একাত্তর ও সময়সহ ৮ টিভির সম্প্রচার বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সরকার থেকে সদ্য পদত্যাগী শেখ হাসিনা। এই খবরে সারা দেশে আনন্দ উল্লাসে মাতেন সাধারণ জনসাধারণ। তবে এর মধ্যেই বিক্ষুব্ধ জনতা ৭১ টিভি ও সময় টিভি, এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ, গান বাংলা, এশিয়ান টিভি, বিজয় টিভি, মাই টিভির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এতে আট টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোনের একাত্তর টিভির কার্যালয় এবং বাংলামোটরের সময় টিভির স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়। একাত্তর টেলিভিশনের বারিধারার কার্যালয়ের সামনে রাখা একাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে চেয়ার–টেবিল, টেলিভিশন ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে টেলিভিশনটির একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন।
বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে সময় টেলিভিশনের কার্যালয়ের নিচে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। সময় টেলিভিশনের কার্যালয়ে থাকা সংবাদকর্মীরা যে যে অবস্থায় ছিলেন, সে অবস্থাতেই বের হয়ে যান বলে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মী জানান।
একইদিন কারওয়ান বাজারে এটিএন বাংলার কার্যালয়ের সামনে রাখা একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এটিএন বাংলা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে স্টেশনে হামলা চালায় তারা। এতে এটিএন বাংলার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। কারওয়ান বাজারে আরেক গণমাধ্যম এটিএন নিউজের সামনে রাখা গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।
এছাড়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেশের একমাত্র সংগীতভিত্তিক টিভি চ্যানেল গানবাংলা। চলমান কোটা সংস্কার থেকে সৃষ্ট সহিংসতায় রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ভবনটির বেশিরভাগ ফ্লোরজুড়েই ছিলো চ্যানেলটির স্টুডিও সেটআপ, শুটিং ফ্লোর, সাউন্ড সিস্টেম, এডিটিং প্যানেল, সম্প্রচার যন্ত্রসহ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রাংশ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিজয় টিভি, এশিয়ান টিভি ও মাই টিভির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। তেজগাঁওয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের কার্যালয়ের নিচে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের আটকে দেন।