বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাংবাদিক মিথিলা ফারজানাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক পদে নিয়োগ

ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সাংবাদিক, উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলাকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে শুরু করে দুই বছরের জন্য জনকূটনীতি অনুবিভাগের পরিচালক/কাউন্সেলর (গ্রেড-৫) পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার যুগ্মসচিব ড. আশরাফুল আলম সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মিথিলা ফারজানার নিয়োগের তথ্য জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

মাদককাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন তিন শীর্ষ নাট্যাভিনেত্রী!

অভেনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, সাফা কবির এবং তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত

দেশের শোবিজ অঙ্গনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নাট্যাভিনেত্রী ও মডেল মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে আলোচনার কেন্দ্রে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে সাফা কবির (আনাতোনি কেলি সাফা) ও মুমতাহিনা চৌধুরী টয়ার নাম, যাদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লেষের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এছাড়া, নাট্য জগতের আরেক পরিচিত মুখ তানজিন তিশা এবং সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েকের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লেষের বিষয়ে বিশেষ অনুসন্ধান চালাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (নারকোটিক্স)। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, যা শোবিজে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সূত্রে জানা গেছে, মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে তথ্য-প্রমাণসহ সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধির নাম বেরিয়ে আসে। একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা নিয়মিত মাদক সংগ্রহ করে আসছিলেন। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভেনেত্রী তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত

ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারকোটিক্সের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন গণমাধ্যমকে বলেন, দীপকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে আমরা কয়েকজন প্রথম সারির অভিনেত্রী ও মডেলের মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছি। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভেনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে নারকোটিক্স বলছে, মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক ছাত্র দীপের ওপর বিশেষ নজরদারি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তার গতিবিধি অনুসরণের ধারাবাহিকতায় ১৭ অক্টোবর ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন দীপ। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি ও কুসসহ বেশ কিছু মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে নারকোটিক্সের একটি বিশেষায়িত টিম দীপকে ২ দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, মাদক ব্যবসার বিষয়ে মৌখিক স্বীকারোক্তির একপর্যায়ে দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং পরীক্ষা করা হয়। এতে জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর মাদক সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, দীপের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নামে সেভ করা কয়েকটি নম্বর থেকে নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে নম্বরগুলো যাচাইয়ের জন্য ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট নম্বরগুলো সাফা কবির এবং টয়ার নামেই রেজিস্ট্রেশনকৃত। তবে তানজিন তিশার নম্বরটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তার মা উম্মে সালমার নামে।

অভেনেত্রী সাফা কবির। ছবি: সংগৃহীত

গণমাধ্যমের হাতে আসা কয়েকটি চ্যাটিং রেকর্ডে দেখা যায়, ২৩ এপ্রিল সাফা কবির তার মোবাইল নম্বর থেকে ৩টি এমডিএমএ অর্ডার দেন। এজন্য দীপের হোয়াটসঅ্যাপে তিনি সংক্ষেপে লেখেন ‘ই’ দিতে পারবা আমাকে ৩টা।’ পালটা বার্তায় দীপ লেখেন দাঁড়াও বলি। সাফা লেখেন ‘ওকে’। এরপর দীপ লেখেন কিভাবে নিবা? যাওয়ার পথে? সাফা লেখেন ‘আমি চেষ্টা করব।’

এছাড়া ৫ সেপ্টেম্বর আরেক চ্যাটিংয়ে মাদকের অর্ডার দেন অভিনেত্রী টয়া। তিনিও সাংকেতিক ভাষায় লেখেন ‘ই’ লাগবে ৫টা। ফিরতি বার্তায় দীপ লেখেন ‘ফর বাংলা ফ্রুট?’ (সম্প্রতি কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত প্রাইভেট পার্টি)। এরপর টয়া লেখেন ‘ইয়াপ (ইয়েস)।’

মাদক বিক্রির এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আরও কয়েকজন অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পীর চ্যাটিং পাওয়া যায়। এদের অন্যতম হলেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা এবং সংগীত শিল্পী সুনিধি নায়েক। চ্যাটিংয়ে সুনিধি নায়েক কয়েকটি ব্র্যান্ডের এমডিএমের প্যাকেট শেয়ার করে অর্ডার দেন।

নারকোটিক্স বলছে, ভারতীয় নাগরিক সুনিধি নায়েক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। বাংলাদেশের নামকরা সংগীত শিল্পী এবং কোক স্টুডিওর অন্যতম উদ্যোক্তা শায়ান চৌধুরী ওরফে অর্ণবকে বিয়ে করে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তবে সম্প্রতি অর্ণবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কথা বিভিন্ন মিডিয়ায় শোনা যায়।

সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েক। ছবি: সংগৃহীত

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, দীপ গ্রেফতারের পরপরই সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ তাদের মোবাইল ফোন থেকে গোপন চ্যাটিং রেকর্ড মুছে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তারা পুরোপুরি সফল হননি। গ্রেফতারের পর তাৎক্ষণিকভাবে দীপের মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এতে মাদক কেনাবেচাসংক্রান্ত চ্যাটিং রেকর্ড মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

সূত্র জানায়, বর্তমানে রাজধানীর গুলশান এবং বনানীকেন্দ্রিক ধণাঢ্য পরিবারের সন্তানদের অনেকেই এমডিএম, এলএসডি এবং কুশ নামের উচ্চ আসক্তি সম্পন্ন মাদকের দিকে ঝুঁকছে। চোরাইপথে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং থাইল্যান্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে এসব মাদকের চালান আসছে। স্ল্যাপচ্যাট, মেসেঞ্জার বা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে এগুলো বিক্রি করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোপনীয়তার জন্য বিভিন্ন সাংকেতিক নামে এসব মাদক বিক্রি করা হয়ে থাকে। যেমন এমডিএম ‘ই’ নামে, এলএসডি ‘এসিড’ এবং এক ধরনের তরল গাঁজা টিএসসি নামে কেনাবেচা হয়। ইলেকট্রিক সিগারেটের মতো ভেপ আকারে তরল গাঁজা সেবন করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা গণমাধ্যমকে জানান, এমডিএমএ পরীক্ষাগারে তৈরি এক ধরনের কৃত্রিম ওষুধ। এটি অনেক দেশে এস্টাসি বা সুখানুভূতির মাদক হিসাবে পরিচিত। এটি ইয়াবার উপকরণ মেথাএমফিটামিনের মতোই অতি উত্তেজক মাদক। এটি মানবদেহে এমন একটি শক্তিশালী প্রভাব তৈরি করে যাতে সময় এবং উপলব্ধি জ্ঞানের বিচ্যুতি ঘটে। তবে অনেক সময় এটি শান্তি, আনন্দ, সহানুভূতি এবং এক ধরনের আত্মবিশ্বাসের বর্ধিত অনুভূতি তৈরি করে।

Header Ad
Header Ad

গুম-খুনে জড়িত ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রতীকী ছবি

গুমের সঙ্গে জড়িত ২০ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানা গেছে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা একটি প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।

এতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম চলছে।

ওই ২০ কর্মকর্তা হলেন, র‌্যাবের সাবেক ডিজি মোখলেছুর রহমান, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক এডিজি জিয়াউল আহসান (বর্তমানে গ্রেপ্তার) ও কর্নেল তোফায়েল মোস্তুফা সারোয়ার, র‌্যাব-৭ এর সাবেক সিও লে. কর্নেল মেফতা উদ্দিন আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক সিও অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির (র‌্যাব-৪) ও শাহাবুদ্দিন খান (র‌্যাব-১০), র‌্যাবের সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল মাহাবুব আলম, র‌্যাব-১১-এর সাবেক সিও লে. কর্নেল কামরুল হাসান, র‌্যাব-১-এর সাবেক সিও লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সিটিটিসির প্রধান পলাতক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম ও ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, ডিবির সাবেক ডিসি মশিউর রহমান, সিটিটিসির সাবেক এডিসি তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু তাহের মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, মাহাবুবুর রহমান সিদ্দিক।

Header Ad
Header Ad

ভাইরাল ভিডিওটি ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’, ব্যবহৃত হয়েছে ডামি অস্ত্র

ছবি: সংগৃহীত

সুসজ্জিত মঞ্চের চিত্রনাট্যের দৃশ্যায়ন নয়, একেবারে যেন বাস্তব ঘটনার মতোই মনে হবে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের পোশাকসাদৃশ্য বস্ত্র দুজনের শরীরে। সেইসাথে হাতে রাইফেল নিয়ে স্লোগান।

ভিডিওতে দেখা গেছে, সুসজ্জিত মঞ্চে হাঁটু গেড়ে বসা গুটিকয়েক মানুষ। সবার পরনে সাদা পায়জামা, মাথায় টুপি। মঞ্চটির একটি কোণে সুসজ্জিত ডায়াস। ডায়াসের দু’পাশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর পোশাক সদৃশ্য পরিধান পরে দুই ব্যক্তি ‘অস্ত্র’ হাতে দাঁড়িয়ে। প্রায় একই ধরনের সাদা পোশাক পরিহিত আরেকজন ডায়াসে আরবি ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তব্যের মাঝে মাঝে ‘আল্লাহ আকবর’ স্লোগান দিচ্ছেন উপস্থিত দর্শনার্থীরাও।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অনুকরণে দেওয়া ৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের বক্তব্যের ভিডিওটি বুধবার রাতে ‘ডা. ইলিশ নজরুল’ নামে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

তবে ভিডিওটির ব্যানারে দেখা যাচ্ছে, যশোরের রাজারহাটে জামিয়া ইসলামীয়া মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুফতী লুৎফুর রহমান ফারুকী। যশোর জামিয়া ইসলামীয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, মাদরাসার বার্ষিক আঞ্জুমানের (প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের লড়াই-সংগ্রামের বিষয়টি অভিনয় করে উপস্থাপন করেছেন। এটি শুধুমাত্র অভিনয়, কোনোভাবেই এর সঙ্গে বাস্তবিক কিছু নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরতলীর রাজারহাট বিহারি কলোনি এলাকায় ২০১২ সালে যশোর জামিয়া ইসলামীয়া মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কওমি মাদরাসা হিসেবে এখানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এখান থেকে মূলত হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

মাদরাসার শিক্ষা সচিব মাকফুর রহমান বলেন, এই মাদরাসায় প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে যারা উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ-নাত, গজল ও অভিনয়ে ভালো করে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর এই মাদরাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্ররা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অভিনয় করে দেখান।

মুখ ঢাকা ‘সশস্ত্র গার্ড’ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো কাঠ ও শোলা দিয়ে তৈরি। আসলে এটি অভিনয় ছাড়া কিছু নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর এই মাদরাসা প্রাঙ্গণে আজীবন সদস্যদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মঞ্চেই বার্ষিক আঞ্জুমানের আয়োজন করা হয়। আঞ্জুমানে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ হয়। এতে যারা ভালো করে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়। বিষয়টি কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে করা হয়নি।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভিডিওটি ফেসবুকে দেখেছি। মাদরাসার ছাত্রদের একটি প্রতিযোগিতার অংশ এটি। তারা ডামি অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনয় করেছেন।

এ ব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় কালো কাপড়ে মুখ আবৃত করে বক্তৃতার ভিডিওটি ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’র দৃশ্য। যে বন্দুক হাতে দুজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সেটি সোলা আর ককশিট দিয়ে বানানো। এরসাথে জঙ্গি কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। আয়োজকদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। এতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি ঘটনাটি গুরুতর কিছু না। তারপরও এ ধরনের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য আমরা মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছি। তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাদককাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন তিন শীর্ষ নাট্যাভিনেত্রী!
গুম-খুনে জড়িত ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভাইরাল ভিডিওটি ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’, ব্যবহৃত হয়েছে ডামি অস্ত্র
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ
৫ বছর পর চালু হচ্ছে রংপুর চিনিকল, এলাকায় খুশির বন্যা
মোদির বিতর্কিত পোস্ট: যে বার্তা দিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
তনুর গ্রাফিতির ওপর পোস্টার সাঁটালেন মেহজাবীন, সমালোচনার ঝড়
ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: তারেক রহমান
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত?
তাবলিগ ইস্যুতে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী
নির্বাচনের জন্য ৬ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ
এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউলের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক
দিনাজপুরে অর্ধকোটি টাকার নিষিদ্ধ ট্যাবলেটসহ আটক ২
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
শামা ওবায়েদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
প্রধান উপদেষ্টা মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন
সাকিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ
এবার ভারতীয় পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের হুমকি
কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে