সারাদেশে সর্বোচ্চ বৈধ প্রার্থী ঢাকায়, অবৈধ কুমিল্লায়
নির্বাচন ভবন। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে এক হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
সবচেয়ে বেশি বৈধ প্রার্থী ঢাকায়। আর সবচেয়ে বেশি অবৈধ প্রার্থী কুমিল্লা অঞ্চলে। এছাড়া, বৈধ মনোনয়ন সবচেয়ে কম ফরিদপুর অঞ্চলে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।
ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন বৈধ হয়েছে ঢাকা অঞ্চলে ৩১৭টি। এই অঞ্চলে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ১১৪টি। ঢাকায় মোট মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন ৪৩১ জন প্রার্থী।
এছাড়া, সবচেয়ে কম মনোনয়ন বৈধ হয়েছে ফরিদপুরে ৮০ জন প্রার্থীর। বাতিল হয়েছে হয়েছে ২৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন। এই অঞ্চলে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন মোট ১০৩ জন প্রার্থী।
রংপুর অঞ্চলে মোট মনোনয়ন দাখিল ২৭৮টি। এর মধ্যে বৈধ মনোনয়ন ২০৯ এবং ৬৯ জনের মনোনয়ন অবৈধ। কুমিল্লা অঞ্চলে মোট মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৩৫৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২৩৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। আর ১২০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে মোট মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১৯৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৪৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলেও ১৫৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। সিলেট অঞ্চলে মোট মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১৬০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১২৫ জন প্রার্থীর আবেদন বৈধ এবং ৩৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে ইসি।
রাজশাহী অঞ্চলে মনোনয়ন দাখিল করেছেন মোট ৩৬৯ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ১১০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন এবং বৈধ হয়েছে ২৫৯ জনের।
খুলনা অঞ্চলে মোট মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৩২২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৯৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলেও মনোনয়ন বৈধ হয়েছে ২২৮ জনের। বরিশাল অঞ্চলে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১৭৩ জন। এর মধ্যে ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে এবং বৈধ হয়েছে ১৩৫ জনের।
ময়মনসিংহ অঞ্চলে মোট ৩২৭ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ৮৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে এবং ২৪৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।