ঘূর্ণিঝড় মোখা: রেড ক্রিসেন্টের সাড়ে ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ও জরুরি সহায়তায় সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। উপকূলীয় অঞ্চলের জন মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করতে প্রতিষ্ঠানটির সাড়ে চার হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরইমধ্যে মোখা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও ভাসানচরে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের মাঠে নামানো হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে প্রশিক্ষিত ইউনিয়ন ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম (ইউডিআরটি) কমিটির সদস্যদের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি প্রদান করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সরঞ্জামও। উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাইকিং করে স্থানীয় জনগণকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সচেতন করছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা।
এ ছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় বিষয়ে স্থানীয়দের অবগত করছেন তারা। টেকনাফ ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা। সমুদ্রবন্দরগুলোতে বিপদ সংকেত ও সতর্ক বার্তা প্রচারে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত বিপদগ্রস্ত মানুষদের সচেতন করতে মাইকিং করছেন তারা।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ও এর প্রভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষের জরুরি সহায়তায় প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে প্রস্তুত আছে সোসাইটির সাড়ে চার হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। এ ছাড়া তারপলিন, জেরিকেন, স্লিপিং ম্যাট, বালতি, হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী মজুত রেখেছে সোসাইটি— যা প্রয়োজনে বিতরণ করা হবে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা এর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), আইএফআরসি, আরআরআরসি এর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
কেএম/আরএ/