স্থানীয় সরকারের আয় বাড়ানোয় জোর দেওয়া হয়েছে: তাজুল
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াতে এবং তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদে আরও লোকবল লাগবে, এটি করতে গেলে তাদের আয় বাড়াতে হবে। আয় বাড়ানোর জন্য এখানে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখানে ইউনিয়ন পরিষদের ইনকামের সোর্স একেক জায়গায় একেক রকম। সব জায়গার সম্ভাবনা এক রকম না।’
তাজুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসকরা মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেছেন, কিছু কিছু প্রস্তাবও এসেছে।
ইউনিয়ন পরিষদকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পৌরসভাকে শক্তিশালি করা এবং গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নয়ন করা যায় এ সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু সমস্যা আছে, সেখানে অবকাঠামো নির্মানে স্বাভাবিক জায়গার চেয়ে বেশি ব্যয় হয়। সেগুলোর জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দেওয়ার কথা হয়েছে।
ডিসিদের সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে তাজুল ইসলাম এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি রাষ্ট্রের সব জায়গায় সমভাবে ইনকাম জেনারেশন বা আয় বর্ধনের ব্যবস্থা নেই। কিছু কিছু জায়গায় কম হয় সেখানে যাতে সাবসিডি দেওয়া যায় সে প্রসঙ্গ এসেছে। এগুলো যৌক্তিকতার ভিত্তিতে নিস্পত্তির জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবাই মিলে কাজ করলে আমাদের লক্ষ্য উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, আমরা আমাদের লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছাতে পারব।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটি বিষয় পরিষ্কার করেছি। জনগনের আয় বাড়ানো সরকারের দায়িত্ব। জনগনের আয় বাড়লে সেখান থেকে একটি সংখ্যা সরকার নেবে রেভিনিউ হিসেবে। সেটা সকলের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।”
‘সেখানে জেলা প্রশাসকসহ তাদের স্ব স্ব এলাকায় যে সম্ভাবনা আছে সেগুলো আমাদের যাতে তারা প্রেরণ করেন। আর মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের যারা কাজ করেন, তাদের অভিজ্ঞতা আছে যেহেতু তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকেন, মানুষের কী সমস্যা আর কাজ করতে গিয়ে কী অসুবিধা হয় সবগুলো চিহ্নিত করবে। সেগুলো গ্রহণ করে আমরা একটি কম্প্রিহেনসিভ এফোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করব,’ যোগ করেন তিনি।
ইউএনওর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, সব জায়গায় একই রকম সমস্যা হয় এটা বলা যাবে না। অনেক জায়গায় ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান একসঙ্গে অনেক ভালো ভাবে কাজ করছেন। আবার কোথাও সমস্যা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে যেখানে যেখানে জটিলতা আছে সেখানে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল আর এটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনিি আরও বলেন, সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে। এখানে কোনো বিতর্ক করার সুযোগ নেই। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, শিক্ষক সবার প্রয়োজন আছে। কৃষককে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের ডেনসিটি কম ও মানুষের আয়ও কম। সেখানে হয়ত সাবসিডি দিতে হবে। আবার অনেক ইউনিয়নে শিল্প কারখানা আছে সেখানে আয় বেশি হবে। যেখানে আয় নেই সেখানে আয় বৃদ্ধি করার জন্য কী দরকার ডিসিরা যেন সরকারকে সেটা জানান সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজনীতিকদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দেশটা পরিচালিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। রাজনীতিতে নীতি তৈরি করা, আইন তৈরি করা, জনগনের দাবি আদায় করা, প্রশাসনিক কর্মকতাদের অধিকার আদায় করা সবার জন্যই রাজনীতি প্রয়োজন।
এনএইচবি/এমএমএ/