাজা। ছবি: সংগৃহীত

কোটি বাঙালির প্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান শোকাহত। তার বাবা মো. মাহবুব আলী খান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই রাজিউন)। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ঝিনাইদহে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে এ শোকাবহ মুহূর্তে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। জানাজার মাঠ থেকে চুরি হয়ে যায় শিল্পী মনির খানের আইফোন এবং তার ছেলের মোবাইল ফোন। গায়ক মনির খান নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাবা মো. মাহবুব আলী খানের সঙ্গে মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

মাহবুব আলী খানকে পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রিয় বাবা হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মনির খান, এমন অবস্থাতেই চুরির এই ঘটনা তার জন্য দুঃখজনক।

মনির খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ১৯৯৬ সালে তার *তোমার কোন দোষ নেই* অ্যালবামটি প্রকাশের পরই তিনি সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেন। তার কণ্ঠে প্রায় সব গানই শ্রোতাদের হৃদয়ে দাগ কাটে, বিশেষ করে 'তোমার কোন দোষ নেই' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর থেকে একের পর এক হিট অ্যালবাম এবং সিনেমার গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একক অ্যালবাম এবং তিন শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন মনির খান। তার সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। 'অঞ্জনা' খ্যাত এই শিল্পী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল 'মনির খান' ও 'এমকে মিউজিক 24' থেকে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি, যা তার ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!