বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক’

তারিক আহমেদ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডিকে দেশের ইতিহাসে একটি ভয়ংকর অধ্যায় হয়ে রয়েছে। তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ভয়ংকর নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেছেন সাবেক ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক। তিনি বলেন, ‘পুরো ঘটনার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক’।

সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, ‘এটাকে আমি বিডিআর বিদ্রোহ বলতে চাই না। এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কতিপয় সামরিক, বেসামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সময় আমি এমআইএসটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমাকে প্রথমে পিলখানা থেকে ফোন করে ক্যাপ্টেন তানভীর (যিনি পরে শহিদ হয়েছেন) বললেন, উই আর ইন ট্রাবল, জুনায়েদকে (যিনি তত্কালীন সেনাপ্রধান মইনের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন) বিষয়টি জানাও।

তিনি আরও বলেন, আমি তাকে (জুনায়েদ) বার্তাটি পাঠাই। জুনায়েদ আমাকে বললেন, সেনাপ্রধান বিষয়টি অবহিত। এরপর এমআইএসটি থেকে আমরা ১০-১৫ জন ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডে চলে যাই। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে যাওয়ার পর তৎকালীন মেজর জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া (যিনি পরে সেনাপ্রধান হন) আমাদেরকে বাধা দেন। এরপর আমরা সাত-আট জন সেনা অফিসার অস্ত্রসহ আমাদের ব্রাদার-অফিসার ও তাদের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য আবাহনী মাঠের দিকে রওনা হই। কয়েকটি গণমাধ্যমে তখন এই ছবি প্রচারও হয়েছিল। আমাদের ওপর কয়েক জন বিডিআর সদস্য গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ অবস্থায় আমাদের রিইনফোর্সমেন্ট দরকার ছিল। এজন্য আমি এমআইএসটির তখনকার কমান্ডার মে. জে. ওয়াদুদকে ফোন করি, উনি আমাকে প্রচণ্ড গালাগাল করেন। উনি বরং পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাকে সেখান থেকে চলে আসতে বলেন।’

ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, সেদিন সেনাবাহিনী পিলখানায় ঢুকতে পারলে এই গণহত্যা হতো না। ২৭ ঘণ্টা পর ঢুকেছিল সেনাবাহিনী। এর আগেই সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়। ট্র্যাক করে করে পিলখানায় সেনা অফিসারদের অবস্থানের তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার চার মাস পর বিডিআরে আমার পোস্টিং হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের লক্ষ্যে একাধিক তদন্ত চলতে থাকে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বর্তমানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। র‍্যাবের পক্ষ থেকেও তদন্ত চলে। পুলিশের পক্ষ থেকে চলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল কাহার আকন্দ ও মনিরুল ইসলাম। আর বিডিআরের অভ্যন্তরীণ তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন আজিজ আহমেদ (সাবেক সেনাপ্রধান)। আর আমার দায়িত্ব ছিল সবগুলো তদন্ত কমিটির মধ্যে সমন্বয় করা। সে হিসেবে আমার কাছে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ, রিপোর্ট চলে আসে। সুষ্ঠু তদন্তের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্রাপ্ত রিপোর্টসমূহে দেখতে পাই—ঘটনার পরিকল্পনা হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকে। এরপর তিন মাস ধরে (২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিডিআরের ৫০ জনের মতো সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বেসামরিক ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এসব তথ্য জানতে পারেনি—এটা সম্পূর্ণ অসত্য। জেনেও তারা গোপন করেছিল। আওয়ামী লীগের একজন সাবেক এমপি প্রতি শুক্রবার পিলখানা মসজিদে জুমা পড়তে যেতেন। নামাজের পর তিনি সেখানে এক-দেড় ঘণ্টা বিডিআরের সৈনিকদের সঙ্গে মিটিং করতেন। পরে তার বাসায়ও একাধিক মিটিং হয়। সেসব মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের আরেক জন সাবেক এমপি থাকতেন। মিটিংয়ে বিডিআরের সৈনিকদের উদ্দেশে সাবেক এক এমপি বলেছিলেন, বেশি মারার দরকার নেই, দুই-তিন জন অফিসার মেরে ফেললেই হয়, বাকিটা আমরা দেখব। এই দুই সাবেক এমপি হলেন ফজলে নূর তাপস ও জাহাঙ্গীর কবির নানক।

ঘটনাবলীর বর্ণনায় ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, তদন্তকাজে মইনুল ইসলাম ও আজিজ আহমেদ সহযোগিতা করতেন না। বরং সুনির্দিষ্টভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে চাই- ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিডিআরের তিন জন পিলখানার ভেতরে আত্মহত্যা করেন। তবে আদৌ তারা আত্মহত্যা করেছিলেন কিনা, সেটি তদন্ত হয়নি। এই তিন জন ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। ২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর বিডিআরের তৎকালীন ডিজি মইনুল ইসলাম ও আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে ডাকেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করি। উনি রিপোর্টটি ছুড়ে ফেলে বলেন, কী আবোল-তাবোল রিপোর্ট, যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে সেভাবে কাজ করতে হবে।

ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, তখন মইনুল ইসলাম আমাকে বলেন, রিপোর্টে যেন কোনো রাজনৈতিক নেতার নাম না আসে, পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সবকিছু করতে হবে, সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের রিপোর্টের ভিত্তিতে কিছু করা যাবে না। এরপর আবারও আমাদের দুই জনকে প্রধানমন্ত্রী ডাকেন। সেদিনও আমি রিপোর্ট পরিবর্তন করিনি। আমি বলেছিলাম, আমার ভাইয়ের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারব না। এরপর আমাকে পিলখানা থেকে তুলে নেওয়া হয়। ৩৬১ দিন ডিজিএফআইতে রাখা হয় আমাকে। সেখান থেকেই এই আয়নাঘরের শুরু। পাঁচ বছর আমি অন্তরীণ থাকি। এরপর ছাড়া পেলেও আর দেশে থাকতে পারিনি। আজিজ, মইনুল, আকবর, জিয়াউল আহসান—এদের সবার হাত সে সময়ের রক্তে রঞ্জিত।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালটা শুরু হয়েছিল তৎকালীন বিডিআরের বার্ষিক বিশেষ আয়োজন দিয়ে। কিন্তু শেষ হয় রক্ত, লাশ আর বারুদের গন্ধে। ১৫ বছর আগে বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবিদাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালান।

ওই দুই দিনে তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা এবং আরো ১৭ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেন বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা।

Header Ad
Header Ad

চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস

চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের তৃতীয় জয় । ছবি: সংগৃহীত

এবারের বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পায় ঢাকা ক্যাপিটালস। সবশেষ বুধবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চিটাগং কিংসে হারিয়ে তৃতীয় জয়ের দেখা পেলো শাকিব খানের দলটি।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে বন্দর নগরীর দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা ক্যাপিটালস।

১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ঢাকা ক্যাপিটালসকে। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। তানজিদ অপরাজিত থাকেন ৫৪ বলে ৯০ রানে।

আরেক ওপেনার লিটন দাস অবশ্য শুরুটা একটু ধীর গতিতেই করেছিলেন। তবে উইকেটে থিতু হয়েও শেষ পর্যন্ত নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ২৫ রান।

মুনিম শাহরিয়ারও উইকেটে থিতু হয়েছিলেন। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি, ১৮ বল খেলেও নিজের ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেননি। মাত্র ১২ রান করেই আলিসের বলে সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন তানজিদ তামিম। ১১ বল বাকি হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ক্যাপিটালস। সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৪ রানে।

তানজিদ অপরাজিত থাকেন ৫৪ বলে ৯০ রানে।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি চিটাগং কিংস। নাইম ইসলাম এবং জুবাইদ আকবরির উদ্বোধনী জুটি এদিন হাত খুলে খেলতে ব্যর্থ হয়েছে। ৪৪ বল স্থায়ী জুটিতে মাত্র ৪০ রান তুলেছে চিটাগং। জুবাইদকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করেন এই আফগান।

গ্রাহাম ক্লার্কও হাত খুলতে পারেননি। দলীয় ৮৯ রানের মাথায় তিনি বিদায় নেন। নাজমুল ইসলামের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১৮ বলে ২ চারে ১৯ রান করেন ক্লার্ক। দুই বল পর তালাত হুসাইনকেও (২) আউট করেন নাজমুল।

পরের ওভারে বিদায় নেন আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা নাইম ইসলাম। ওপেনিং করতে নেমে এদিন হাত খুলে খেলতে পারেননি জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা। ৪০ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৪ রান করে মোসাদ্দেকের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।

এদিন মারকুটে ব্যাটিং করতে পারেননি শামিম হোসেনও। ১৬ বলে ১৫ রান করে বেটনের শিকারে পরিণত হন তিনি। পাকিস্তানি রিক্রুট হায়দার আলিও ১১ বলে ১৬ রান করে মেহেদী রানার শিকারে পরিণত হন। শেষদিকে অধিনায়ক মিঠুন ৮ বলে ১২ এবং খালেদ ৬ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।

ঢাকার হয়ে মোসাদ্দেক ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন নাজমুলও। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন বেটন এবং মেহেদী রানাও।

Header Ad
Header Ad

এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছিতে নিজ বাড়ির উঠানে গাঁজার গাছ চাষের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক এনামুল হক (৪০) ওই গ্রামের মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক তার বাড়ির উঠানে আম গাছের আড়ালে দীর্ঘ এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা করে আসছিলেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে যাতায়াত করলেও গাছটি গাঁজার গাছ তা তারা জানতেন না।

বদলগাছি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে এনামুল হককে আটক করেছি। তার বাড়ির উঠান থেকে একটি বড় গাঁজার গাছ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ৩২ জন ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয় জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয় জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এক জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নয় জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন, ময়মনসিঙ্গহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন জন এবং রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এক জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় ৫২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ৭৬৭ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯৭২ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক সাত শতাংশ নারী রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে, চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে নয় জন মারা গিয়েছেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল