ঝড়বৃষ্টি কখন বাড়বে জানা গেল
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত বাড়বে।
শনিবার (১৩ মে) অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসাদুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
আসাদুর রহমান বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্র নিয়েই উপকূলের দিকে এগোচ্ছে মোখা। এই গতি অব্যাহত থাকলে শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে উপকূলে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে পরেরদিন রবিবার সকাল নাগাদ ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত বাড়বে। দুপুরে বাড়বে তাণ্ডব। তবে ঝড়ের বৃহৎ অংশ সন্ধ্যা নাগাদ আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের পুরো প্রভাব রবিবার রাতভর থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের চারপাশে বর্তমানে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকূলে আঘাতের সময় এই গতি আরও বাড়তে পারে। আরও গতি সঞ্চার করতে পারে। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সিগন্যাল বাড়তে পারে।’
‘মোখার উপকূলে ধেয়ে আসার গতি ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার। তীরে এগিয়ে আসলে গতি আরও বাড়বে। উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে এই গতি বেড়ে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হয়ে যেতে পারে,’ বলেন উপপরিচালক আসাদুর রহমান।
তিনি বলেন, মোখার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়া। তবে ঘূর্ণিঝড়ের সামগ্রিক প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলে। এরই মধ্যে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়েছে। সুপার সাইক্লোন হবে কি-না সেটি এখনো পর্যবেক্ষণের বিষয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
মোখা শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
কেএম/এসএন