জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিস বিল্ডিং কমিশন–পিবিসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের অধিবেশনে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচিত হওয়ার পরপরই সভাপতির আসনে বসে শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের ষোড়শ অধিবেশনের সভা পরিচালনা করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনিই প্রথম পিবিসির নারী সভাপতি।
বিদায়ী সভাপতি মিশরের স্থায়ী প্রতিনিধি ওসামা আবদুল খালেকের কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাবাব ফাতিমা। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের ২০২২ সালের ষোড়শ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
ইউএন পিস বিল্ডিং কমিশন এক টুইটবার্তায় জানায়, কমিশনের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের বৈঠকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝ্যাং জুন এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘২০২২ সালে শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের নতুন সভাপতি বাংলাদেশকে অভিনন্দন। বিশ্বজুড়ে সংঘাতময় দেশ ও অঞ্চলগুলোতে ভূমিকা রাখার জন্য গত বছরের শান্তিরক্ষা বিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি মিশরকেও আমি ধন্যবাদ জানাই।’
দায়িত্বগ্রহণের পর বক্তৃতায় রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে থাকবে দেশগুলোকে সহায়তার ক্ষেত্রে সময়মত সম্পৃক্ত হওয়া এবং পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাহিদামত দৃষ্টিপাত করা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিশনের কাজের পরিধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সক্রিয় হব।’
উল্লেখ্য, আন্তঃসরকারি উপদেষ্টা ফোরাম শান্তি পতিষ্ঠা কমিশন সংঘাতে জড়িত বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে থাকে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের মাধ্যমে নির্বাচিত ৩১ সদস্য নিয়ে গঠিত হয় এই কমিশন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে শীর্ষ অর্থ সাহায্যদাতা এবং সৈন্য প্রেরণকারীদের মধ্যে শীর্ষ দেশগুলোও এর সদস্য।
এসএ/