জাতীয় বস্ত্র দিবস আজ
রফতানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হচ্ছে বস্ত্রশিল্প থেকে
আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় বস্ত্র দিবস। তৃতীয়বারের মতো সারাদেশে এই দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ বছর জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন : বাংলাদেশের উন্নয়ন’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বস্ত্র মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ খাতকে সুসংহত ও গতিশীল করার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে দেশের মোট রফতানি আয়ের সিংহভাগ বস্ত্রশিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। বস্ত্রখাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ভূমিকা রেখে চলছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে বস্ত্রশিল্প খাতকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম করে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বস্ত্র কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ বস্ত্রশিল্পকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রফতানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ নিরাপদ, টেকসই, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম বস্ত্রখাত গড়ে তুলতে ‘বস্ত্র নীতি, ২০১৭’, ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।’
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিপর্যয়ের অভিঘাতে বস্ত্রখাত রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় সাতটি সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
এপি/এসএ/