‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলতেন’
হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের পরিচালক হুসেন হাক্কানি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য পাকিস্তানের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমার দাবি করতেন বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক বর্তমানে হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের পরিচালক হুসেন হাক্কানি।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হুসেন হাক্কানি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘১৪ বছর বয়সে করাচিতে প্রথম ও শেষবার বঙ্গবন্ধুকে দেখেছিলাম এবং তখন থেকেই তার ভক্ত হয়ে যাই। ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে প্রচার চালাতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। করাচি ন্যাশনাল পার্কের জনসভায় পশ্চিম পাকিস্তান ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জন্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অধিকার, গণতন্ত্র ও নায্যতার দাবিতে বঙ্গবন্ধু সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
পাকস্তিানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি আমার মতো অনেক পাকিস্তানিও সমর্থন করেন জানিয়ে হুসেন হাক্কানি বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, আমি নিশ্চিত, তিনি পাকিস্তানকে বাংলাদেশের ওপর ১৯৭১ সালে অত্যাচার চালানোর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলতেন।
প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার হার, মাথাপিছু আয় ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেশি জানিয়ে পাকিস্তানের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের অংশ ছিল। এ থেকে বোঝা যায় স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কতখানি এগিয়েছে। এটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্য সম্ভবে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান পিতার অসাধারণ কন্যা এমন মন্তব্য করে হাক্কানি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা এবং শেখ হাসিনার কর্মের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যার ভেতরে ও সীমান্তে কোন সহিংসতা নেই।
রবিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গো চক টং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
আরইউ/এমএমএ/