কেবিনেই সিসিইউ সেটআপে পর্যবেক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। তবে পরে তাকে আবারও কেবিনে আনা হয়েছে। (সিসিইউ) সেটআপে কেবিনেই অসুস্থ খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ। গতকাল তার অবস্থার অবনতি হলে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। বিকালের দিকে তার শারীরিক অবস্থা স্টেবল হলে আবার কেবিনে নিয়ে আসা হয়। এখন কেবিনে সিসিইউ সেটআপে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক নিবিড় অবজারভেশনে আছেন।’
৭৮ বছর বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার, ফুসফুস, কিডনি জটিলতাসহ হৃদরোগ, ডায়াবেটিক প্রভৃতি রোগে ভুগছেন দীর্ঘদিন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিসকদের সমন্বয় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন।
গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উত্তরার আবদুল্লাহপুরে দলীয় সমাবেশে গতকালকেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অতিদ্রুত খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে আবারো সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজকে যখন তার (খালেদা জিয়া) জীবন-মরণ সমস্যা… তখন তাকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন বন্দি নন, এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বর নেত্রী। একবার নয় তিন বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী। এখন কারাগারে থেকেও এই অসুস্থবস্থায় এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। এই নেত্রীকে আজ তারা বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই, দেশনেত্রীর যদি সুচিকিৎসা না হয়, তাকে যদি বিদেশে পাঠানো না হয় তবে তার অবস্থা আরো অবণতির দিকে যেতে পারে।’
খালেদা জিয়ার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে অবিলম্বে তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের সুপারিশ করেছেন।