বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আগে মানুষ পুলিশকে ভয় পেত, এখন আপনজন মনে করে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আজ থেকে ২০ বছর আগে মানুষ পুলিশকে ভয় পেত। এখন পুলিশকে আপনজন মনে করে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘ বিপদে-আপদে পুলিশকে পাশে পাওয়া যায়। তাই পুলিশের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে মানুষের।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি ট্রাফিক পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বক্তব্য দেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, তিনি থানাকে নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে দেখতে চান। এ ক্ষেত্রে ডিএমপিকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে অপরাধের ধরন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) দক্ষতার সঙ্গে এসব অপরাধকে মোকাবিলা করছে। তিনি বলেন, ১২টি থানা ও ৬ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নগরবাসীর আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে আজ ৫০টি থানা ও ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ডিএমপি। অপরাধ দমনে অপরাধ বিভাগের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

জঙ্গিবাদ দমন, সাইবার অপরাধ, নারী ও শিশু সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে নারী ও শিশুদের সেবা দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার।

আলোচনায় যানজট নিয়েও কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি ঢাকা করতে চাই, যেখানে উত্তরা থেকে ১৫ মিনিটে গুলিস্তান আসা যায়। সবার সহযোগিতায় আমরা স্মার্ট ডিএমপি করতে চাই। আমরা এমন একটি ডিএমপি করতে চাই, যেখানে একজন নারী রাত তিনটায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও তার যেন মনে হয়, তার পেছনে একজন পুলিশ সদস্য আছে।’

Header Ad
Header Ad

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতি ও শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের কাতারে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনীতির মন্থর গতি এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দেশের দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, দৈনিক আয় ২.১৫ ডলারের নিচে হলে কেউ "হতদরিদ্র" হিসেবে বিবেচিত হন। এই মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২২ সালে বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার ছিল ৫ শতাংশ, যা ২০২৫ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯.৩ শতাংশে।

শুধু হতদরিদ্র নয়, বাড়তে পারে জাতীয় দারিদ্র্য হারও। ২০২৪ সালে যা ছিল ২০.৫ শতাংশ, সেটি ২০২৫ সালে গিয়ে পৌঁছাতে পারে ২২.৯ শতাংশে।

বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে বলা হয়, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি দরিদ্র মানুষের অবস্থান আরও নাজুক করে তুলছে। কর্মসংস্থান কমে যাওয়া এবং আয় কমে যাওয়ায় সামাজিক বৈষম্যও বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই একই দিনে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আরেক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে মাত্র ৩.৩ শতাংশে। যেখানে জানুয়ারিতে এ হার ধরা হয়েছিল ৪.১ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়ে ৪.৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি।

Header Ad
Header Ad

৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী

অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পাঁচ শিক্ষার্থী, যাদের খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য নিপন ত্রিপুরা।

তবে কোথায়, কখন এবং কীভাবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। অপহরণের ৮ দিন পর তারা ফিরে এলেও, ঘটনার পেছনের বিস্তারিত তথ্য এখনো অন্ধকারেই।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, লংঙি ম্রো এবং অলড্রিন ত্রিপুরা। সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ১৬ এপ্রিল বিঝু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে তাদের অপহরণ করা হয়।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে, অপহরণের পেছনে কারা ছিল—তা নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত।

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এই অপহরণের জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে আসছে। যদিও ইউপিডিএফ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

এর আগেই, অপহৃতদের উদ্ধারে গত সোমবার ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে চাঁদা আদায়ের রশিদ, সামরিক পোশাক, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ—শুধু উপমহাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের জন্যই যেন এক স্বপ্নের লড়াই। কিন্তু সেই স্বপ্নের লড়াই আর বাস্তবের মাটিতে নামার সুযোগ আপাতত নেই বলেই সাফ জানিয়ে দিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে বিসিসিআই আবারও জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সরকারের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে একমত। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছি না, এবং ভবিষ্যতেও এর কোনো সম্ভাবনা নেই।” পাশাপাশি পেহেলগামের হামলার নিন্দাও জানান তিনি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “আমরা কেবলমাত্র আইসিসি বা এশিয়া কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলি। কারণ সেগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের আওতাভুক্ত।”

ভারত-পাকিস্তান শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ২০১২-১৩ সালে। এরপর থেকে সম্পর্কের টানাপোড়েনে সেই দরজাটা কার্যত বন্ধ। সীমিত ওভারের সেই সিরিজেই শেষবার ভারতের মাঠে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানকে।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেললেও, ২০২5 চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারত হাইব্রিড মডেল বেছে নেয়—পাকিস্তানে না গিয়ে ম্যাচগুলো খেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২০ জন। ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামক একটি জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজার বহিরাগত বসতির বিরোধিতা করেই এ হামলা চালানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, কেড়ে নিল ঘুমন্ত নারীর প্রাণ
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
আ.লীগ নিজেকে ভারতের কাছে নগ্নভাবে সঁপে দিচ্ছে: রাশেক রহমান
বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’ নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ