ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত কোস্টগার্ড
ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্টগার্ডের সব জোন, জাহাজ, বোট, স্টেশন, আউটপোস্ট এবং ডিজাস্টার রেসপন্স অ্যান্ড রেস্কিউ টিম প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) বিকালে কোস্টগার্ডের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (মিডিয়া) আব্দুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষার্থে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কোস্টগার্ড।
উপকূলীয় দ্বীপগুলো, সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়ার পাশাপাশি কোস্টগার্ড স্টেশনে আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধনের জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জোনভিত্তিক কন্ট্রোলরুম পরিচালনা করা হবে।
দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যেকোনো সংকটকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও তথ্যের জন্য ৫টি নম্বরে ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মনিটরিং করা হবে।
এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ রবিবার (১৪ মে) দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
শুক্রবার বিকালে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে বিশেষ ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ পরিচালক এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে গতিতে ঘূর্ণিঝড় মোখা এগোচ্ছে, তাতে রবিবার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ও মিয়ানমারের উত্তর-উপকূল দিয়ে এটি অতিক্রম করতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে মোখা শক্তি হারাবে।
কেএম/এসজি