কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে মহাবিপদ সংকেত
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দ্বীপগুলোতে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
শুক্রবার (১২ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জারি করা ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে,পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯০৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ১৩ মে (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ১৪০ কিলোমিটার; যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তি অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
একইভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণীঝড় মোখা সিডরের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর বিক্ষুব্ধ খুবই হয়ে উঠেছে।
এনএইচবি/এমএমএ/