অবশেষে দুদকের জালে ধরা পড়লেন উত্তরা ফাইন্যান্সের সাবেক এমডিসহ ২ জন
প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ৪১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা করেছেন আত্মসাৎ। অর্থ আত্মসাতে একে অপরের সহযোগিতা করেছেন তারা। অবশেষে দুদকের জালে পড়লেন ধরা।
সাড়ে ৪১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামসুল আরেফীন ও নবগঙ্গা ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শংকর কুমার সাহাকে বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। পরে তাদের কোর্টে চালান করা হয়।
উত্তরা ফাইন্যান্স থেকে কোনো রেকর্ডপত্র না নিয়ে, বোর্ডে উপস্থাপন ও বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই নবগঙ্গা ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজের নামে ঋণ দেখিয়ে সাড়ে ৪১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তারা। যা পরে একে অপরের সহযোগিতায় তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তরের মাধ্যমে করেন আত্মসাৎ।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ এপ্রিল উত্তরা ফাইন্যান্সের সাবেক এমডিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক আহসানুল কবীর পলাশ। এ মামলায় অপর আসামি করা হয় নবগঙ্গা ট্রেডিং লিমিটেডের পরিচালক শম্পা রানী সাহাকে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে শামসুল আরেফিনের পাসপোর্ট জব্দ করতে দুদকে চিঠি দিয়েছিল উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। অর্থ আত্মসাতে তার সংশ্লিষ্টতা এবং যেকোনো সময় তিনি দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে দুদকে চিঠি পাঠিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়া সেই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী রহমান হক (কেপিএমজি) কর্তৃক করা অডিটে উত্তরা ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি শামসুল আরেফীনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।