আপাতত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
দেশে ৪৬১৩টি এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর শেষ দিকে হওয়ায় আপাতত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে না।
রোববার (৯ জুন) সংসদের বাজেট অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন। রোববারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর আলোকে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার, প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত করার কাজটি বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অটোমেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরের আর এক মাসেরও কম সময় অবশিষ্ট রয়েছে। এ স্বল্প সময়ে নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।
এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১০৫টির কার্যক্রম চলছে। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ২৯টিতে, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ৮০টি এবং ৩৫টি ট্রেজারার পদ শূন্য রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণভাতা প্রাপ্তিতে বিলম্বের সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক রয়েছে। এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অবসর উত্তরকালে শিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থ যেন দ্রুততম সময়ে পেতে পারেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে সমস্যার উত্তরণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং গঠিত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।