সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চার অঞ্চলে ভাগ হচ্ছে রেলওয়ে

ছবি: সংগৃহীত

রেল নেটওয়ার্ক আরও সম্প্রসারণ করে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে দুটি (পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল) থেকে ৪টি অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে বিদ্যমান ৪টি বিভাগ থেকে বিস্তৃত করে ৮টি বিভাগ করা হবে।

দুটি অঞ্চলের অধীনে বর্তমানে ৩ হাজার ৯৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার রেলপথ আছে। রেলওয়ের বিদ্যমান মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে তা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার।

গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান কাঠামো বিভাজন সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান।

রেল নেটওয়ার্ক আরও সম্প্রসারণ করে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে দুটি (পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল) থেকে ৪টি অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে বিদ্যমান ৪টি বিভাগ থেকে বিস্তৃত করে ৮টি বিভাগ করা হবে।

দুটি অঞ্চলের অধীনে বর্তমানে ৩ হাজার ৯৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার রেলপথ আছে। রেলওয়ের বিদ্যমান মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে তা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার।

গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান কাঠামো বিভাজন সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান।

জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা নিয়ে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল গঠিত। এটিকে ভেঙে খুলনা ও বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন ‘দক্ষিণাঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। নতুন এ অঞ্চলের অধীনে পরিচালন বিভাগ হিসেবে যথাক্রমে যশোর ও ফরিদপুর করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ নিয়ে গঠিত বর্তমান পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ঢাকা ও ময়মনসিংহ আলাদা করে ‘মধ্যাঞ্চল’ নামে নতুন অঞ্চল গঠিত হবে। এ অঞ্চলের অধীনে পরিচালন বিভাগ থাকবে ময়মনসিংহ ও ঢাকা। এ সিদ্ধান্তের আলোকে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে থেকে ঢাকা বিভাগ বাদ পড়ায় নতুন পরিচালন বিভাগ হিসেবে সিলেটকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী ও রংপুর নিয়ে গঠিত রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পরিচালন পরিধির এলাকা কমলেও বিদ্যমান পরিচালন বিভাগ পাকশী ও লালমনিরহাট অপরিবর্তিত থাকছে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক নতুনভাবে প্রস্তাবিত বিভাগসমূহের অধিক্ষেত্র, জনবলসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পার্সোনেল শাখার মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে দ্রুত প্রেরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং জনগণের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান দুটি অঞ্চলকে ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত করার অনুশাসন প্রদান করেন। সে অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ৪ জন মহাব্যবস্থাপক নতুন চার চার অঞ্চলের প্রধান হবেন। আর তাদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন একজন করে বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক। ট্রেন পরিচালনাগত সিদ্ধান্তগুলো নেবে অঞ্চল ও বিভাগ। আর নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো দেখবে রেলের সদর দফতর তথা রেলভবন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীসেবাসহ রেল নেটওয়ার্ক বাড়াতেই ৪ অঞ্চলে ভাগ করা হচ্ছে রেলওয়েকে। ট্রেন পরিচালনা ও সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে এসব বিভাগ ও অঞ্চল। এর আলোকে রেলওয়ের জনবল কাঠামো পুনর্বিন্যাসের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?

ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাবেক সরকার ও দলের অনেক কর্মী সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের জয় এবং তার প্রশাসনের নীতিকে সমর্থন করে পোস্ট দিচ্ছেন। এ উচ্ছ্বাসের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চাপ প্রয়োগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সেই চাপ কমবে। বিশেষত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করে বাইডেন প্রশাসনের সমর্থন এবং তার সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ ট্রাম্পের নীতিতে ভিন্ন চিত্র দেখাবে বলে তাদের বিশ্বাস। এছাড়া, ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোর নীতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা মনে করছেন।

তবে সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবিরের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন আসলেও তাদের নীতিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চায় এবং বর্তমান প্রশাসনের সংস্কার কার্যক্রমের সাথেও তারা সাযুজ্যপূর্ণ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুজিবুর রহমানের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন বাংলাদেশে মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্ব বহন করে। এর প্রভাব সরাসরি কূটনৈতিক পরিবর্তন না ঘটালেও, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এটি শক্তিশালী সমর্থনের একটি বার্তা হিসেবে কাজ করে। মার্কিন সমর্থনের ধারণা রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে কোনো পক্ষ উচ্ছ্বসিত হয়, আবার কোনো পক্ষ হতাশ হয়ে পড়ে।

এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্বকে আরও একবার সামনে এনেছে, যা ভবিষ্যত রাজনৈতিক কার্যক্রম ও সমর্থনে প্রভাব ফেলতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নির্দেশনায় গঠিত এসব কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

এই কমিটির মধ্যে একটি হলো নির্বাচন আয়োজন ও পরামর্শদাতা কমিটি, যার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। ৬ সদস্যের এই কমিটি নির্বাচনী আয়োজনের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক পরামর্শ প্রদান করছে।

দ্বিতীয় কমিটি নির্বাচন আচরণবিধি প্রণয়ন ও সংশোধনের জন্য গঠন করা হয়েছে। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এই কমিটির আহ্বায়ক। ৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের প্রথম সভা সম্পন্ন করেছে এবং আচরণবিধি সংশোধনের কাজ শুরু করেছে।

তৃতীয় কমিটি গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠন করা হয়েছে। আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক এর আহ্বায়ক। এই কমিটি ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রস্তাবনা পাওয়া গেছে এবং তা পর্যালোচনা করে গঠনতন্ত্র সংশোধনের কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, এই তিনটি কমিটির সুষ্ঠু কার্যক্রমের মাধ্যমে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী
৩৩ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধ ঘোষণা
মেডিকেলের ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের