লঞ্চের অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু ১৭ এপ্রিল
ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার সুবিধার্থে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৭ এপ্রিল। ঢাকা থেকে বরিশাল এবং বরিশাল থেকে ঢাকায় ফেরার উভয় টিকিট ওই দিন থেকেই যাত্রীরা সংগ্রহ করতে পারবেন।
শনিবার (৮ এপ্রিল) ঢাকাপ্রকাশকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
তিনি জানান, ‘এবার যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১৭ এপ্রিল থেকে কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত যাত্রার দুই দিন আগের টিকিট যাত্রীরা সংগ্রহ করতে পারবেন। ২৭,২৮,২৯ বা ৩০ রমজানের টিকিট যাত্রীরা অগ্রীম সংগ্রহ করতে পারবেন। ডেকের টিকিট যাত্রার দিনই সংগ্রহ করা যাবে।’
ঈদ যাত্রায় এবার কোনো ভাড়া বাড়ানো হবে না বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা। নিয়মিত ভাড়াতেই এবার লঞ্চ চলাচল করবে।
সধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘লঞ্চের যাত্রীর সংখ্যা এননিতেই কমে গেছে। ভাড়া বাড়ানোর কোনো প্রশ্নই আসেনা। নিয়মিত যে ভাড়া আছে সেভাবেই চলবে।’
তবে ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস (ডাবল ট্রিপ) কবে থেকে শুরু হবে, তা এখনও ঠিক করেনি বিআইডব্লিইটিএ। তবে লঞ্চ মালিক সমিতি বলছে চাহিদা ও রুট অনুযায়ী স্পেশাল সার্ভিসের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দীন বলেন, ‘এখনও স্পেশাল সার্ভিসের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চাহিদা থাকলে ঈদের কয়েকদিন বিশেষ ট্রিপ চলবে। আমাদের লঞ্চ প্রস্তুত আছে।’
এদিকে ঈদ যাত্রায় লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিবারের মতো এবারও বিশেষ ফোর্সের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও যাত্রীদের নিরাপত্তায় আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। আমরা দ্রুতই সভা করে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। প্রয়োজনে বিশেষ ফোর্সের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া র্যাবও আলাদাভাবে কাজ করবে। আনসার সদস্যরাও কাজ করবে।’
বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ‘ যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিওটিএ কাজ করবে। নদী পথেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’
/এএস