যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সংকটে, আমরা সমৃদ্ধির পথে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ করোনা মহামারি আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দিশেহারা হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে। পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সংকটে পড়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধাবী নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সমৃদ্ধির পথে। এই অগ্রযাত্রায় তরুণ প্রজন্মকে বুদ্ধিদীপ্ত, সাহসী, সৃজনশীল এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বুধবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগীয় বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) সামিটের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের সেবক হিসেবে সততা, দূরদর্শিতা আর সাহসিকতা দিয়ে স্বল্পোন্নত বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। এখন আমাদের গন্তব্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর পথে। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে আমাদের তারুণ্যের শক্তি। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তির অবারিত সব খাতকে ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আমাদের দেশের মতো তারুণ্যের এই শক্তি পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই দাবি করে পলক বলেন, এই শক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে ২০৪১ সাল নাগাদ সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মাটি আর মানুষের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এদেশের মানুষকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। অপার সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। সারা দেশে ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে রাজধানীর বাইরে হাই-টেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২ হাজার ২০০ কলেজের ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ করে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের ১ লাখ ৯ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দ্রুত গতির অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের ইন্টারনেট সংযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য অপার সম্ভাবনাময় দেশের ৫ কোটি শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা, দক্ষতা সৃষ্টি করা।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞার সভাপতিত্বে বিপিও সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার, ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার জাহিদ এবং ‘বাক্য’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
আয়োজক কমিটি জানায়, গতকাল (২৩ মে) রাজশাহী কলেজে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং কর্মশালার মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সিংড়াতে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যারিয়ার কর্মশালা শেষে বিপিও শিল্পে কর্মসংস্থান তৈরিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ১০টি স্টলের মাধ্যমে সিভি সংগ্রহ করা হয়।
এসজি