প্রথম দিনে অনুপস্থিত সাড়ে ১৫ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থী
ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আটমাস পর সারা দেশে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল সাড়ে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
গত বছর পরীক্ষা না নিয়ে ‘অটোপাস’ দিলেও এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিচ্ছে সরকার।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি জানিয়েছে, প্রথম দিন সকালে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয়নি ১৫ হাজার ৫২৩ জন। অনুপস্থিতির হার ৩ দশমিক ০১ শতাংশ।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১৪ হাজার ৯৮৮ জন; অনুপস্থিতির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
সে হিসেবে ২০১৯ সালের তুলনায় শিক্ষার্থী অনুপস্থিতের হার এবার বেশি।
নভেম্বরে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অন্যান্য বছরের তুলনায় অনুপস্থিতির হার ছিল বেশি।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা এই ঝরে পড়ার পিছনে মহামারীর প্রভাবকে দায়ী করেছিলেন। করোনাভাইরাসে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা পড়ে এমন প্রতিষ্ঠানেই ঝরে পড়ার হার বেশি বলে জানিয়েছিলেন তারা।
মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও প্রথম দিনে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার বেশি থাকার তথ্য এসেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির তথ্য অনুযায়ী, প্রথমদিনের কুরআন মাজিদ পরীক্ষায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৬ হাজার ৭৫২ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬ দশমিক ০১ শতাংশ।
২০১৯ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে একই বিষয়ের পরীক্ষায় ৭৫ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ২ হাজার ৬১৪ জন।
বৃহস্পতিবার সকালে এইচএসসিতে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৫৮৭ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৪ হাজার ১৮৪ জন।
এদিকে বিকালে নয়টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ১ম পত্র (রসায়ন), সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ১ম পত্র (জীব বিজ্ঞান), খাদ্য ও পুষ্টি ১ম পত্র, লঘু সংগীত ১ম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ১৬৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষার বাইরে ছিল ৮ জন, অনুপস্থিতির হার ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে রাজশাহী বোর্ডে ৩৪ জনের ৪ জন ও দিনাজপুর বোর্ডে ১২ জনের ২ জন পরীক্ষায় বসেনি।
মহামারির কারণে এবারের পরীক্ষা হচ্ছে নতুন নিয়মে। প্রতি বছরে মতো ১২টি বিষয়ের পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের এবার দিতে হচ্ছে না। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছে তারা। তিন ঘণ্টার বদলে পরীক্ষায় সময় দেড় ঘণ্টা। প্রতি বিষয়ের নম্বর থাকছে ৫০ করে।
টিটি/