শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৫ বছর: নিষ্পত্তি হয়নি একটি মামলাও

ছবি: সংগৃহীত

নৃশংস পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৫ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করেন। সবচেয়ে বেশি নৃশংসতা চালানো হয় ঢাকায় বিডিআর সদর দপ্তরে। এ ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও আছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাকে নৃশংসতম বলে বর্ণনা করা হয়।

২০০৯ সালের এই দিনে সেই দরবারে তৎকালীন মহাপরিচালকের বক্তব্যেও হিসেব মেলেনি। মহাপরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মিলনায়তনের অভ্যন্তরে জিম্মি করেন জওয়ানরা। চালান গুলি। সূচনা হয় ‘বিডিআর বিদ্রোহ’ নামে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের। তাৎক্ষণিক পিলখানার গুলির আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশে। সেদিন নির্দয় জওয়ানরা একে একে বুক ঝাঁজরা করে হত্যা করেন ৫৭ সেনা সদস্যকে। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি চলা এ বিদ্রোহে মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।

পিলখানা ট্রাজেডির ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার। এ নিয়ে করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর ছয় বছরে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়নি। তবে এ বছরের মধ্যে আপিল শুনানি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের প্রত্যাশা, আপিল বিভাগে বিচারক বাড়িয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা হবে।

এই দিনে যা ঘটেছিল:

সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে দরবার হলে ঢুকে পড়েন এক দল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদেরই একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে পরিবারকে জিম্মি করে ফেলেন জওয়ানরা। পুরো পিলখানায় সৃষ্টি হয় ভীতিকর পরিস্থিতি। চারটি প্রবেশ গেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকেন বিদ্রোহীরা।

তারা দরবার হল ও এর আশপাশের এলাকায় সেনা কর্মকর্তাদের উপর গুলি করতে থাকেন। তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। পরে পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মামলা ও বিচারকার্য:

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে পরিচিত এটি। দীর্ঘ বিচার ও রায় শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়।

হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় আসামির সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৫০ জন। এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ইতিহাসের কলঙ্কজনক এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (তিন বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত) কারাদণ্ড, ২৭৮ জনকে খালাস এবং চার আসামি বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তারা অব্যাহতি পান।

আদালতের রায় ঘোষণার পর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে যায়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আসামিরা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল ও জেল আপিল করেন। এর মধ্যে ৬৯ জনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ উদ্যোগ নেন।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দেন। দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের উপর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে শুনানি শুরু হয়।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা সবাই বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (তৎকালীন বিডিআর) সদস্য ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীও রয়েছেন। এর মধ্যে নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী কারাগারে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জন আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের ফাঁসির রায় বহাল রাখেন। একইসঙ্গে আটজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।

এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৬০ জন আসামির মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে দুজন আসামির মৃত্যু হয়েছে এবং ১২ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

বিডিআর পুনর্গঠন ও বিজিবি গঠন:

পিলখানায় এই বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যায়। শুরু হয় বিডিআর পুনর্গঠনের কাজ। বিডিআরের নাম, পোশাক, লোগো ও সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করা হয়। বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরিবর্তন করা হয় তাদের আইন।

দিনটিকে ঘিরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছে, নিহত সেনা সদস্যদের স্মরণে শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে এদিন সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে সেনাবাহিনী।

সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে ২০০৯ সালে সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এছাড়া এদিনটি স্মরণে রোববার ও সোমবার (২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি) নানা কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে বিজিবির।

Header Ad
Header Ad

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন দুই নারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব জুরাইনের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই ২ শিক্ষার্থী হলেন- ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী ও ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।

ডিবি জানায়, ওই দুই নারী শিক্ষার্থী জুরাইন আশরাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হোল্ডিং একটি ভবনের ২য় তলায় ২ দিন আগে বাসা ভাড়া নেয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

এর আগে পারভেজ হত্যার ঘটনায় দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে পারভেজ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মো. মাহাথির হাসান আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আলোচিত এই মামলায় মোট দুই আসামি জবানবন্দি দিল। এর আগে দায় স্বিকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আরেক আসামি আল কামাল শেখ।

Header Ad
Header Ad

আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক শক্তি মাঠে এলেও বিএনপির কোনো আপত্তি নেই উল্লেখ করে দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির 'রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' বিষয়ক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

রুমিন বলেন, “আমরা যখন দেখি কেউ রাজনীতি করতে চায়, স্বচ্ছ পথে সামনে আসতে চায়, তখন তাদের স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে একসময় সব দল নিষিদ্ধ ছিল, কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারত না। সেই অন্ধকার থেকে দেশকে বের করে এনেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে যখন দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য আর লজ্জা নিবারণের জন্য নারীকে জাল পরতে হতো, তখন বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। সেখান থেকে রেমিট্যান্স, কৃষি ও গার্মেন্টসে বিপ্লব ঘটিয়েছেন জিয়া। আর সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।”

বর্তমান সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে রুমিন বলেন, “যে সরকার সুপ্রিম কোর্টের একটি অর্ডারে ‘দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নেওয়ার’ দায়িত্ব পেয়েছে, তারা কীভাবে রাষ্ট্রীয় সব সিদ্ধান্ত নেয়? এই সরকার অনির্বাচিত, জনভিত্তিহীন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জানে, তাদের স্থায়িত্ব নেই।”

তিনি বলেন, “যদি দলীয় সরকার হতো, তাহলে তার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত একটা জবাবদিহিতা থাকত। এই সরকারের ক্ষেত্রে সেটা নেই বলেই পুলিশও নিরুৎসাহিত।”

নির্বাচনের সময় ও অবস্থান নিয়ে সরকারের টালবাহানার সমালোচনা করে বলেন, “ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি, জুন—কখন হবে নির্বাচন, কেউ জানে না। এটা প্রমাণ করে সরকার নিজের অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত নয়।”

কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো, সেটা যেকোনো মূল্যে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান, ডা. মওদুদ হোসেন পাভেল, সাত্তার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট শারমিন ফারহানা পুতুল প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে চাপে পড়েছে সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর এক জওয়ান পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৩ এপ্রিল), ভারতের পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিএসএফ-এর ১৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পিকে সিং ভুলবশত সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স।

জানা গেছে, সামরিক পোশাকে এবং রাইফেলসহ সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় তিনি স্থানীয় কৃষকদের সহায়তা করছিলেন। সে সময় অসাবধানতাবশত তিনি সীমান্তের ওপারে চলে যান।

তাকে ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। আলোচনার মাধ্যমে জওয়ানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই হামলার জেরে ভারত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে, পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আওতায় ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, ওয়াগাহ সীমান্তে চলাচল বন্ধ, দ্বিপাক্ষিক সব চুক্তি স্থগিত, এবং বিনা ভিসার সব সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, ইসলামাবাদ থেকে পাঠানো এক কড়া ভাষার বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ ব্যাহত করে, তাহলে তা ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে দেখা হবে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা
পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা
টাঙ্গাইলে ফাঁকা গুলি ছু‌ড়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার ২
পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি
টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ (ভিডিও)
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত