দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ
ছবি সংগৃহিত
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
এর আগে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। পরে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। তবে গত জুলাইয়ে বিবিএস প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পুরুষ- ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ০০৩ জন আর নারী রয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন। দেশে ভাসমান জনসংখ্যা ২২ হাজার ১৮৫ জন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে ১১ বছরে সিটি করপোরেশন এলাকায় জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ জন রয়েছে।
জনসংখ্যার ঘনত্ব-
অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, গ্রামে বসবাস করেন মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৬০ লাখ। আর শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ। ২০১১ সালে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৭৬ জন বসবাস করেছেন। ২০২২ সালে এসে বসবাস করেছেন এক হাজার ১১৯ জন।
যারা কাজেও নাই, শিক্ষাতেও নাই এবং কোনো প্রকার প্রশিক্ষণের নাই এমন পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে কাজে নিয়োজিত রয়েছে মোট জনসংখ্যার ৩৭.২১ শতাংশ, কাজ খুঁজছে ১.৬৫ শতাংশ, কাজ করে না ২৯.৩২ শতাংশ।
বাড়ি ঘর-
দেশে কাঁচা ঘর ৬৬.১৯ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৫৮.৭৮ শতাংশে। আর পাকা ঘর ১১.৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২২.৪৬ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশে ২০০১ সালে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। আর ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার। ১৯৮১ সালে ছিল আট কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার। এ ছাড়া ১৯৭৪ সালে সাত কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন জনসংখ্যা ছিল।