রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কারা আসছেন নতুন মন্ত্রিসভায়

ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর সকলের দৃষ্টি এখন নতুন মন্ত্রিসভার দিকে। কেমন হবে মন্ত্রিসভার আকার, কারা থাকছেন, কারা বাদ যাচ্ছেন বা নতুন কারা আসছেন। সচিবালয় থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্যের অঙ্গনে এটিই এখন মুখ্য আলোচনার বিষয়।

এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২৯৯ আসনের মধ্যে ২২২ আসনে দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে আজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। এবারের মন্ত্রিসভায় তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে মন্ত্রিসভায় চমক নিয়ে আসছেন সংসদীয় দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এ মন্ত্রিসভায় তরুণদের পাশাপাশি পুরোনো মন্ত্রীরাও থাকছেন। এতে সম্ভাবনার দোলাচলে রয়েছেন অনেক মন্ত্রী ও নবনির্বাচিত এমপি।

এদিকে বর্তমান মন্ত্রীদের বেশিরভাগই আরেক মেয়াদের জন্য বহাল থাকবেন বলে আভাস মিলেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে অর্থ ও পররাষ্ট্রে নতুন মন্ত্রী আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী দেওয়া হবে। এটা অনেকটা নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে এ কে আব্দুল মোমেনকে অন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। তবে শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। বর্তমান মেয়াদে মন্ত্রণালয়ে ঠিকমতো ‘অফিস না করা’ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। এ নিয়ে সচিবালয় ও গণভবনসহ সব জায়গায় তার বাদ পড়ার গুঞ্জন চাউর হয়েছে।

আসছেন চার আমলা: প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়া সাবেক দুই আমলা আবুল কালাম আজাদ, ড. মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন বলে আভাস মিলেছে। আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব। ড. সাদিক সরকারের শিক্ষা সচিব ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ছিলেন। পরে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন সাদিক। সাজ্জাদুল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব। সৌরেন্দ্র নাথ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সচিব। জনপ্রশাসনে থেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা এই চারজনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে তাদের মন্ত্রিসভায় রাখতে চান শেখ হাসিনা।

আরও নতুন যারা: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবের হোসেন চৌধুরী এবার মন্ত্রিসভায় ঢুকতে পারেন। সূত্র জানায়, আগে কোনো মন্ত্রী পায়নি—এমন জেলা থেকে এবার মন্ত্রী করবে আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে কক্সবাজার-৩ থেকে সাইমুম সরওয়ার কমল অথবা কক্সবাজার-২ থেকে আশেক উল্লাহ রফিককে মন্ত্রিসভায় রাখা হতে পারে। ফেনী-১ থেকে নির্বাচিত আলাউদ্দিন আহমদ চৌধুরী নাসিম এবং নড়াইল-২ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মাহমুদ হাসান রিপন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ড. সেলিম মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আব্দুর রহমান, মাহবুবউল-আলম হানিফ, নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন।

সংখ্যালঘু থেকে তিনজন: জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও পার্বত্য তিন জেলা থেকে একজন মন্ত্রিসভায় থাকবেন। যিনি মন্ত্রী হবেন, তার হাতেই থাকবে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত দুজন এমপির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের একজন সাবেক সিনিয়র সচিব নওগাঁ-৩ থেকে নির্বাচিত সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। তবে তারা কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, একজনকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হতে পারে।

পুরোনো যারা থাকছেন: বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম নতুন মন্ত্রিসভায়ও থাকছেন। তাদের মন্ত্রণালয় পরিবর্তনের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন। তাদের কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন, তা জানা সম্ভব হয়নি। পদোন্নতি পেতে পারেন নসরুল হামিদ বিপু ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বাদ পড়তে পারেন যারা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বাদ পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।

স্বতন্ত্র ও শরিকদের স্থান নেই: স্বতন্ত্র এমপিদের অনেকেই নিজেদের আওয়ামী লীগ দাবি করে দলে ভিড়ে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার চেষ্টা করলেও সে সুযোগ তারা পাচ্ছেন না। তাদের দলীয় এমপি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ সভাপতি। ফলে স্বতন্ত্র এমপিদের কাউকে মন্ত্রী করা হচ্ছে না- এটা অনেকটাই নিশ্চিত। ১৪ দলের শরিক থেকে জয়ী দুজনেরও মন্ত্রিসভায় জায়গা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। বর্তমান মন্ত্রিসভায়ও শরিকদের কাউকে রাখেননি শেখ হাসিনা।

গেজেট ও শপথ: সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের তালিকা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর নতুন সংসদ সদস্যদের শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে সেই তালিকা পাঠানো হয়। গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যরা শপথ নেবেন। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে ডাকতে হবে সংসদ অধিবেশন। নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে।

এবারের মন্ত্রিসভা কেমন হতে পারে, জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক জ্ঞানী মানুষ। দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা উনার ঠিক করা আছে। এটা উনি জানেন, কোথায় কাকে কখন নেওয়া দরকার। এটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঠিক করেন। সারা পৃথিবীতেও এটিই নিয়ম।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা গঠন হবে। এ মন্ত্রিসভা নতুন-পুরোনো মুখ নিয়ে হওয়ার কথা। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই চমক নিয়ে আসেন। আশা করি নতুন মন্ত্রিসভায়ও চমক নিয়ে আসবেন। তিনি যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই মন্ত্রিসভায় স্থান দেবেন।

Header Ad
Header Ad

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার জিরাবোয় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে একদল ডাকাত তার বাড়িতে ঢোকে এবং তাদের গুলিতে বিদ্ধ হন অভিনেতা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মা গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

তপু খান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরবেলা। কয়েকজন ডাকাত আজাদের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে। যার শব্দে বাসার সবাই টের পেয়ে রান্নাঘরে যায়। এ সময় অভিনেতার স্ত্রীর মাথায় এবং তার মায়ের পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লাগে। এরপর ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময়ে আজাদের পায়ে তিনটি গুলি করে।

মা-স্ত্রীসহ অভিনেতা এখন রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার স্ত্রী এবং মায়ের চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অভিনেতার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু