রবিবার থেকেই কাজ শুরুর ইচ্ছা: ওবায়দুল হাসান

আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনে রবিবার থেকেই কাজ শুরু করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। অনুসন্ধান কমিটির গঠনের পর মোবাইল ফোনে ঢাকাপ্রকাশকে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনাকে অভিনন্দন। নতুন এই গুরু দায়িত্ব পালনে কোনো চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কি-না?
ওবায়দুল হাসান: মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির পক্ষ থেকে আমার উপরে এবং এই কমিটির উপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন। আশাকরি সংবিধান এবং আইনের আলোকে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারব। চ্যালেঞ্জ তো সব কাজেই আছে। চ্যালেঞ্জ থাকবে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আশাকরি ১০ জন নিরপেক্ষ নাম বেছে রাষ্টপতির কাছে দিতে পারব; সময়ের মধ্যেই।
ঢাকাপ্রকাশ: বিগত ইসি নিয়ে নানা বিতর্ক আছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে আপনারা নতুন কমিশন গঠনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন?
ওবায়দুল হাসান: দেখেন মানুষের মুল্যায়নটা হয় তার কাজের মধ্য দিয়ে। আমরা ১০ জনের নাম দেব। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে ৫ জনকে মনোনয়ন দেবেন। তারা যখন কাজ করবেন তখনই বুঝতে পারবেন তারা যোগ্য কি, অযোগ্য। কারো দৃষ্টিকে কেউ যোগ্য আবার কারো দৃষ্টি কোউ অযোগ্য। এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
ঢাকাপ্রকাশ: বর্তমান পরিস্থিতিতে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে বের করাটা কঠিন হবে কি না?
ওবায়দুল হাসান: আমরা চেস্টা করব সবচেয়ে নিরপেক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকেই মনোনিত করতে। করবও আশা করি। রাষ্টপতি সেখান হয়তো ৫ জনকে নিয়োগ করবেন।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনাদের হাতে তো খুব বেশি সময় নেই। এই সপ্তাহেই কি নাম প্রস্তাব করবেন?
ওবায়দুল হাসান: আমি এখনও বলতে পারছি না। আমার সহকর্মীদের কারো সঙ্গেই কোনো যোগাযোগই হয় নাই। বিকালে কেবিনেট সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলব। কথা বলে চেস্টা করব আগামীকাল থেকেই কাজটা শুরু করা যায় কি না?
ঢাকাপ্রকাশ: একাধিক বৈঠকে বসবেন কি না?
ওবায়দুল হাসান: সেটা তো বলা যায় না। একাধিক বৈঠক তো বটেই। কয়টা বৈঠকে হবে না হবে বলা যাবে না। আমি তো এখনও বসি নাই। তবে সময়ের মধ্যেই হবে।
এসএম/
