দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ। ছবি: সংগৃহীত
কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দেশের ২৯৯ আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। শুরুতেই ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মায়ের পর ভোট দেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও। সকাল পৌনে ৯টার দিকে শান্তিনগরে ভোট দিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ছাড়াও সকাল সকাল ভোট দেন বেশ কয়েকজন আলোচিত প্রার্থী এবং মন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নেতা।
ভোট শুরুর পর পরই দেশীয় পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষকও বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেন। সকাল সোয়া ৮টায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান চীনা, মরিশাস, উজবেকিস্তানের পর্যবেক্ষক দল। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষকরা তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। ভোটের পরিবেশ ভালো বলে জানান যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট মেম্বার ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মার্টিন ডে।
বেলা ৩টা পর্যন্ত সারা দেশে ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট জালিয়াতির চেষ্টাসহ কয়েকটি ঘটনায় সাত কেন্দ্রে ভোট বাতিল করেছে ইসি। পাশাপাশি ভোট জালিয়াতি চেষ্টার অভিযোগে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের নৌকার প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এবার ভোটে লড়ছেন মোট ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী; বাকি ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালি আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপির। আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জন।
নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হচ্ছে ২৯৯ আসনে। ওই আসনটিতে পরে ভোটগ্রহণ হবে। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হয়েছে।