রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এখনও বহাল তবিয়তে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত আমলারা!

মো. মাহবুব হোসেন (বাম থেকে), নাজমুল আহসান, মোহাং সেলিম উদ্দিন, মো. মোস্তফা কামাল, ফরিদ আহাম্মদ, মো. হাবিবুর রহমান, হুমায়ুন কবির খোন্দকার, গোলাম সারওয়ার। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। সেই সঙ্গে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তবে ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে আমলা তথা সচিবরা। বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো বরাবরই বিশ্বস্ত সচিবদের পদায়ন করতেন তিনি। এর মাধ্যমে মন্ত্রীদের পাশ কাটিয়ে সচিবদের মাধ্যমে চালানো হতো বিকল্প সরকার। এদের অনেকেই বিশ্বস্ততার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও পদোন্নতি। শুধু তাই নয় অবসরের পর বেশ কয়েকজন আমলা আওয়ামী লীগের টিকিটে করেছেন জাতীয় নির্বাচন; বনে গেছেন সংসদ সদস্য।

যদিও গত ৮ আগস্ট রাতে শপথ নেয়ার পর তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে পারেননি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একেবারেই যে সচিবালয়ে কোনো সংস্কার হয়নি এমন নয়। হাতে গোনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সচিবদের সরানো। তবে বেশিরভাগ সচিবই রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রশাসনে নেই কোনো কর্মচাঞ্চল্য। সর্বত্রই গাঁ-ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ আমলাই কাজ করছেন দায়সারা ভাব নিয়ে। নিয়ম রক্ষার্থে প্রতিদিন সচিবালয়ে এলেও সময় পার করছেন ফাইল চালাচালি করে। অনেকে বিশ্বস্তদের সঙ্গে বসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকর্মের সমালোচনা বা রাজনৈতিক আড্ডায় সময় পার করছেন।

এদিকে প্রশাসনে বহাল বেশ কয়েকজন সচিবের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা দুর্নীতির অভিযোগ। এর মধ্যে অন্যতম বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান। গত বছর ১ জুন বিদ্যুৎ বিভাগে যোগদান করেন তিনি। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি কোম্পানিরও চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন, উন্নয়ন প্রকল্পে কেনাকাটা, ঠিকাদার নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বিশ্বস্ত এ সচিব নানাভাবে প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক বনে গেছেন।

শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত আমলাদের মধ্যে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে এক বছর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং দুই বছর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে আইন ও বিচার বিভাগের বিতর্কিত সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এ সচিবের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের সময় গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) অফিসে ছয়জন ছাত্র সমন্বয়ককে আটকে রাখা ও তাদের বিরুদ্ধে ডিবি প্রধান হারুনের নানা কর্মকাণ্ডের তথ্য ফাঁস হয়েছে শেখ হাসিনার পতনের দিন। গণভবন থেকে ৫ আগস্ট দুজনের তথ্য আদান-প্রদানের নথি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তিনি সচিব হিসেবে বহাল থাকাবস্থায় সাবেক প্রধান বিচারপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ‘জুডিশিয়াল ক্যু’ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানও শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত। আনসার বিদ্রোহে তার মদদের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হিসেবে লম্বা সময় দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলা প্রশাসক হিসেবেও তিনি কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। মো. হুমায়–ন কবীর খোন্দকার বর্তমানে রয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দায়িত্বে। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এ আমলা এর আগে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মজীবনে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় ডিসি ও জেলা প্রশাসকও ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মোহাং সেলিম উদ্দিন গত ১৯ মে সচিব হিসেবে যোগ দেন। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এ আমলা এর আগে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন মো. মোস্তফা কামাল। তিনি গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি পান। এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এ আমলা। মো. মোস্তফা কামাল নবম জাতীয় সংসদে সংসদ উপনেতার একান্ত সচিব এবং পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধন (বিশেষ) কমিটিতে চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হিসেবে সহায়ক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি জীবনে তিনি জ্বালানি বিভাগ, পেট্রোবাংলা, তিতাসসহ অনেক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় ছিলেন।

ফরিদ আহাম্মদ বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। আনসার বিদ্রোহে তারও প্রত্যক্ষ মদদের অভিযোগ উঠেছিল। তিনি ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর বর্তমান পদে যোগদান করেন। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এ আমলা এর আগে দেড় বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে প্রায় ৩ বছর ১ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে তিনি প্রায় আড়াই বছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সবিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের নামেও রয়েছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

এমন প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুরো প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো সম্ভব হয়নি। পুরোনো আমলাদের সরানো তো যায়নি বরং বিভিন্ন সংস্থায় নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রেও ঢুকে পড়ছেন হাসিনার বিশ্বস্ত অনেকেই। তবে স্বস্তির খবর হলো, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা সচিব, পররাষ্ট্র সচিবসহ বিতর্কিত কয়েকজন আমলাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে গত দুই সপ্তাহে। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ৯ জন সচিবের চুক্তি বাতিল করে অবসরে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রশাসনে সংস্কার প্রয়োজন। আর এই সংস্কার যত বিলম্বিত হবে তা ততই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য।

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি