বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে রেলওয়ের কোটি টাকা আত্নসাৎ

ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।

ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯৭ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। বিল যাচাই-বাছাই, চেক হস্তান্তর, ব্যাংকে জমাদান এবং উত্তোলনের পর বিষয়টি জানতে পেরেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার দপ্তর (এফএঅ্যান্ডসিএও)।

নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছে নাবিল আহসান চৌধুরীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (সাপ্লাইয়ার) দ্যা কসমোপলিটন কর্পোরেশন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় হিসাব কর্মকর্তা (ডিএফএ) জয়শ্রী মজুমদারকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি; আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি থানায় জিডি করা হচ্ছে।

ভুয়া বিলে প্রায় কোটি টাকা হাওয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা রেলের ইতিহাসে প্রথম বলে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, অতীতে ক্যাশ লেনদেন হতো; কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার জানতে পারে। তবে গতকাল রবিবার ঘটনাটি রেল অঙ্গনে জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিভাগের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তারা।

জানা গেছে, পণ্য সরবরাহের বিপরীতে কসমো পলিটন প্রতিষ্ঠানের মালিক নাবিলের পক্ষে চারটি বিল দাখিল করা হয়। বিলগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে অর্থছাড়ও হয়েছে; কিন্তু ওই চারটি বিলের মধ্যে ৯৭ লাখ টাকার একটি বিল ছিল; কিছু দলিলাদি পরিবর্তন করে সেই বিলটি পুনরায় দাখিল করে। যাচাই-বাছাই শেষে বিলটি পাস হয় এবং সীমান্ত ব্যাংকের নগরীর আগ্রাবাদ শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভুয়া বিল দাখিল করে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ঠিকাদারের সঙ্গে হিসাব ও স্টোরস শাখার একটি চক্র কাজ করেছে। অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা মো. রফিকুল বারী খানের ব্যক্তিগত সহকারী আসিফ এবং ওই অফিসের অস্থায়ী কর্মচারী হাবিব জড়িত। হাবিব রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক এক এফএঅ্যান্ডসিএওর ভাগিনা। সেই সুবাদে অস্থায়ী কর্মচারী হলেও তার কাছে অফিসের গোপন পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা প্রকাশের পর হাবিব আত্মগোপনে চলে যায়। অবশ্য তাকে গতকাল অফিসে হাজির করা হয়েছে। তবে তদন্ত চলমান থাকায় এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি মো. রফিকুল বারী খান। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মূলত বাংলাদেশ রেলওয়েতে সব কেনাকাটা প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের (সিসিএস) দপ্তরের মাধ্যমে করতে হয়। সব বিভাগ তাদের চাহিদা পাঠানোর পর পণ্য ক্রয় করে স্টোরে জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে আহ্বানকৃত টেন্ডারের বিপরীতে বিল পাঠানো হয় বিভাগীয় হিসাব কর্মকর্তার দপ্তরে। সেখান থেকে প্রধান অর্থ ও হিসাব কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখানে সব ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে এফএঅ্যান্ডসিএও অনুমোদনের পর চেক ইস্যু করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে- ঠিকাদাররা বিল উত্তোলন করতে গেলে স্টোরস শাখা ও হিসাব শাখার একাধিক টেবিলে টাকা দিতে হয়। যে ঠিকাদার যতবেশি টাকা দেন তার বিল তত দ্রুত এগিয়ে যায়। কসমো পলিটনের মালিক নাবিল কর্মচারীদের চাহিদার চেয়েও বেশি ‘ঘুষ’ দিতেন। ফলে তার বিল প্রদানের কাজ চলত দ্রুত গতিতে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার বিল যাচাই-বাছাইয়ে সময়ক্ষেপণ করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেছেন তিনি। ফলে তার প্রতিষ্ঠানের বিল নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চাইতেন না কেউ।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গত অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কয়েকজনকে বদলির বিষয়ে আমাকে জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এফএঅ্যান্ডসিএওকে বলা হয়েছে।’

এফএঅ্যান্ডসিএও বলেন, ভুয়া বিলের বিপরীতে টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বদলি করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, কসমো পলিটনের চারটি বিল ছিল, সেখানে একটি বিলের বিপরীতে দুইবার অর্থ ছাড় নিয়ে গেছে।

টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দ্যা কসমোপলিটন কর্পোরেশনের মালিক দাবি করছেন বিলটি তারা দেননি। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে জালিয়াতি করা হয়েছে। চেকটি কোন ব্যাংকে জমা হয়েছে এবং কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য চেয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছি। পাশাপাশি টাকা ছাড়ের আগে ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানের মালিককে ফোন দেওয়া হয়েছিল কিনা সেই বিষয়টিও আমরা দেখছি। কসমো পলিটনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার ধারণা বিল গ্রহণ, প্রক্রিয়ায় ডেসপাস শাখার কর্মচারীরা জড়িত থাকতে পারে।

সূত্র জানায়,দ্যা কসমোপলিটন কর্পোরেশনের নামে ব্যাংক হিসাব থাকলেও ৯৭ লাখ টাকা নিতে নতুন একটি হিসাব খোলা হয়েছে সীমান্ত ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায়। সেই শাখা থেকেই টাকা উত্তোলন হয়েছে। ব্যাংক কীভাবে হিসাব খুলেছে সে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ব্যাংকের কেউ জড়িত কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে। কারণ ১ লাখ টাকা উত্তোলন করতে অর্থছাড়ের আগে হিসাবধারীকে ফোন করা হয়। ব্যাংক সেই দায়িত্ব পালন করেছিল কিনা, কিংবা কাকে ফোন দিয়েছিল সে বিষয়টিও দেখা হবে।

প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিসিএস) ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা কোনো বিল হিসাব শাখায় পাঠাইনি। সরঞ্জাম শাখার বাজেট থেকে কি টাকা চলে গেছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা হিসাব বিভাগ দেখবে। আমাদের কিছু করার নেই, আমার দপ্তরের কেউ জড়িত নন।

 

Header Ad

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিকে জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্প্রীতি রয়েছে এবং সরকারের যে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা রয়েছে ভারতের বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতিতে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে সরকার উল্লেখ করছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি।

বাংলাদেশ সরকার সকল ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উল্লেখ্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে প্রত্যেক বাংলাদেশির তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করে না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। আর চিন্ময় দাসের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

Header Ad

আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সংঘটিত বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘সাইফুল হত্যার বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে’, ‘উকিল মরে আদালতে, এই সরকার কি করে’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘উগ্রবাদের আস্তানা,ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি বলে অভিহিত করেন। তারা আইনজীবী সাইফুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, আমরা সম্প্রীতি নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই। কিন্তু একটি পরাজিত শক্তি দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। আমার ভাই সাইফুলকে চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম এম রায়হান কবির বলেন, চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী হামলা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয় বরং এটি মানবতার ওপর আঘাত। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সবসময় ন্যায় ও মানবতার পক্ষে অবস্থান করেছে। আজকের এই মিছিল তারই উদাহরণ। আমরা কোনো উগ্রবাদী শক্তিকে বাংলাদেশে মাথা তুলতে দেব না।

Header Ad

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঝে এই যুদ্ধে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সম্প্রতি হামলা বেশ জোরদার করেছে রাশিয়া।

মূলত ইউক্রেনে এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এমনকি গত এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান আয়তনের এলাকা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে ইউক্রেনে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্লেষক এবং যুদ্ধ ব্লগাররা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।

গত মাসে রুশ সৈন্যরা লন্ডনের আয়তনের সমান অর্ধেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে কখনেও এতো দ্রুত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হয়নি।

মূলত টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।

বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে এরপরও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এমন অবস্থায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করে সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার পর চলমান এই যুদ্ধটি সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ গ্রুপ এজেন্টস্টভো এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইউক্রেন-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে নতুনভাবে সাপ্তাহিক ও মাসিক রেকর্ড স্থাপন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার (৯১ বর্গ মাইল) দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের জন্য একটি সাপ্তাহিক রেকর্ড।”

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত অগ্রসর হতে শুরু করে। ওপেন সোর্স মানচিত্র অনুসারে, এরপর থেকেই রাশিয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন