শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কোটা কোনো ইস্যু না, বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য দেশটাকে ধ্বংস করা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বোঝা যাচ্ছে যে কোটা কোনো ইস্যু না। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য দেশটাকে ধ্বংস করা। তারা আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে গণভবনে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে ওই শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি-জামায়াত এরাই কিন্তু এবং জঙ্গি এরা। এই জঙ্গিরাই কিন্তু আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে। বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক কিছু না। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। একেবারে জঙ্গিবাদী কাজ।

তিনি বলেন, একে একে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী একটি মর্যাদার আসন পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে চলে। সবাই সম্মানের চোখে দেখে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আমরা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।

বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সহ জোটের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সাদা পোশাকধারী কয়েকজন ব্যক্তি ধানমণ্ডি এলাকা থেকে এক যুবককে তুলে নিয়ে তার ঠোঁট অবশ করা ছাড়াই সেলাই করে দেয়। এক ব্যক্তিকে আটক করে যৌনাঙ্গ এবং কানে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। এক ভিকটিম নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে উদ্ধার করে সেখানেই হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ভয়াবহ এসব বর্ণনার খবর উঠে এসেছে গুম কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের কাছে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয় গুম সম্পর্কিত তদন্ত কমিশন। সেই প্রতিবেদনের প্রকাশযোগ্য অংশ গণমাধ্যমকে সরবরাহ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। সেখানে গুম ও নির্যাতনের চিত্র পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গুমের ঘটনা শুধু অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, বরং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ বিশেষ করে ভারতীয়দের জড়িত থাকার কথা কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গুম শুধু বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ। সুখরঞ্জন বালি ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে গুমের পর ভারতে স্থানান্তরের ঘটনা উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে। সুখরঞ্জন বালিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণের পর ভারতীয় কারগারে পাওয়া যায়। যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের কমিশনকে জানিয়েছেন, তাঁকে যে গোপন বন্দিশালায় রাখা হয়েছিল, সেই সেলের বাইরে কাউকে হিন্দিতে বলতে শুনেছেন, ‘তাঁকে কখন ধরা হয়েছে? তিনি কোনো তথ্য দিয়েছেন? এখন পর্যন্ত কী জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে?’

কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার যারা অভিযানে সক্রিয় ছিল তারা জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বন্দিবিনিময় করত। বাংলাদেশের গুমের ঘটনা যে আন্তর্জাতিক ও সুসংগঠিত চক্রের অংশ এসব ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে ২০১৫ সালে রাজধানীর উত্তরা থেকে তুলে নেওয়ার পর ভারতে পাওয়া এর উদাহরণ। তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে, তাঁকে যে নির্জন স্থানে রাখা হয়েছিল সেখানে টিএফআই (টাস্ক ফোর্স অব ইন্টারোগেশন) লেখা কম্বল ছিল, সেই সময়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধানে টিএফআই পরিচালিত হতো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্ত কমিশন পরিদর্শনে নিশ্চিত হয়েছে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এখন টিএফআইয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে বন্দিশালার ভেতরের অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে কিছুদিন আগে। সালাহউদ্দিন আহমেদ কমিশনকে জানিয়েছেন, তাঁকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছিল। যে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন, তিনি পরিচয় লুকাতে ‘যম টুপি’ পরা ছিলেন, যা দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগকে নির্দেশ করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একজন সৈনিক তদন্ত কমিশনকে জানিয়েছেন, তিনি ‘বন্দি বিনিময়ের’ সময়ে ২০১১ সালে দুই দফা তামাবিল সীমান্তে ছিলেন। দুই দফায় তিনজন ‘বন্দিকে’ আনা হয়। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা ছিলেন। দু’জন ‘বন্দিকে’ রাস্তার পাশে হত্যা করা হয়। জীবিত আরেক বন্দিকে র‌্যাবের আরেকটি দলের কাছে তুলে দেওয়া হয়। র‌্যাবও দু’জন ‘বন্দিকে’ একই প্রক্রিয়ায় ভারতীয়দের কাছে তুলে দিয়েছিল।

প্রতিবেদনে তদন্ত কমিশন সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশি কেউ ভারতে গুম রয়েছে কিনা তা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ জোর দিয়ে দেখতে পারে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সেলের দলনেতা অতিরিক্ত সচিব খন্দকার জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শহীদ বা আহত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ৬৪ টি জেলায় গঠিত জেলা কমিটি এবং গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের তালিকা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘প্রথম ধাপের উল্লিখিত খসড়া তালিকা দুটি আগামী ২৩ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এমতাবস্থায়, প্রকাশিত খসড়া তালিকা দুটিতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/চূড়ান্ত করতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। এতদ্ব্যতীত প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোন মতামত/পরামর্শ থাকলে অথবা সংযোজন/বিয়োজন করার মতো যুক্তিসংগত কোন তথ্য থাকলে তা আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল এর ইমেইল (muspecialcell36@gmail.com) এ অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ক্যাবিনেটে পাঠানো হবে বলে। তবে এ তালিকা সর্বশেষ তালিকা নয়। এখনো তথ্য যাচাই-বাছাই ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত

ছবি: সংগৃহীত

আফগান সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের একটি সেনা চৌকিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন সেনা। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এ খবর জানায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ৩০ জনেরও বেশি জঙ্গি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মাকেন এলাকায় একটি সেনা পোস্টে এ হামলা চালায়। জঙ্গিদের আক্রমণে ১৬ সেনা শহীদ এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, জঙ্গিরা চেকপয়েন্টে থাকা বেতার যোগাযোগের সরঞ্জাম, নথি এবং অন্যান্য জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে
গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিয়ন্ত্রণে বনানী বস্তির আগুন
জোলানীর মাথার বিনিময়ে ১ কোটি ডলার পুরস্কার বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ে গাড়িচাপায় দু’জন নিহত, আহত ৬৮  
‘আলো আসবেই’ গ্রুপে সক্রিয় থাকা জ্যোতির কোথাও ঠাই হচ্ছেনা
সাগরে নিম্নচাপ, সমূদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত