শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এনবিআরের সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণে বছরে শতকোটি টাকা ব্যয়, তবুও হ্যাক

ছবি: সংগৃহীত

কাস্টমসের সার্ভারে একের পর এক হ্যাকের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ২০১৫,২০১৬,২০১৯,২০২২ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে কয়েকদফা রাজস্ব কর্মকর্তাদের আইডি হ্যাক করে কয়েক হাজার কোটি টাকার পণ্য খালাস নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর এতে প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

অথচ প্রতিবছর কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণের নামে শতকোটি টাকা খরচ করে যাচ্ছে এনবিআর। গত ৩ বছরে সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কেনাকাটা করেও এনবিআরের সার্ভার সিস্টেম নিরাপদ করা যায়নি। অথচ বার বার এ ঘটনা ঘটলেও এখনো নিশ্চুপ-নির্বিকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ।

উচ্চ শুল্ক ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মদ-বিয়ার, সিগারেট, ঘন চিনি ও বন্ডের কাপড় চালান ধরা পড়লেও দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিতের পরিবর্তে দায়িত্বশীলদের মনোযোগ শুধু কেনাকাটায়। ৩ বছরে সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণে সরকারি এই সংস্থাটি প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কেনাকাটা করেছে। তবে এই কেনাকাটার মান ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ সংস্থাটির অভ্যন্তরে। দায়িত্বশীলরা দায় এড়াতে বিশেষজ্ঞদের পরিবর্তে কাস্টমস কর্মকর্তাদের দিয়ে লোকদেখানো অডিট করাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে এবং কেনাকাটা জায়েজ করতেই অডিটের নামে আইওয়াশ করা হচ্ছে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সিস্টেমের কেনাকাটা ও অডিট করালে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

কাস্টমসে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতি রোধে ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম ঢাকা কাস্টম হাউজে অ্যাসাইকুডা ভার্সন-টু সফটওয়্যার চালু করা হয়। ২০০২ সালে অ্যাসাইকুডা প্লাস প্লাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাস্টমস। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে অত্যাধুনিক ভার্সন হিসাবে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজসহ সব কাস্টম হাউজে চালু করা হয়। বর্তমানে এ পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি দলিলাদি জমা এবং শুল্কায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড) বাংলাদেশ কাস্টমসকে বিনামূল্যে অ্যাসাইকুডা সফটওয়্যারটি সরবরাহ করে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালে অ্যাসাইকুডা সিস্টেম হ্যাকের খবর আলোচনায় আসে। ওই বছর শুল্ক গোয়েন্দার তদন্তে উঠে আসে, অবসরপ্রাপ্ত এক রাজস্ব কর্মকর্তার ইউজার আইডি-পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ১১৬ বার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে লগইন ও লগআউট করে পণ্য খালাস নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালে বদলি হওয়া আরেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৮১ বার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লগইন করা হয় এবং ৮৫০ কোটি টাকার পণ্য খালাস নেওয়া হয়। এ ঘটনায় তখন পুরো এনবিআরে হইচই পড়ে যায়।

এরপর ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর সিস্টেমে প্রবেশে নতুন সিকিউরিটি ফিচার ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) চালু করা হয়। তাতেও সিস্টেম নিরাপদ করা যায়নি। ২০২২ সালে মৃত রাজস্ব কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে সিস্টেমে প্রবেশের মাধ্যমে পণ্য চালান খালাসের চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ ২৮ জুন উপকমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়ার আইডি হ্যাকের মাধ্যমে ওয়াটার পিউরিফাইয়ার ঘোষণায় বিদেশি মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট খালাস নেওয়ার চেষ্টা চালায় সংঘবদ্ধ চক্র। শুধু মে মাসেই তার আইডি ব্যবহার করে সিস্টেমে ৪০-৪৫ বার প্রবেশ করা হয়েছে। অথচ এ সময় তিনি দেশেও ছিলেন না।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, একের পর এক সার্ভার হ্যাকের ঘটনা ঘটায় ২০২২ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে সিস্টেম অডিট করানোর অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এনবিআর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উলটো অ্যাসাইকুডা সিস্টেম সুরক্ষার নামে বিপুল অঙ্কের অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করা হয়। আর শীর্ষ কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে প্রশিক্ষণের নামে প্রতিবছর বিদেশ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। নেটওয়ার্কিং, ডেটা সেন্টার, সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট, সার্ভিসিংয়ের নামে ৩ বছরে সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কেনাকাটা করা হয়েছে।

লোকদেখানো তদন্ত কমিটি : গত ১২ নভেম্বর কাস্টমস কর্মকর্তাদের দিয়ে সিস্টেমের ৭টি মডিউল অডিট করাতে পৃথক ৭টি কমিটি করা হয়। এগুলো হচ্ছে-১. বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেপজা, বেজা ও আইভাস সিস্টেমের সঙ্গে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের ইন্টিগ্রেশন সংক্রান্ত অডিট। ২. রেফারেন্স মডিউল অডিট, ৩. এক্সিট নোট অডিট, ৪. পেমেন্ট অডিট, ৫. বিল অব এন্ট্রি মডিউল অডিট, ৬. মেনিফেস্টো ও বিল অব ল্যাডিং অডিট, ৭. ইউজার ম্যানেজমেন্ট অডিট। এসব কমিটিতে প্রোগ্রামার ছাড়া যে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে, তাদের কারোরই সফটওয়্যার বা আইটিবিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কারিগরি প্রশিক্ষণ নেই। কেউ পড়াশোনা করেছেন বাংলায়, কেউ ব্যবসায় প্রশাসন, কেউ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে, কেউ মাইক্রোবায়োলজি বা মার্কেটিং বিষয়ে। কমিটির সদস্যদের এক মাসের মধ্যে সিস্টেম অডিটের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হলেও এখনো অধিকাংশ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

অডিটে প্রাপ্ত ফলাফলের বিষয়ে জানতে কয়েকটি কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত ৩টি কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, প্রতিবেদনে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের মডিউলের কর্মপদ্ধতি এবং সিস্টেম নিরাপদ রাখার বিষয়ে ‘ধারণাপ্রসূত’ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে সেটা সম্ভব, সেজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সিস্টেম অডিট করাতে সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও অ্যাসাইকুডা সিস্টেম অডিট করতে কমিটি করেছিল এনবিআর। ২০২২ সালের ২২ জুলাই সিস্টেম হ্যাক করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস নেওয়া মদ-বিয়ারের চালান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে র‌্যাব জব্দ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট সার্ভার হ্যাকের ঘটনা তদন্তে শুল্ক গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেয় এনবিআর। তদন্ত কমিটি সার্ভার হ্যাকে জড়িতদের শনাক্তে ব্যর্থ হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ছাড়া সিস্টেমে অনুপ্রবেশ অত্যন্ত টেকনিক্যাল হওয়ায় এবং এনবিআরের ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব না থাকায় সাইবার সিকিউরিটিতে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্তে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

সরষের মধ্যে ভূত : সিস্টেম অডিটে জড়িত কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিবার সার্ভারে লগইনের সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মোবাইলে ওটিপি এসেছে। কিন্তু আশ্চার্যজনক বিষয় হচ্ছে, যেসব চালানে মদ-বিয়ার, সিগারেট, ঘন চিনি ও বন্ডের কাপড় ছিল, সেসব চালানে ওটিপি মেসেজ যায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, পাসওয়ার্ড ঠিকভাবে দেওয়ার পরই কেবল মোবাইলে ওটিপি মেসেজ যাওয়ার কথা। সার্ভার হ্যাকের প্রতিটি ঘটনায় পাসওয়ার্ড সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে, কেবল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মোবাইলে ওটিপি যায়নি। এক্ষেত্রে হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজে পাসওয়ার্ড কম্প্রোমাইজ করেছেন অথবা কর্মকর্তাদের পাসওয়ার্ড যে স্থানে সুরক্ষিত থাকার কথা, সেখানে অ্যাকসেস রয়েছে এবং সিস্টেম সম্পর্কে অতি উচ্চ ধারণা রয়েছে-এমন ব্যক্তিরা হ্যাকের সঙ্গে জড়িত, যা সাধারণ কর্মকর্তাদের পক্ষে নিরূপণ করা সম্ভব নয়।

সর্বশেষ ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে একাধিক আইটি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সার্ভার হ্যাকের পেছনে কাস্টমস ও আইটি কর্মকর্তাদের শতভাগ যোগসাজশ আছে। যোগসাজশ ছাড়া কোনোভাবেই সিস্টেম হ্যাক সম্ভব নয়। কারণ, সিস্টেম সুরক্ষার জন্য কম্পিউটারের সঙ্গে আইপি অ্যাডড্রেস বাইন্ড করা হয়। কোনো কারণে অন্য কর্মকর্তার কম্পিউটারের আইপি অ্যাডড্রেস ইউজার আইডির সঙ্গে বাইন্ড করা হলে আগের ইউজার আইডি থেকে আইপি অ্যাডড্রেস বাতিল (আইপি রিলিজ) হয়ে যায়। কেবল সিস্টেম সম্পর্কে জানাশোনা ব্যক্তিরাই বলতে পারবেন, কখন কোন আইপি বাইন্ড করা হয়েছে। তাছাড়া সিস্টেমে প্রবেশের জন্য সঠিক পাসওয়ার্ড দিতে হবে, তারপর আসে ওটিপি। এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তারা পাসওয়ার্ড কম্প্রোমাইজ না করলে সিস্টেমে প্রবেশ দুষ্কর। তাদের মতে, ইন্টারনেটে সবকিছুর ফুটপ্রিন্ট থাকে। কখন, কোথায়, কীভাবে, কে বা কারা সিস্টেমে প্রবেশ করেছে, সেটিরও ফুটপ্রিন্ট অবশ্যই থাকার কথা। উচ্চ আইটি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরা সহজেই সেটি শনাক্ত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কেবল প্রয়োজন এনবিআরের সদিচ্ছা। বাংলাদেশেই এখন বিশ্বমানের আইটি ইঞ্জিনিয়ার আছে, যারা দেশে বসেই বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছেন। অ্যাসাইকুডা সিস্টেমের অডিট করালে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা সম্ভব।

এ বিষয়ে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের সরকারি ও করপোরেট কোম্পানিগুলো সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করে না। একবার একটি সিস্টেম চালু করলে সেটির সাইবার নিরাপত্তার খোঁজ রাখা হয় না। এ সুযোগটা নেয় দুষ্কৃতকারীরা। বিভিন্ন সিস্টেমে ঢুকে তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। বর্তমান সময়ে ব্যাংকের ভল্টের চেয়ে মূল্যবান হচ্ছে ডেটা ভল্ট। অ্যাসাইকুডা সার্ভার হ্যাক করে সিগারেট খালাস নেওয়ার চেষ্টার বিষয়ে তিনি বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এর জন্য যোগসাজশ অথবা অবহেলা দায়ী। এনবিআর তার সিস্টেম সুরক্ষিত রাখতে সাইবার অডিট করাতে পারে। বাংলাদেশেই এখন অনেক ভালো ইথিক্যাল হ্যাকার রয়েছে, যারা বিশ্বের অনেক বড় বড় সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করছে।

অ্যাসাইকুডা সিস্টেম দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এই পৃথিবীর কোনো সফটওয়্যারই শতভাগ নিরাপদ নয়। অ্যাপল, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানকেও প্রতিনিয়ত সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয়। আমরাও অ্যাসাইকুডা সিস্টেম নিরাপদ রাখতে সর্বাধুনিক ফায়ারওয়্যাল-ম্যালওয়্যার রান করাচ্ছি। সফটওয়্যারের ভালনারিবিলিটি পরীক্ষার জন্য কম্পিউটার কাউন্সিলে ফি জমা দিয়েছে। সফওয়্যাট নিরাপদ রাখতে কাজ করছি।

 

সংবাদ সূত্র: যুগান্তর

Header Ad

বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৫ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা

ছবি: সংগৃহীত

তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শনিবার (১৬ নভেম্বর) এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগের বদলগাছীতে ভোররাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল দিনের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা।

অন্যদিকে, ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ভোরের দিকে দেশের নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

রোববার সকাল থেকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ভোরের দিকে দেশের নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

পরিচালকের নেশা মিশ্রিত চকোলেট খেয়ে বিপাকে অভিনেত্রী

অভিনেত্রী শাহনাজ সুমি। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী শাহনাজ সুমি রিয়েলিটি শো ‘সেরা নাচিয়েতে অংশগ্রহণ করে শোবিজে যাত্রা করেন। একই সময়ে ‘সোনার পাখি রুপার পাখি’নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। ‘পাপ পুণ্য’, ‘দামাল’সহ কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি।

সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় এক নির্মাতার বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন এই অভিনেত্রী। ওই নির্মাতার অফিসে যাওয়ার পর হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর দাবি, চকোলেটের সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল তাকে।

অভিনেত্রী শাহনাজ সুমি। ছবি: সংগৃহীত

চকোলেট মুখে দিয়ে খেতে খেতে কেমন একটা বাজে অনুভূতি হচ্ছিল অভিনেত্রী শাহনাজ সুমির। মিনিট সাতেকের মধ্যেই মাথা ভার হওয়া শুরু হলো তার। তখনো জ্ঞান আছে, তাই দেরি না করে নিজেকে রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু হায়! পরিচালক তার পিছু ছাড়লো না। অপেক্ষায় রইল কখন পুরোপুরি অজ্ঞান হয়ে পড়েন সুমি। এটা কোনো নাটক-সিনেমার গল্প নয়। সত্যি-সত্যিই মতলববাজ পরিচালকের ফাঁদে পড়েছিলেন শাহনাজ সুমি।

নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিব্রতকর পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন সুমি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তিন মাস আগে এক পরিচালকের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নির্মাতা তাকে চকোলেটের প্যাকেট ভেঙে অর্ধেকটা খেতে দেন। খাওয়ার ৭ থেকে ৮ মিনিটের মাথায় অভিনেত্রীর মাথা ভার হতে শুরু করে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিপদ এড়াতে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন সুমি।

অভিনেত্রী আরও জানান, অফিস থেকে বের হওয়ার পরও তার পিছু নিয়েছিলেন ওই নির্মাতা। সুমি বলেন, পরিচালকের অফিস থেকে বেরিয়ে লিফটের সামনে গিয়ে বুঝতে পারছিলাম না কোন বাটনে চাপ দিলে নিচে নামব। তখন নির্মাতা আমার পেছনে এসে জিজ্ঞাসা করল, এখনো যাওনি? এসো, ভেতরে এসে বসো। তখন আমি বললাম—না, আমাকে এখন যেতেই হবে।

সুমি আরও বলেন, লিফটে না গিয়ে রেলিং ধরে ধরে সিঁড়ি দিয়ে নামতে লাগলাম। নির্মাতা তখন আমার পেছনে পেছনে নামতে লাগল। আমাকে আবারও জিজ্ঞাসা করল, তুমি কোথায় যাবে? আমি কোনো একটা ঠিকানা বলার পর সে বলল, আমিও যাব সেখানে। সে হয়ত আমার জ্ঞান হারানোর অপেক্ষা করছিল। মনে হলো, আমার পালানো উচিত। অন্য কোথাও যাব বলে সেখান থেকে দ্রুত হেঁটে বের হয়ে এলাম। ঘটনা বর্ণনা করলেও পরিচালকের নাম প্রকাশ করেননি এই অভিনেত্রী।

Header Ad

ডেনমার্ককে খাদের কিনারায় রেখে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন

ছবি: সংগৃহীত

গ্রুপ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচেই নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল স্পেন। পঞ্চম ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল স্প্যানিশরা। ম্যাচটি তাদের কাছে নিয়মরক্ষার হলেও ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ছিল ডেনিশদের কাছে। কারণ, স্পেনের বিপক্ষে জিতলে বা ড্র করতে পারলেও শেষ আটে জায়গা পেত ডেনমার্ক।

কিন্তু শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে কোপেনহেগেনে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন স্পেনের কাছে ২-১ গোলে হেরে খাদের কিনারায় চলে গেছে ডেনমার্ক। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে পরের ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে অন্তত ড্র করতে হবে ডেনমার্ককে। সেটি করতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারবে তারা।

এদিন ম্যাচের ১৫ মিনিটে মিকেল ওয়ারজাবালের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সফরকারী স্পেন। ৫৮ মিনিটে আয়োজ পেরেজের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্প্যানিশরা।

৮৪ মিনিটে স্বাগতিক ডেনমার্কের হয়ে একটি গোল করেন গুস্তাব আইজেকসেন। শেষ বাঁশির সমতাসূচক গোলটি পায়নি ডেনমার্ক। ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশরা।

এতে ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে স্পেন। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ডেনমার্ক। ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে সার্বিয়া। ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে সুইজারল্যান্ড।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৫ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
পরিচালকের নেশা মিশ্রিত চকোলেট খেয়ে বিপাকে অভিনেত্রী
ডেনমার্ককে খাদের কিনারায় রেখে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন
হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন ক্যারোলিন লেভিট
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম মারা গেছেন
আসছে আদর-বুবলীর ‘পিনিক’
ভারতের হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ১০ শিশুর মৃত্যু
স্যামসন-তিলকের জোড়া সেঞ্চুরিতে সিরিজ জিতল ভারত
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমুদ্র যোগাযোগ চালু, ভারতের উদ্বেগ
শেখ হাসিনা ফেরার চেষ্টা করলে রাশিয়া পাঠিয়ে দেবো: হাসনাত আব্দুল্লাহ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
শনিবার ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মহানবী (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারতে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা
আইপিএল নিলামের শর্টলিস্টে ১২ বাংলাদেশি, কার ভিত্তিমূল্য কত?
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল নেপাল
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
ছেলে নির্দোষ, নারীকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ যুবককে পুড়িয়ে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বড় রদবদল, ৩ জনকে ওএসডি