জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছবি: সংগৃহীত
জার্মানির মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স-২০২৪ এর সাইডলাইনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফ-এ ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গ উঠে আসে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ এবং যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে এ বৈঠকের আগে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী। এরও আগে সকালে সম্মেলনস্থলে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৬০তম মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জার্মানির উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটের দিকে সরকারপ্রধানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি দেশটির মিউনিখ বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও গতকাল কাতার ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিউনিখ থেকে রওয়ানা হয়ে পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
এদিকে, মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বাংলাদেশের সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ নীতিকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ করছি না। তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। আমাদেরও বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা রয়েছে। আমরা আশা করি, ওই বৈঠকের কোনো প্রভাব আমাদের সম্পর্কে পড়বে না।