মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অনুমতি না নিয়ে সম্পদ ক্রয় করা সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে!

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা রকম সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক এই পুলিশপ্রধানের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তার সম্পত্তির নতুন নতুন খোঁজখবরও বের হতে শুরু করেছে। বেনজীরকে নিয়ে ঘটনাপ্রবাহ যে নাটকীয় মোড় নিয়েছে, তা একই সঙ্গে বিস্ময় ও তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে চাকরিতে থাকাকালীন সময়ে তিনি তার স্ত্রী এবং কন্যাদের নামে যে বিপুল সম্পদ বানিয়েছিলেন তার কোনটার জন্যই সরকারের কোন অনুমতি নেননি। অথচ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী চাকরি বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি কোন স্থাবর সম্পত্তি কিনতে চান তাহলে সরকারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে। এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি ওই সম্পদ কিনতে পারবেন। তাছাড়া কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর স্বামী, স্ত্রী বা পরিবারের কোন সদস্য যদি কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রেও তাদেরকে অনুমতি দিতে হবে।

অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন, তাদের স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়টি সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে করা হতো। কিন্তু বেনজীর আহমেদ যেন ছিলেন আইন বিচারের ঊর্ধ্বে। তিনি কোন কিছুই মানতেন না। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছিলেন, জমি কিনেছিলেন। যদিও এসব তার নিজের নামে নয়। তার স্ত্রী এবং নাবালিকা সন্তানদের নামে করেছিলেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারী আচরণ এবং শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী এ ধরনের সম্পদ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এদিকে বেনজীর আহমেদের এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে যে, সরকারি কর্মকর্তাদেরকে আইনের কথাটা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আগামী সপ্তাহে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে প্রেরণ করা হবে। নতুন করে তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। তারা যদি কোন স্থাবর সম্পদের মালিক হন যেমন জমি জমা ফ্ল্যাট ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে তাদেরকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

এছাড়াও ওই চিঠিতে একজন সরকারি কর্মকর্তার স্বামী, স্ত্রী বা সন্তান কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন, সে ক্ষেত্রেও সরকারের অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতার কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন কোন সরকারি কর্মকর্তার কী কী স্থাবর সম্পত্তি আছে এবং সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদেরকে অবহিত করা হয়েছে কি না সে সম্পর্কে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এই তালিকা অনুযায়ী যারা সরকারের কোন অনুমতি না নিয়েই সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই সমস্ত সম্পদগুলোকে অবৈধ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন।

আইন থাকার পরও কেন এতদিন মানা হয়নি- এ ব্যাপারে অবশ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনই কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত প্রশাসন ক্যাডারে যাদের স্ত্রী ব্যবসা বাণিজ্যিক করেন বা প্রশাসন ক্যাডারের কোন কর্মকর্তা যদি স্থাবর সম্পত্তি যেমন ফ্ল্যাট জমি ইত্যাদি কেনেন তাহলে তারা চাকরি বিধি মেনেই অনুমতি নেন। কিন্তু বেনজীর আহমেদের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, এই বিষয়টি সামনে আসার আগে পর্যন্ত সরকারের কেউই জানতেন যে, বেনজীর আহমেদ এতো বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক। তবে এই ঘটনা সরকারকে সতর্ক করেছে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল মহল বলছে। এখন থেকে এই বিষয়টি কড়া নজরদারি আরোপ করা হবে এবং অনুমতি না নিয়ে যারা সম্পদ কিনেছে তাদের তালিকা করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা উচিত নয়। তিনি সোমবার রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রকৃত সত্য প্রকাশ পায়নি এবং এখনো কিছু ক্ষেত্রে সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে জামায়াত নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছিল। তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে কারো শহীদ হওয়ার স্বীকৃতি নির্ধারিত হতো। তিনি দাবি করেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়ে জাতি এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যদি সাংবাদিকরা তাদের প্রকৃত দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে ফ্যাসিবাদী শাসন জাতির ওপর এত শক্তভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ সত্য প্রকাশ করা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই সাংবাদিকতার মূল নীতি। কিন্তু ফ্যাসিবাদী শাসন এই নীতিকে ব্যাহত করেছিল, যার কিছু প্রভাব এখনো বিদ্যমান।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসের জন্য আজকের জয় ছিল স্বস্তির। তারা রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুইটি হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।

আজকের ম্যাচে তাদের বোলার এবং ফিল্ডারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, রাজশাহীর ফিল্ডারদের দুর্বলতা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একাধিক সহজ ক্যাচ রাজশাহী ফিল্ডাররা ফেলে দেন, যার মধ্যে তাসকিন আহমেদের বলেই দুটি ক্যাচ পড়েছে।

রাজশাহী আজ অধিনায়ক পরিবর্তন করে খেলেছিল, কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল। সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল ইনিংসের প্রথম ও ১৯তম ওভারে সহজ ক্যাচ ফেলেন, এবং বার্ল হাঁটুর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর ফলে রাজশাহীকে আরও বিপদে ফেলেছিল।

চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জন্যও ছিল কিছুটা ভাগ্য, কারণ তিনি দুটি জীবন পেয়েছেন। তাসকিন ও বার্লের ক্যাচ ফেলায় মিঠুন তার ইনিংসে ২০ বল খেলে ৩২ রান করেন। অপরদিকে, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যান নাঈম উদযাপন করেছেন নিজের ফিফটিতে, যার মধ্যে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চার ছিল।

বিপরীতে, রাজশাহীর ব্যাটিং খুবই ধীর গতিতে চলছিল এবং তারা ১৯১ রানের টার্গেট তাড়ায় মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। চিটাগংয়ের বোলাররা বিশেষ করে শরীফুল ইসলাম ও নাঈম দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলেন।

এই জয়ে চিটাগং কিংস দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে রাজশাহী ষষ্ঠ হার তুলে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী