বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক’

তারিক আহমেদ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডিকে দেশের ইতিহাসে একটি ভয়ংকর অধ্যায় হয়ে রয়েছে। তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ভয়ংকর নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেছেন সাবেক ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক। তিনি বলেন, ‘পুরো ঘটনার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক’।

সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, ‘এটাকে আমি বিডিআর বিদ্রোহ বলতে চাই না। এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কতিপয় সামরিক, বেসামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সময় আমি এমআইএসটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমাকে প্রথমে পিলখানা থেকে ফোন করে ক্যাপ্টেন তানভীর (যিনি পরে শহিদ হয়েছেন) বললেন, উই আর ইন ট্রাবল, জুনায়েদকে (যিনি তত্কালীন সেনাপ্রধান মইনের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন) বিষয়টি জানাও।

তিনি আরও বলেন, আমি তাকে (জুনায়েদ) বার্তাটি পাঠাই। জুনায়েদ আমাকে বললেন, সেনাপ্রধান বিষয়টি অবহিত। এরপর এমআইএসটি থেকে আমরা ১০-১৫ জন ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডে চলে যাই। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে যাওয়ার পর তৎকালীন মেজর জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া (যিনি পরে সেনাপ্রধান হন) আমাদেরকে বাধা দেন। এরপর আমরা সাত-আট জন সেনা অফিসার অস্ত্রসহ আমাদের ব্রাদার-অফিসার ও তাদের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য আবাহনী মাঠের দিকে রওনা হই। কয়েকটি গণমাধ্যমে তখন এই ছবি প্রচারও হয়েছিল। আমাদের ওপর কয়েক জন বিডিআর সদস্য গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ অবস্থায় আমাদের রিইনফোর্সমেন্ট দরকার ছিল। এজন্য আমি এমআইএসটির তখনকার কমান্ডার মে. জে. ওয়াদুদকে ফোন করি, উনি আমাকে প্রচণ্ড গালাগাল করেন। উনি বরং পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাকে সেখান থেকে চলে আসতে বলেন।’

ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, সেদিন সেনাবাহিনী পিলখানায় ঢুকতে পারলে এই গণহত্যা হতো না। ২৭ ঘণ্টা পর ঢুকেছিল সেনাবাহিনী। এর আগেই সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়। ট্র্যাক করে করে পিলখানায় সেনা অফিসারদের অবস্থানের তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার চার মাস পর বিডিআরে আমার পোস্টিং হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের লক্ষ্যে একাধিক তদন্ত চলতে থাকে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বর্তমানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। র‍্যাবের পক্ষ থেকেও তদন্ত চলে। পুলিশের পক্ষ থেকে চলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল কাহার আকন্দ ও মনিরুল ইসলাম। আর বিডিআরের অভ্যন্তরীণ তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন আজিজ আহমেদ (সাবেক সেনাপ্রধান)। আর আমার দায়িত্ব ছিল সবগুলো তদন্ত কমিটির মধ্যে সমন্বয় করা। সে হিসেবে আমার কাছে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ, রিপোর্ট চলে আসে। সুষ্ঠু তদন্তের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্রাপ্ত রিপোর্টসমূহে দেখতে পাই—ঘটনার পরিকল্পনা হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকে। এরপর তিন মাস ধরে (২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিডিআরের ৫০ জনের মতো সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বেসামরিক ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এসব তথ্য জানতে পারেনি—এটা সম্পূর্ণ অসত্য। জেনেও তারা গোপন করেছিল। আওয়ামী লীগের একজন সাবেক এমপি প্রতি শুক্রবার পিলখানা মসজিদে জুমা পড়তে যেতেন। নামাজের পর তিনি সেখানে এক-দেড় ঘণ্টা বিডিআরের সৈনিকদের সঙ্গে মিটিং করতেন। পরে তার বাসায়ও একাধিক মিটিং হয়। সেসব মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের আরেক জন সাবেক এমপি থাকতেন। মিটিংয়ে বিডিআরের সৈনিকদের উদ্দেশে সাবেক এক এমপি বলেছিলেন, বেশি মারার দরকার নেই, দুই-তিন জন অফিসার মেরে ফেললেই হয়, বাকিটা আমরা দেখব। এই দুই সাবেক এমপি হলেন ফজলে নূর তাপস ও জাহাঙ্গীর কবির নানক।

ঘটনাবলীর বর্ণনায় ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, তদন্তকাজে মইনুল ইসলাম ও আজিজ আহমেদ সহযোগিতা করতেন না। বরং সুনির্দিষ্টভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে চাই- ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিডিআরের তিন জন পিলখানার ভেতরে আত্মহত্যা করেন। তবে আদৌ তারা আত্মহত্যা করেছিলেন কিনা, সেটি তদন্ত হয়নি। এই তিন জন ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। ২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর বিডিআরের তৎকালীন ডিজি মইনুল ইসলাম ও আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে ডাকেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করি। উনি রিপোর্টটি ছুড়ে ফেলে বলেন, কী আবোল-তাবোল রিপোর্ট, যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে সেভাবে কাজ করতে হবে।

ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, তখন মইনুল ইসলাম আমাকে বলেন, রিপোর্টে যেন কোনো রাজনৈতিক নেতার নাম না আসে, পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সবকিছু করতে হবে, সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের রিপোর্টের ভিত্তিতে কিছু করা যাবে না। এরপর আবারও আমাদের দুই জনকে প্রধানমন্ত্রী ডাকেন। সেদিনও আমি রিপোর্ট পরিবর্তন করিনি। আমি বলেছিলাম, আমার ভাইয়ের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারব না। এরপর আমাকে পিলখানা থেকে তুলে নেওয়া হয়। ৩৬১ দিন ডিজিএফআইতে রাখা হয় আমাকে। সেখান থেকেই এই আয়নাঘরের শুরু। পাঁচ বছর আমি অন্তরীণ থাকি। এরপর ছাড়া পেলেও আর দেশে থাকতে পারিনি। আজিজ, মইনুল, আকবর, জিয়াউল আহসান—এদের সবার হাত সে সময়ের রক্তে রঞ্জিত।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালটা শুরু হয়েছিল তৎকালীন বিডিআরের বার্ষিক বিশেষ আয়োজন দিয়ে। কিন্তু শেষ হয় রক্ত, লাশ আর বারুদের গন্ধে। ১৫ বছর আগে বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবিদাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালান।

ওই দুই দিনে তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা এবং আরো ১৭ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেন বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা।

Header Ad
Header Ad

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতি ও শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের কাতারে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনীতির মন্থর গতি এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দেশের দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, দৈনিক আয় ২.১৫ ডলারের নিচে হলে কেউ "হতদরিদ্র" হিসেবে বিবেচিত হন। এই মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২২ সালে বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার ছিল ৫ শতাংশ, যা ২০২৫ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯.৩ শতাংশে।

শুধু হতদরিদ্র নয়, বাড়তে পারে জাতীয় দারিদ্র্য হারও। ২০২৪ সালে যা ছিল ২০.৫ শতাংশ, সেটি ২০২৫ সালে গিয়ে পৌঁছাতে পারে ২২.৯ শতাংশে।

বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে বলা হয়, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি দরিদ্র মানুষের অবস্থান আরও নাজুক করে তুলছে। কর্মসংস্থান কমে যাওয়া এবং আয় কমে যাওয়ায় সামাজিক বৈষম্যও বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই একই দিনে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আরেক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে মাত্র ৩.৩ শতাংশে। যেখানে জানুয়ারিতে এ হার ধরা হয়েছিল ৪.১ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়ে ৪.৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি।

Header Ad
Header Ad

৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী

অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পাঁচ শিক্ষার্থী, যাদের খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য নিপন ত্রিপুরা।

তবে কোথায়, কখন এবং কীভাবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। অপহরণের ৮ দিন পর তারা ফিরে এলেও, ঘটনার পেছনের বিস্তারিত তথ্য এখনো অন্ধকারেই।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, লংঙি ম্রো এবং অলড্রিন ত্রিপুরা। সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ১৬ এপ্রিল বিঝু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে তাদের অপহরণ করা হয়।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে, অপহরণের পেছনে কারা ছিল—তা নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত।

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এই অপহরণের জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে আসছে। যদিও ইউপিডিএফ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

এর আগেই, অপহৃতদের উদ্ধারে গত সোমবার ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে চাঁদা আদায়ের রশিদ, সামরিক পোশাক, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ—শুধু উপমহাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের জন্যই যেন এক স্বপ্নের লড়াই। কিন্তু সেই স্বপ্নের লড়াই আর বাস্তবের মাটিতে নামার সুযোগ আপাতত নেই বলেই সাফ জানিয়ে দিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে বিসিসিআই আবারও জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সরকারের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে একমত। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছি না, এবং ভবিষ্যতেও এর কোনো সম্ভাবনা নেই।” পাশাপাশি পেহেলগামের হামলার নিন্দাও জানান তিনি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “আমরা কেবলমাত্র আইসিসি বা এশিয়া কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলি। কারণ সেগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের আওতাভুক্ত।”

ভারত-পাকিস্তান শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ২০১২-১৩ সালে। এরপর থেকে সম্পর্কের টানাপোড়েনে সেই দরজাটা কার্যত বন্ধ। সীমিত ওভারের সেই সিরিজেই শেষবার ভারতের মাঠে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানকে।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেললেও, ২০২5 চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারত হাইব্রিড মডেল বেছে নেয়—পাকিস্তানে না গিয়ে ম্যাচগুলো খেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২০ জন। ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামক একটি জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজার বহিরাগত বসতির বিরোধিতা করেই এ হামলা চালানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, কেড়ে নিল ঘুমন্ত নারীর প্রাণ
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
আ.লীগ নিজেকে ভারতের কাছে নগ্নভাবে সঁপে দিচ্ছে: রাশেক রহমান
বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’ নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ