বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪ | ২০ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাগলকাণ্ডে মতিউর-ফয়সালের পর ফাঁসছেন এনবিআরের আরেক কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

এক ছাগলেই যেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) টালমাতাল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে । সাদিক এগ্রোর সেই ১৫ লাখ টাকার ওই ছাগল কিনে নেট দুনিয়ায় আলোচনার জন্ম দেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সামনে চলে আসে ইফাতের বাবা মতিউর রহমানের নাম। যিনি কিনা এনবিআরের উচ্চপদস্ত একজন কর্মকর্তা। এরপরই বের হতে থাকে তার একের পর এক অবৈধ আয়ের খবর। একদিকে হারান স্বীয় পদ, অন্যদিকে জোর তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে খোঁজ মেলে মতিউর আর তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের পাহাড়ের। এই অনুসন্ধান চলাকালেই দুদকের নজরে পড়ে এনবিআরের প্রথম সচিব ও অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের ওপর। নিজের এবং স্বজনদের নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তিনিও। মতিউর ও ফয়সালের বিশাল অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর যখন মানুষের মুখে মুখে, ঠিক তখনই অবৈধভাবে কোটি টাকা অর্জনকারী আরেক এনবিআর কর্মকর্তার খোঁজ পেল দুদক।

প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান, তার স্ত্রী কান্তি রহমান ও ছেলে ফাইজুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র অনুমোদন পাওয়ার পর এখন চলছে আদালতে দাখিল করার প্রক্রিয়া। দুদক সূত্রে জানা গেছে, শিগগির এনবিআরের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন। এনবিআরের কাস্টমস বিভাগের সদস্য আলোচিত মতিউর রহমান ও কর বিভাগের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে।

এদিকে সোমবার (১ জুলাই) রাজস্ব বোর্ডের সাবেক আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়েছে। ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহারের নামে মামলা করেছে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মোখলেছুর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। মোখলেছুর রহমান ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুদকের কাজে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অবশ্য আইনগত সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্যকে এখন চার্জশিটভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন।

জানা গেছে, গত ২৫ জুন কমিশনের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২ নভেম্বর দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান ১৯৮০ সালের কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি পান তিনি। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। চার্জশিটে দ্বিতীয় আসামি মোখলেছুরের স্ত্রী কান্তি রহমান। তাদের দুই ছেলের মধ্যে একজন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এবং অন্যজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মোখলেছুর রহমান চাকরিকালে নিজ নামে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৮১ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ টাকাসহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ টাকা। এর বিপরীতে তার মোট আয় পাওয়া যায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ২২০ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ১১৩ টাকা অবৈধ হিসাব হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মোখলেছুরের স্ত্রী কান্তি রহমানের নামে তিন কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার ২০৫ টাকার স্থাবর এবং ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট তিন কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ২০৫ টাকার সম্পদের বিবরণ পেয়েছে দুদক। যা পারিবারিক ব্যয়সহ মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭১ টাকা হয়। আর ওই সম্পদের বিপরীতে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র এক কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ৭১৮ টাকা। অর্থাৎ ৩ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৩ টাকা অবৈধ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের তদন্তে।

এদিকে, তৃতীয় আসামি ও মো. মোখলেছুর রহমান খানের বড় ছেলে মো. ফয়জুর রহমান খান বর্তমানে বিদেশে থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত অপরাধ মিলেছে দুদকের তদন্তে। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় ফয়জুর রহমান ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার সিডব্লিউএন (বি) ব্লকের ৩৬ নং রোডে জেনেটিক রিচমন্ড নামের একটি ভবনে কার পার্কিং স্পেসসহ ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৯ টাকায় ১৯৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। দালিলিক মূল্য ওই টাকা হলেও বাস্তবে ফ্ল্যাটের মূল্য ছিল দুই থেকে তিন কোটি টাকা। এছাড়া, তার নামে কিশোরগঞ্জে ৫০ শতক জমি ও ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্সসহ অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে মোট ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদের সন্ধান মিলেছে। যার বিপরীতে তার প্রমাণযোগ্য মোট আয় পাওয়া যায় ৪০ হাজার টাকা। এখানে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে তার বাবা মো. মোখলেছুর রহমান খান তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং তিনি তার বাবার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। কৌশল হিসেবে নিজের নামে রেখে তার বাবাকে আমমোক্তার নিয়োগ করেছেন। সে কারণে মো. ফাইজুর রহমান খানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

Header Ad

আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকনেতাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বৈঠক হয়নি বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি জরুরি সাক্ষাৎ রয়েছে। তাই তিনি আমাদের সময় দিতে পারেননি। আগামীকাল মন্ত্রী বৈঠকের বিষয়ে আমাদের জানাবেন।

এর আগে গতকাল (বুধবার) অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া আজ বৈঠক হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। শিক্ষকেরা বলছেন, নতুন পেনশন স্কিমের কারণে জুলাইয়ে যোগ দেওয়া শিক্ষকেরা অবসরের পর এককালীন টাকা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন না। কর্মবিরতি ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের আশঙ্কা নেই জানিয়ে তাঁরা বলছেন, দাবি আদায় হলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

তিস্তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি চীন: ইয়াও ওয়েন

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ছবি: সংগৃহীত

তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চীনের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা সম্মান করব। এ প্রকল্প নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমরা, এখনো বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কূটনীতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডি ক্যাব আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ইয়াও ওয়েন বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি আছে চীন। যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা সম্মান করব। এখনও আমরা বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এ নদী বাংলাদেশের নদী। অতএব তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেটা সম্পন্ন করয়েছি। যে পক্ষই এ প্রকল্পে কাজ করুক, দ্রুত শেষ হোক; সেটাই আমরা চাই। উত্তরের সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক, সেটা আমরা চাই। প্রয়োজন হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি আছে চীন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর প্রসঙ্গে ইয়াও ওয়েন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে এদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কৃষি সহযোগিতা, ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট, ডিজিটাল ইকোনোমি, শিক্ষা, গণমাধ্যমের সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে। আবার রোহিঙ্গা সংকটও আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ উন্মুক্ত করতে চীন কাজ করছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু যত জটিলই হোক, আমরা চেষ্টা করে যাব যুদ্ধবিরতি আনার। যুদ্ধবিরতি না হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন। আমরা আরাকান আর্মির সঙ্গেও কথা বলেছি এ বিষয়ে। আরাকান আর্মিসহ সব আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।

তবে সহসাই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব নয়, এমনটা ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তৃতীয়পক্ষীয় আলোচনা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এটিকে আমরা বন্ধ বলতে চাই না। এটাও নিশ্চিত নই যে, কবে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে, গৃহযুদ্ধ থামে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দ্বার উন্মুক্ত হয়।

ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখে চীন। এ ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন চলতে থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ৪ হাজার ডলার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও চীনের দৃষ্টিভঙ্গি একই। ফলে আমাদের সম্পর্কের একটি কমন জায়গা রয়েছে।

একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় ধাপের ফল রাতে

ছবি: সংগৃহীত

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপের মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। যারা প্রথম ধাপে কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হননি বা আবেদন করেননি তারাই দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করে। আর প্রথম ধাপে যারা কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাননি তারা মাইগ্রেশনের জন্য আবেদন করে। উভয়ের ফল আজ রাত ৮টার প্রকাশ করা হবে।

ভর্তিচ্ছুরা একাদশে ভর্তির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফল দেখতে পারবেন। ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীর নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরেও এসএমএসের মাধ্যমে মনোনীত কলেজ ও মাইগ্রেশনের পর আবেদনকারী কোন কলেজে মনোনীত হয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র ও একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দ্বিতীয় ধাপে অধিকাংশ শিক্ষার্থী কলেজ পেয়ে যাবে। হয়তো হাতে গোনা কিছু শিক্ষার্থী বাকি থাকতে পারে। তারা তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত হয়ে কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে। পর্যাপ্ত আসন থাকায় কেউ ভর্তিবঞ্চিত থাকবে না।

আগামী ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন চলবে। ১২ জুলাই তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৩ ও ১৪ জুলাই তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে।

তিন ধাপে নির্বাচিত এবং সফলভাবে নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ১৫ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ৩০ জুলাই অনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। ফল পুনঃনিরীক্ষণে আরও প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেন। তবে সারাদেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে।

সর্বশেষ সংবাদ

আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক স্থগিত
তিস্তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি চীন: ইয়াও ওয়েন
একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় ধাপের ফল রাতে
অনন্ত-রাধিকার বিয়ে মাতাতে মুম্বাইয়ে জাস্টিন বিবার
টিকটকের অন্তরালে ‘সমকামী ভিডিও’ তৈরি করতো তারা
মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় আপাতত বহাল
ট্রফি নিয়ে দেশে পৌঁছেছে কোহলি-রোহিতরা
বাথরুমের পাশে পাওয়া গেল ফুটফুটে এক নবজাতক
সেপটিক ট্যাংকে পড়ে প্রাণ গেল মা-ছেলেসহ ৩ জনের
দুপুর ১টার মধ্যে আট অঞ্চলে ঝোড়ো বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী ? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ২
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক বসছে আজ
১৫ জুলাইয়ের পর কমবে গ্যাস সংকট: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি’র ২৮ জন নেতাকর্মী জেলহাজতে
কোটা সংস্কার ও শিক্ষক আন্দোলনে ভর করেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
কোটা বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অবরোধের হুমকি জাবি শিক্ষার্থীদের
২০৩৫ সালে দেশে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার হবে: প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই গণতন্ত্রের মুক্তি: সাবেক সাংসদ কালাম
সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে গবেষণায় সাপোর্ট দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী