বঙ্গভবন অভিমুখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা
বঙ্গভবন অভিমুখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা। ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবিতে বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যম্পাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল নিয়ে বঙ্গভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।
এসময় গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় এ গণপদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর শিক্ষার্থীরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। সারাদেশে প্রায় ৫০টি জেলা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা।
গণপদযাত্রায় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধাবীদের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন অভিমুখে গণপদযাত্রার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া অন্যান্য জেলা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন তারা।