বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘লটারির টাকায়’ বড়লোক হওয়ার গুজব ছড়িয়ে প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে ধরা সোহেল

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৭ জনের একজন আবু সোলেমান সোহেল (৩৫)। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বানাশুয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার আব্দুল ওহাব বিএসসির ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সোহেলের গ্রেপ্তারের খবরে বিস্মিত এলাকাবাসী। তারা জানতেন, কোনো এক লটারি পেয়ে সোহেল বড়লোক হয়েছেন।

তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট সোহেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন বলে পরিবারকে জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের ছবি তার ফেসবুকে রয়েছে।

বানাশুয়া গ্রামের আতিক নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘সোহেল ভাই আমেরিকার কোনো এক লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। সেই টাকায় এখন তিনি বড় ব্যবসায়ী। সবাই তাকে কোটিপতি সোহেল নামে চিনত। ঢাকা থেকে সোহেল যখন বাড়িতে আসতেন, তখন একা চলাফেরা করতেন। কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না।’

নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সোহেলের এক ভাইয়ের কুমিল্লা নগরীর ছাতিপট্টিতে সোনার দোকান আছে। আরেক ভাইয়ের সোনার দোকান বুড়িচং উপজেলা সদরে। দুই দোকানেই সোহেলের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। গত রমজান ঈদের আগে সোহেল বাড়ির পাশে ৬০ শতক জমি দেড় কোটি টাকায় কেনেন।

এ বিষয়ে জানতে সোহেলের বড় ভাই খালেদ হোসেনের মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আমড়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, সে (সোহেল) যে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত, এটা শুনে অবাক হয়েছি। আমি জানতাম, সে ঢাকায় চাকরি না জানি কী ব্যবসা করে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ মিনার সংলগ্ন জিমনেসিয়াম এলাকা থেকে গাছ থেকে ঝুলন্ত এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহটি গাছ থেকে নামিয়ে মর্গে পাঠায়।

প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি, তবে তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সকালে প্রায় ৯টার দিকে পথচারীরা গাছের ডালে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। তারা দ্রুত পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করে মরদেহটি উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, “সকালে ক্লাসে আসার পথে দেখি কিছু মানুষ উপরে তাকিয়ে আছে। গিয়ে দেখি একটি লাশ গাছ থেকে ঝুলছে।”

গণিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, "কিছুক্ষণ আগে লাশটি নামানো হয়েছে, তার কাপড় ফুটপাতে পড়ে ছিল। তিনি হয়ত ফুটপাতে ঘুমিয়েছিলেন।"

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী জানান, “আমরা জিমনেসিয়াম এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর এবং তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, “সকালে আমরা জানি, জিমনেসিয়াম এলাকায় গাছ থেকে একজন ব্যক্তির মরদেহ ঝুলছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহটি নামিয়ে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”

শাহবাগ থানার ওসি মনসুর খালিদ জানান, "লাশটি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় গাছ থেকে নামিয়ে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে।"

Header Ad
Header Ad

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম

সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে সরে দাড়িয়েছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) নিজেই ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পোস্টে সারজিস লিখেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই ৷ এই ফাউন্ডেশনের গতি তরান্বিত করার জন্য ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে ৷

এখন থেকে ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি' পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে ৷ চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার(CEO) সেখানে অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ৷ মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে CEO হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ৷

‘গভর্নিং বডি’ ফাউন্ডেশনের পলিসি মেকিংয়ে কাজ করবে ৷ যেখানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সহ ৪জন উপদেষ্টা (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, ICT) রয়েছেন৷ ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ এখন নেই ৷

এই ফাউন্ডেশন প্রথম আর্থিক সহযোগিতা শুরু করে ১ অক্টোবর, অফিস চালু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে ৷ আমি সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি ২১ অক্টোবর ৷ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২মাস ১০দিন আমি দায়িত্ব পালন করি ৷ এরপর আমি দায়িত্ব থেকে সরে আসি ৷ ফাইনালি আমার সাইনিং অথোরিটি ৭ জানুয়ারী হস্তান্তর হয় এবং অফিসিয়ালি আমার দায়িত্ব শেষ করি৷

৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যারিফাইড ৮২৬ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয় ৷ পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার ভ্যারিফাইড আহতের মধ্যে প্রায় ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয় ৷

যতদিন পর্যন্ত আমি আমার সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছি ততদিন আমি দায়িত্ব পালন করেছি ৷ যখন মনে হয়েছে- এখন থেকে ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব হবে নয় তখন আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি ৷ আমার কাছে নিজের সীমাবদ্ধতা এড্রেস করা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহন বা ত্যাগ করা কোনো দূর্বলতা নয় বরং এটাতে সৎ সাহস লাগে ৷ আমি চেষ্টা করেছি আমার চেয়ারের দায়িত্বের সাথে সৎ থাকতে৷

Header Ad
Header Ad

শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ চিত্র বেরিয়ে আসছে। এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হাসিনার সরকারের অধীনে গোপন কারাগারে শিশুদেরও বন্দি রাখা হতো, এবং তাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হত। এসব শিশুদের মধ্যে এমনও ঘটনা রয়েছে, যেখানে তাদের মায়ের দুধ পান করতে দেয়া হয়নি, যাতে তাদের মায়েদের মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা যায়।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী একটি কমিশন এতথ্য দিয়েছে। তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি একথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ বছর বয়সী হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ঢাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের মাধ্যমে তার পতনের পর পুরনো মিত্র ভারতে পালিয়ে যান।

হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে যার মধ্যে শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং আরও শত শত লোককে বেআইনিভাবে অপহরণ ও গুম অন্তর্ভুক্ত।

কমিশন বলেছে, তাদের কাছে এমন একাধিক যাচাইকৃত ঘটনা রয়েছে যেখানে নারীরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে। এমন সর্বশেষ ঘটনা ২০২৩ সালেও ঘটেছে। একজন গর্ভবতী মহিলাকে তার দুই ছোট বাচ্চাসহ গোপন বন্দীশালায় আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না।

'কখনো ফিরে আসেনি'

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদেরকে গোপন বন্দীশালার সেই কক্ষটি দেখিয়েছেন যেখানে তাকে শৈশবে তার মায়ের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। এই বন্দীশালাটি ছিল র‌্যাবের। তার মা আর ফিরে আসেনি।

আরেকটি ঘটনায়, এক দম্পতি এবং তাদের শিশুকে আটক করা হয়েছিল। শিশুটির বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য "মানসিক নির্যাতনের এক রূপ হিসেবে" শিশুটিকে মায়ের দুধ পান করতে দেওয়া হয়নি।

ক্ষমতায় থাকাকালীন হাসিনার সরকার জোরপূর্বক গুমের ঘটনা অস্বীকার করে দাবি করে যে নিখোঁজদের মধ্যে কয়েকজন ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।

কমিশন বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অপহরণ করা প্রায় ২০০ বাংলাদেশি এখনও নিখোঁজ।

কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে বলেন, ‘কিছু ভুক্তভোগী তাদের নির্যাতনকারী অফিসারদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে না পারলেও, তাদের সাক্ষ্য ব্যবহার করে জড়িত বাহিনীকে শনাক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে, আমরা কমান্ডারকে জবাবদিহি করার সুপারিশ করব।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগীদের পরিবারের উপর প্রভাব বহুমুখী। এর মধ্যে গুরুতর মানসিক আঘাত থেকে শুরু করে আইনি এবং আর্থিক চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত সবধরনের প্রতিক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক
ব্যর্থতা স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৬৬
ভোটের মাঠে ইসলামের পক্ষে একটিই বাক্স পাঠানোর প্রত্যয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি
এবার জার্সিতে ‘পাকিস্তান’ লেখা নিয়ে ভারতের আপত্তি, খেপেছে পিসিবি
ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত এবং গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
কেন ভ্যাট বাড়িয়েছি, কিছুদিন পর জানবেন: অর্থ উপদেষ্টা
পুতিন রাশিয়াকে ধ্বংস করছেন : ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাবা হারালেন সংগীতশিল্পী মনির খান
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি