শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৫ বছর: নিষ্পত্তি হয়নি একটি মামলাও

ছবি: সংগৃহীত

নৃশংস পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৫ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করেন। সবচেয়ে বেশি নৃশংসতা চালানো হয় ঢাকায় বিডিআর সদর দপ্তরে। এ ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও আছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাকে নৃশংসতম বলে বর্ণনা করা হয়।

২০০৯ সালের এই দিনে সেই দরবারে তৎকালীন মহাপরিচালকের বক্তব্যেও হিসেব মেলেনি। মহাপরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মিলনায়তনের অভ্যন্তরে জিম্মি করেন জওয়ানরা। চালান গুলি। সূচনা হয় ‘বিডিআর বিদ্রোহ’ নামে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের। তাৎক্ষণিক পিলখানার গুলির আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশে। সেদিন নির্দয় জওয়ানরা একে একে বুক ঝাঁজরা করে হত্যা করেন ৫৭ সেনা সদস্যকে। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি চলা এ বিদ্রোহে মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।

পিলখানা ট্রাজেডির ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার। এ নিয়ে করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর ছয় বছরে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়নি। তবে এ বছরের মধ্যে আপিল শুনানি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের প্রত্যাশা, আপিল বিভাগে বিচারক বাড়িয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা হবে।

এই দিনে যা ঘটেছিল:

সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে দরবার হলে ঢুকে পড়েন এক দল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদেরই একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে পরিবারকে জিম্মি করে ফেলেন জওয়ানরা। পুরো পিলখানায় সৃষ্টি হয় ভীতিকর পরিস্থিতি। চারটি প্রবেশ গেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকেন বিদ্রোহীরা।

তারা দরবার হল ও এর আশপাশের এলাকায় সেনা কর্মকর্তাদের উপর গুলি করতে থাকেন। তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। পরে পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মামলা ও বিচারকার্য:

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে পরিচিত এটি। দীর্ঘ বিচার ও রায় শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়।

হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় আসামির সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৫০ জন। এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ইতিহাসের কলঙ্কজনক এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (তিন বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত) কারাদণ্ড, ২৭৮ জনকে খালাস এবং চার আসামি বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তারা অব্যাহতি পান।

আদালতের রায় ঘোষণার পর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে যায়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আসামিরা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল ও জেল আপিল করেন। এর মধ্যে ৬৯ জনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ উদ্যোগ নেন।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দেন। দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের উপর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে শুনানি শুরু হয়।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা সবাই বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (তৎকালীন বিডিআর) সদস্য ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীও রয়েছেন। এর মধ্যে নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী কারাগারে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জন আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের ফাঁসির রায় বহাল রাখেন। একইসঙ্গে আটজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।

এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৬০ জন আসামির মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে দুজন আসামির মৃত্যু হয়েছে এবং ১২ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

বিডিআর পুনর্গঠন ও বিজিবি গঠন:

পিলখানায় এই বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যায়। শুরু হয় বিডিআর পুনর্গঠনের কাজ। বিডিআরের নাম, পোশাক, লোগো ও সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করা হয়। বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরিবর্তন করা হয় তাদের আইন।

দিনটিকে ঘিরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছে, নিহত সেনা সদস্যদের স্মরণে শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে এদিন সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে সেনাবাহিনী।

সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে ২০০৯ সালে সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এছাড়া এদিনটি স্মরণে রোববার ও সোমবার (২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি) নানা কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে বিজিবির।

Header Ad

আবারও গ্রেপ্তার ‘লেডি কিলার’ পুলিশপুত্র অর্ণব

ছবি: সংগৃহীত

আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তার পুত্র লেডি কিলার রাহমাতুর রাফসান অর্ণবকে আবারো গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ অর্ণবকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে।

শুক্রবার দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি প্রেন্ডিং মামলায় ওই যুবকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

রাহমাতুর রাফসান অর্ণব (২৫) সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার কর্ণমুর্তি গ্রামের পুলিশ পরিদর্শক মো.জাহিদুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটে কর্মরত। জাহিদুল দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন তৎকালীন এক বিএনপি নেতার বোনকে বিয়ে করেন। অথচ নিজেকে ডিআইজির ছেলে পরিচয় দিয়ে ভয়ংকর প্রতারণায় নেমেছেন পুলিশ কর্মকর্তার পুত্র অর্ণব।

ছেলে রাহমাতুর রাফসান অর্ণব এর আগে দিনাজপুর শহরের গণেশতলাস্থ মার্টিন চাইনিজ রেস্তরাঁর উপরে ‘লেগেসি রেস্টুরেন্ট’ নামে প্রতিষ্ঠান দিয়ে শহরে পাহাড়পুর ষষ্টিতলা এলাকায় ভাড়া থাকাকালীন এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়। সে সময় তাকে দু’দিনের রিমান্ড নেয় পুলিশ।

রাহমাতুর রাফসান অর্ণবের বিরুদ্ধে একাধিক তরুণী ও নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এ ছাড়া ভুক্তভোগী তরুণী ও নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

উঠতি বয়সী অনেক তরুণী ও নব্য বিবাহিত প্রবাসী স্বামীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দিনাজপুর ও রাজধানী ঢাকায় একাধিক মামলা করেছেন। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকুরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিওয়ারো অভিযোগ রয়েছে। দিনাজপুর শহরে তার মালিকানাধীন লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন তিনি।

রাজধানীর ধানমণ্ডির এক শিল্পপতির মেয়ে দিনাজপুরে গিয়ে অর্ণবের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে একটি মামলা করেন। তার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দিনাজপুর কোতয়ালী পুলিশ। তরুণীর অভিযোগে বলা হয়, পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন অর্ণব। বিয়ের কথা বলে অর্ণব তার কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা, ৫০ ভরি সোনা ও দুটি প্রাইভেট কার হাতিয়ে নেন। অর্ণব তার কাছ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি ২৭ লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়েছেন।

এই মামলার বিষয়ে জানতে চাইছে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. নূর আলম বলেন, ওই মামলায় তরুণীর করা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে এমন আরো অভিযোগ রয়েছে এই থানায়।

জানা যায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার করে ও ঢাকা মহানগর পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারা দেশে ছড়িয়ে দেন। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।

যার প্রেমের ফাঁদে পড়ে অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েও সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে এ তালিকায় উঠে আসা ভুক্তভোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। দামি ব্র্যান্ডের গাড়িতে ডিএমপির লোগো ব্যবহার করে চলাচল করেন হিরো বনে যাওয়া এই ভিলেন। যার টার্গেটের শিকার ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েরা। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ছাড়াও উদ্দেশ্য নানা কৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া।

এদিকে ভুক্তভোগী তরুণীদের কয়েকজন অর্ণবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন দিনাজপুরে। মাথার ওপর ঝুলছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে হওয়ায় কোনো কিছুই মানছেন না তিনি।

বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক করতে না চাইলে সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আবার কাউকে নেশা জাতীয় জুস, শরবত কিংবা কফি খাইয়ে ধর্ষণ করে। কিন্তু সে শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয় না, সব কিছু ভিডিও করে রাখে। পরে এই ভিডিও দেখিয়ে ফের ধর্ষণ এবং বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করে বসে।

জানতে চাইলে দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘অর্ণবের বিষয়ে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। ভিকটিম যারা আইনি সহযোগিতার জন্য এসেছিলেন তাদের প্রতি শতভাগ পেশাদারিত্ব বজায় রাখা হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্যের ছেলে হলেও তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হয়নি।’

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

ছবি: সংগৃহীত

শুরু হয়েছে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মে ১০ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ চলবে। তবে প্রয়োজনে দুই ঘণ্টা করে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো যাবে।

ভোটগ্রহণ শেষেই ভোট গণনা শুরু হবে। এরপরেই জানানো হবে ফলাফল। আগামীকাল (শনিবার, ২৯ জুন) ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে-বিদেশে মোট ৬ কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৩২১ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেয়ার যোগ্য। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব বেশি হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ভোটগ্রহণের প্রথম প্রহরেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সকাল ৮টায় তেহরানের ইমাম খোমেনি হুসেইনিয়ায় ভোট দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা।

ভোট দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচন একটি আনন্দের দিন। কারণ, এদিন জনগণ আগামী কয়েক বছরের জন্য তাদের সরকার প্রধানকে নির্বাচন করবেন। ইরানের শক্তিমত্তা ও সম্মান এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।

ছয়জন প্রার্থীকে নির্বাচনে লড়াইয়ের অনুমোদন দেয় গার্ডিয়ান কাউন্সিল। তবে একেবারেই শেষ মুহূর্তে এসে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুইজন প্রার্থী।

নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে গত বুধবার রাতে ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজিজাদেহ হাশেমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং অন্য প্রার্থীদেরও সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

হাসেমির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি। বৃহস্পতিবার এক এক্স বার্তায় তিনি বলেন, তিনি সরে যাচ্ছেন। হাশেমি রাইসির অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ১০ লাখেরও কম ভোট পেয়ে সবার পেছনে ছিলেন।

দুই জন সরে দাঁড়ানোয় প্রার্থী থাকলো আর মাত্র চারজন। তারা হলেন মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, সাঈদ জালালি, মাসুদ পেজেশকিয়ান ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদি।

উল্লেখ্য, ইরানে গত মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পরই উত্তরসূরি বাছাইয়ে দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত বলিউড অভিনেত্রী হিনা খান

ছবি: সংগৃহীত

ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী হিনা খান। বিষয়টির সত্যতা তিনি নিজেই তার ইনস্টাগ্রামে নিশ্চিত করেছেন। ক্যানসার নিরাময়ে চিকিৎসাও শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৮ জুন) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিষয়টি ‘সত্য’ বলে নিশ্চিত করেন এই অভিনেত্রী।

হিনা খান ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘চলমান গুঞ্জন আমার নজরে পড়েছে। যারা আমার ভক্ত, যারা আমাকে ভালোবাসেন সবার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর ভাগ করে নিচ্ছি। আমার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে, এখন স্টেজ থ্রিতে রয়েছে। চ্যালেঞ্জিং একটি রোগ শনাক্ত হওয়ার পরও বলছি, আমি ভালো আছি। ক্যানসার মুক্ত হওয়ার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। এরই মধ্যে আমার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ক্যানসার মুক্ত হওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা করার জন্যও আমি প্রস্তুত।’

তার পোস্টের পর অনেকে তাকে সাহস দিয়েছেন। অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

তবে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি হিনা খান। ভারতের একজন চিকিৎসক এক টুইটে জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।



বেশ কয়েক মাস ধরে তাকে তেমন ভাবে ছোট পর্দা বা বড় পর্দার কোনও কাজে দেখা যাচ্ছে না। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান। ২০০৮ সালে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলতা হ্যায়’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পান।

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও গ্রেপ্তার ‘লেডি কিলার’ পুলিশপুত্র অর্ণব
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত বলিউড অভিনেত্রী হিনা খান
সাংবাদিকদের কিনেই তারপর উপজেলা পরিষদে এসেছি: মতিউরের প্রথম স্ত্রী
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: নাশকতার মামলায় গ্রেফতার কাউন্সিলর কারাগারে
কৃষকের মাছ ধরা ফাঁদে রাসেলস ভাইপার, পুরস্কারের আশায় নিয়ে এলেন বাড়িতে
ট্রাম্পকে পর্ন তারকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বাইডেনের খোঁচা
চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: নিহত ৩
রাখাইনের মংড়ুতে বিমান হামলা, ব্যাপক গোলাগুলি
আমিরাত ও সৌদিতে জুমার নামাজ-খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ
বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরল টাইগাররা
বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, বন্ধু আছে : ওবায়দুল কাদের
দেশের সব বিভাগেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকার ৯৫ শতাংশ বাড়িঘর অনুমোদনহীন : গণপূর্তমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে বিদায় করে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত
জেনিনে বোমা বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সেনা নিহত, আহত ১৬
সকালে ফিরছে বাংলাদেশ দল, সঙ্গে আসছে না লিটন ও সৌম্য
পরীমণিকে যথাযথ ব্যবহার করা হচ্ছে না: পরমব্রত
রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম দেশের প্রত্যেক হাসপাতালেই আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১২ বছরের সেতু রক্ষণাবেক্ষণে ১৯১৮ কোটি টাকা ব্যয়: সেতুমন্ত্রী