বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না, আওয়ামী লীগকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ দল পুনর্গঠন করতে পারে এতে কোনো সমস্যা নেই; তবে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আহত আনসার সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পতিত স্বৈরাচারের লোকেরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আবার খুন ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ওরা লোক জড়ো করুক আর যাই করুক এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়। কারণ এদেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি।
তিনি বলেন, এদেশের লোক এত তাড়াতাড়ি ভুলে নাই। সময় দেন হয়তো ভুলে যাবে। এত তাড়াতাড়ি ভুলে নাই কারণ যাকে ধরছিলেন নেতা, সেই নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যাকে ধরছে তাকে আমরা বাঁচাতে পারছি না। অনেক নেতাকে অনেকে বাঁচিয়েছে। আমরা জানি কে কোথায় আছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের উদ্দেশে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি বরং মনে করি আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅর্গানাইজড করেন। ইলেকশন এলে কনটেস্ট করবেন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন।
এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার সময় লুট হওয়া অস্ত্র এক সপ্তাহের মধ্যে জমা না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে লুট করা অস্ত্র থানায় জমা দিতে হবে। তারপর পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সশস্ত্র বাহিনীর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনো লীগ বুঝি না, যে অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহারের কথা সেগুলো জনসাধারণের হাতে কীভাবে গেল। আমি একটা ভিডিও দেখলাম একজন সিভিলিয়ান আনসারকে মেরে রাইফেল নিয়ে গেল, এই রাইফেল আর ফেরত আসেনি।
তিনি আরও বলেন, যাদের কাছে অনুনমোদিত রাইফেল আছে তারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। যদি জমা না দেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দুইটা চার্জ দেওয়া হবে। অবৈধ অস্ত্র সঙ্গে রাখা ও সরকারি নিষিদ্ধ অস্ত্র রাখা।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ইয়ং জেনারেশন এটা করেছে। দে হ্যাভ গিভেন দেয়ার লাইফ। যেটা আপনারা কোনোদিন দিতে পারতেন না। বুকে পেতে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের গুলি খাওয়ার জন্য। তাদের দুঃখ নাই। দে আর অল স্মাইলিং। এরা যতদিন আছে, আমাদের কথা বাদ দেন, আমরা দৌড় দেব। এরা যতদিন আছে, এরা দৌড়াবে না। দে উইল ফেস ইউ। সো প্লিজ, আমি অনুরোধ করছি। আমি একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বলছি, দয়া করে দেশটাকে স্বাধীন রাখেন। আর পরাধীন হতে দেবেন না।