মধ্যবিত্তের আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ: বিবিএস'র জরিপ
ছবি: সংগৃহীত
শহরের দারিদ্র্য কমলেও আর্থিক দুর্বলতা বেড়েছে। মধ্যবিত্তের আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ, একইসঙ্গে কমেছে খাদ্য গ্রহণও। দেশের জনসংখ্যার ২১ দশমিক ১১ শতাংশ মানুষ, অর্থাৎ প্রতি পাঁচ জনে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শহর-গ্রামের তুলনা করলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পরিমাণ গ্রামে বেশি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে প্রকাশিত ‘খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০২২’ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।
বিবিএস’র অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ প্রকাশনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান।
বিবিএস বলছে, দেশের মানুষ এখন প্রতিদিন গড়ে ৩২৮ গ্রাম ভাত গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে ভাত গ্রহণের পরিমাণ ছিল ৩৬৭ গ্রাম। ওই সময় দৈনিক ১৩.৬ গ্রাম ডিম গ্রহণ করা হলে এখন তা কমে ১২.৭ গ্রামে নেমে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শহর-গ্রামের তুলনা করলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পরিমাণ গ্রামে বেশি। গ্রামে বসবাসরত জনসংখ্যার ২২.৩৬ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। শহরে এ হার ১৮.৩৭ শতাংশ।
ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪.৩ শতাংশ। দেশে অতিদারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশ; ছয় বছর আগে এই হার ছিল ১২.৯ শতাংশ। ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১৭.৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৫.৮ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৬.৭ শতাংশ, সিলেটে ১৭.৪ শতাংশ, রংপুরে ২৪.৮ শতাংশ আর ময়মনসিংহে ২৪.২ শতাংশ। রংপুরে কমে বরিশালে দারিদ্র্য বেড়ে দেশের সর্বোচ্চ হয়েছে।