মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পিলখানা ট্র্যাজেডি: শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪ বছর পূর্ণ হলো। সেদিনের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শহীদ ৫৭ জন সেনার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনাদের কবরে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন করা হয়।

শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এর পর তিন বাহিনীর প্রধানরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রধানের পর নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ সময় স্বজনরা নারকীয় সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যকরের দাবি করেন। স্বজনরা আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পরও সে ঘটনায় করা দুটি মামলা এখনো ঝুলে আছে। পরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় নিহত শহীদদের প্রতি।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, এটা ষড়যন্ত্র, সরকারকে উৎখাত ও সরকারের ওপর আঘাত। এ ঘটনার দিন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। আমরা আশা করি এ বছরের মধ্যেই এ হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় পাওয়া যাবে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলায় ৮৪৬ জনকে আসামি করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। আর ২০১৭ সালে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।

বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেলেও ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি তোলার খরচ, অনুলিপি পাওয়ার প্রক্রিয়া, আপিলের পেপারবুক তৈরি, আদালতে সেই পেপারবুক রাখার স্থান, চূড়ান্ত বিচারের সময়সহ বিচারিক প্রক্রিয়ার নানা কারণে আপিল শুনানি শুরু হতে দেরি হচ্ছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

ওই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে হত্যা মামলার রায় হলেও ১৪ বছরেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার বিচার।

বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১ হাজার ৩৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে এই ১৩ বছরে নেওয়া হয়েছে মাত্র ২১০ জনের সাক্ষ্য। হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া এবং সাজা খাটা শেষ হওয়া ৪৬৮ আসামির মুক্তিও আটকে আছে এই বিস্ফোরক মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে।

বকশীবাজারে আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে।

আরএ/

Header Ad

হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী

সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এর ধারাবাহিকতায় বাতিল করা হয়েছে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কূটনৈতিক পাসপোর্টও। রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি শিরীন শারমিন আত্মগোপনে রয়েছেন এবং গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকায় সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

৩ অক্টোবর, তিনি এবং তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত না হয়ে তারা বাসায় বসেই আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান জমা দেন। অথচ নিয়ম অনুসারে, এসব তথ্য পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হয়।

এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানায়, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন এবং এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করছেন। যদিও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে আইনের সীমার মধ্যে থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর কাজ করে।

সাবেক এ স্পিকারের বাসার ঠিকানা হিসেবে ধানমণ্ডির একটি বাসার উল্লেখ থাকলেও সেই ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি বলে জানান রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মচারী শাহাবুদ্দীন। তিনি জানান, শিরীন শারমিন এ বাসায় থাকেন না এবং এখানে তার উপস্থিতি গত কয়েক মাসে দেখা যায়নি।

পাসপোর্ট বিষয়ক এই বিতর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই সময়ে হত্যা মামলার আসামিদের পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ করা সন্দেহজনক। এতে বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার এ ধরনের সুবিধা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং জানান, নিয়মের বাইরে কেউ এভাবে সুবিধা নিতে পারেন না। এদিকে মামলার তদন্তকারী রংপুর মহানগর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শিরীন শারমিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে এবং তার সন্ধান পাওয়া মাত্রই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Header Ad

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন। এছাড়া ওই দিন সকাল ১০টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠের কর্মসূচি রয়েছে। পাশাপাশি দিবসটি উদযাপনে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পোস্টার লাগানো এবং লিফলেট বিতরণ করা হবে।

পরদিন, ৮ নভেম্বর রাজধানীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত র‍্যালিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচিকে সফল ও সার্থক করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Header Ad

শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গত রবিবার (৩ নভেম্বর) গাড়োয়া বিধানসভা আসনের রাঙ্কায় এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

হেমন্ত সোরেন প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলো কেন? তাকে কি ভারত কোনোভাবে আশ্রয় দিয়েছে? আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির কোনো বিশেষ চুক্তি বা অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া রয়েছে কি না।”

এর আগে, বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক নির্বাচনী সমাবেশে ঝাড়খণ্ডের সরকারকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায় ক্রমশ বিলুপ্তির পথে।” অমিত শাহ আরও জানান, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নিয়ে তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে কঠোর আইন আনা হবে।

অমিত শাহের মন্তব্যের জবাবে হেমন্ত সোরেন বলেন, “কেন ঝাড়খণ্ডের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে? আমাদের রাজ্যের মানুষ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণের ভোগান্তিতে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত পাহারা দেয়া ও অনুপ্রবেশ রোধ করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট