ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্ত হবে গণমাধ্যমও : পিটার হাস
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ফাইল ছবি
সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করেন এমন সরকারি দল, বিরোধী দল, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্টদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানালেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা হওয়া গণমাধ্যমের ওপরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ওয়াশিংটন।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোর বলেছে, আজ টেলিভিশন স্টেশনটির কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখানে তিনি মার্কিন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যম যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন।
বিভিন্ন ে অফিস পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে চ্যানেল ২৪-এর কার্যালয়ে যান পিটার হাস। সেখানে তিনি টকশোতে অংশ নেন।
ঠিক কতজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সে প্রশ্নে পিটার হাস বলেন, ‘কতজনের ওপর দেওয়া হয়েছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।’
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়েছিল বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না দেশটি।
ওই ঘোষণার প্রায় চার মাস পর গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ শুরুর ঘোষণা দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাদানে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এসব ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অন্য ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির আওতায় ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্য রয়েছেন।
গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যাঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে সেসব ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অন্য ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এ নীতির আওতায় ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এ ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা রয়েছেন।