রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অনুমতি না নিয়ে সম্পদ ক্রয় করা সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে!

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা রকম সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক এই পুলিশপ্রধানের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তার সম্পত্তির নতুন নতুন খোঁজখবরও বের হতে শুরু করেছে। বেনজীরকে নিয়ে ঘটনাপ্রবাহ যে নাটকীয় মোড় নিয়েছে, তা একই সঙ্গে বিস্ময় ও তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে চাকরিতে থাকাকালীন সময়ে তিনি তার স্ত্রী এবং কন্যাদের নামে যে বিপুল সম্পদ বানিয়েছিলেন তার কোনটার জন্যই সরকারের কোন অনুমতি নেননি। অথচ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী চাকরি বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি কোন স্থাবর সম্পত্তি কিনতে চান তাহলে সরকারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে। এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি ওই সম্পদ কিনতে পারবেন। তাছাড়া কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর স্বামী, স্ত্রী বা পরিবারের কোন সদস্য যদি কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রেও তাদেরকে অনুমতি দিতে হবে।

অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন, তাদের স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়টি সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে করা হতো। কিন্তু বেনজীর আহমেদ যেন ছিলেন আইন বিচারের ঊর্ধ্বে। তিনি কোন কিছুই মানতেন না। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছিলেন, জমি কিনেছিলেন। যদিও এসব তার নিজের নামে নয়। তার স্ত্রী এবং নাবালিকা সন্তানদের নামে করেছিলেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারী আচরণ এবং শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী এ ধরনের সম্পদ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এদিকে বেনজীর আহমেদের এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে যে, সরকারি কর্মকর্তাদেরকে আইনের কথাটা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আগামী সপ্তাহে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে প্রেরণ করা হবে। নতুন করে তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। তারা যদি কোন স্থাবর সম্পদের মালিক হন যেমন জমি জমা ফ্ল্যাট ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে তাদেরকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

এছাড়াও ওই চিঠিতে একজন সরকারি কর্মকর্তার স্বামী, স্ত্রী বা সন্তান কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন, সে ক্ষেত্রেও সরকারের অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতার কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন কোন সরকারি কর্মকর্তার কী কী স্থাবর সম্পত্তি আছে এবং সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদেরকে অবহিত করা হয়েছে কি না সে সম্পর্কে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এই তালিকা অনুযায়ী যারা সরকারের কোন অনুমতি না নিয়েই সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই সমস্ত সম্পদগুলোকে অবৈধ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন।

আইন থাকার পরও কেন এতদিন মানা হয়নি- এ ব্যাপারে অবশ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনই কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত প্রশাসন ক্যাডারে যাদের স্ত্রী ব্যবসা বাণিজ্যিক করেন বা প্রশাসন ক্যাডারের কোন কর্মকর্তা যদি স্থাবর সম্পত্তি যেমন ফ্ল্যাট জমি ইত্যাদি কেনেন তাহলে তারা চাকরি বিধি মেনেই অনুমতি নেন। কিন্তু বেনজীর আহমেদের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, এই বিষয়টি সামনে আসার আগে পর্যন্ত সরকারের কেউই জানতেন যে, বেনজীর আহমেদ এতো বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক। তবে এই ঘটনা সরকারকে সতর্ক করেছে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল মহল বলছে। এখন থেকে এই বিষয়টি কড়া নজরদারি আরোপ করা হবে এবং অনুমতি না নিয়ে যারা সম্পদ কিনেছে তাদের তালিকা করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম

পুলিশের ৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর। ছবি: সংগৃহীত

উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।

অবসরে পাঠানো চারজন হলেন- এন্টি টেররিজম ইউনিট কর্মরত ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ পুলিশের কর্মরত ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া, এনডিসি ও আমেনা বেগম।

 এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে এই চারজনকে অবসর প্রদান করা হলো। 

তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। 

এর আগে বিতর্কিত শেষ তিন সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা তিন সচিবসহ ২২ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক