রাজধানী সংলগ্ন পাঁচ ডিসিকে ডেকেছেন হাইকোর্ট
ঢাকাসহ রাজধানী সংলগ্ন পাঁচ জেলার জেলা প্রশাসককে ডেকেছেন হাইকোর্ট। অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও রাজধানি ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে আদালতের আদেশ পালনের অগ্রগতি জানতে তাদের ডেকেছেন উচ্চ আদালত। তাছাড়া এই পাঁচ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকাও চেয়েছেন আদালত।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসককে আদালতে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট রিটের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু ও মো. নজরুল ইসলাম।
ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এর ইতোপূর্বে দায়ের করা জনস্বার্থের মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।
ঢাকা শহরের বর্তমান দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান ও অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা সম্পর্কে মিডিয়ার সংবাদ সংযুক্ত করে চার দফা নির্দেশনার আবেদন জানানো হয়।
আদালতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের নির্দেশে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন হওয়ার পর তাদের মতামত বিবেচনা করে বায়ুদূষণ বন্ধ করতে ঢাকা শহরে গাড়িতে, নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/বর্জ্য ঢেকে রাখা, সিটি করপোরেশন কর্তৃক রাস্তায় পানি ছিটানো, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, কালো ধোয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করাসহ ৯ দফা নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে আদালতে তিনি বলেন, অবৈধ ইটভাটা প্রশাসনের সামনে পরিচালিত হচ্ছে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এমনকি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সিজন আসলে মালিকরা অবৈধভাবে সাভার, ধামরাইয়ে ইটভাটা চালাচ্ছে। তিনি আদালতে চার দফা নির্দেশনা প্রার্থনা করেন।
তিনি আরও বলেন, রিট মামলায় আট বার আদালত বিভিন্নভাবে নির্দেশনাগুলো দেওয়ার পরও বিবাদিরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
শুনানি নিয়ে আদালত আদেশে বলে, অনেকবার আদেশ দিলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। এ অবস্থায় আদালত বসে থাকতে পারে না। আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে আদালতে সংযুক্ত থাকার নির্দেশনা দেয় এবং জেলাগুলোর অবৈধ ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়। এমএ/