অপপ্রচারকারীদের পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
যারা অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ক্ষতি করছেন, তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধে বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘যারা বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত, যারা দেশের ক্ষতি করছে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বসবাসরত কিছু বাংলাদেশি নাগরিক। আজকের বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপপ্রচারকারীদের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কারা করছে, কী কী করছে, কোনটা রাষ্ট্র বিরোধী কাজ, সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় যে, তারা সক্রিয়ভাবে অব্যাহতভাবে রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করছে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউটিউব সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত কিছু বাংলাদেশি নাগরিক। আজকের বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপপ্রচারকারীদের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।’
মন্ত্রী জানান, ডাক বিভাগের মাধ্যমে যারা পার্সেল পাঠান তাদেরকে এখন থেকে পার্সেল পাঠাতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। যেসব পার্সেল বিদেশে যায় সেগুলো এখন থেকে ডাক বিভাগের পরিবর্তে বিমানবন্দরে স্ক্যানিং করা হবে।
বিদেশে যারা আমাদের দেশের নাগরিক যারা রেমিটেন্স পাঠান তাদের অভিনন্দন জানাই। কিন্তু সেখানেও দেখা গেছে, কেউ কেউ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে যাচ্ছেন। ‘এ রকম আমরা দেখতে পাই ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকায় বা অভিযোগ আসে সেসব দেশ থেকে। সেই সংখ্যা খুবই নগণ্য। কিন্তু এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সে জন্য আমরা বলেছি যে, সেসব দেশে আমাদের দেশের যে দূতাবাসগুলো রয়েছে তারা যেন সক্রিয় থাকেন। দেশের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেজন্য সচেতন থাকতে বলেছি।’
এনএইচবি/এসএ/এমএমএ/