গাড়িতে আগুন দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ না: প্রধানমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে চলন্ত বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সবাইকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের বলব তোমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাও, লেখাপড়া করো। গাড়িতে আগুন দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ না। কোনো গাড়িতে আগুন দেওয়ার পর কারও ক্ষতি হলে সেই দায় তাদের নিতে হবে। তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি চালকদের সর্তকতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে।'
বুধবার (১ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন এবং জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সবাইকে সর্তক করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন কেন্দ্রে যুক্ত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
শেখ হাসিনা বলেন, 'শিশুদের লেখাপড়া করতে হবে, অভিভাবকদের কথা শুনতে হবে। রাস্তায় চলার সময় সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। রাস্তার যেকোনো জায়গা থেকে রাস্তা পার হতে গেলে দুর্ঘটনা হবে। একটা চলমান গাড়ি চট করে থামাতে পারে না, থামাতে সময় লাগে।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,‘রাস্তা পারাপারের জন্য প্রত্যেকটা জায়গা নির্দিষ্ট করা আছে। সেই নির্দিষ্ট পারাপারের জায়গা থেকেই রাস্তা পার হওয়া সমীচীন। হঠাৎ করে দৌঁড় দেবে আর দুর্ঘটনা হবে, আর দুর্ঘটনা হলেই রাস্তায় লোক নেমে গাড়ি ভাঙা, গাড়িতে আগুন দেওয়া ও পোড়ানো এটা কী ধরনের কাজ?'
তিনি বলেন, একটা দুর্ঘটনায় একজন মানুষ মারা গেছে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, তার চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা না করে লাঠিসোঠা নিয়ে নেমে পড়ল বাকি গাড়ি ভাঙা এবং আগুণ দেওয়ায়। আমার একটা প্রশ্ন এই যে আগুন দেওয়া শুরু হলো ওই গাড়িতে কি যাত্রী নাই? শিশু নাই? ছাত্র-ছাত্রী নাই? গাড়িতে আগুন দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ না। আইন হাতে তুলে নেবেন না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাড়িতে আগুন দেওয়ার পর যদি কারও ক্ষতি হয় তাহলে যারা আগুন দেবে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি গাড়ির চালক যারা তাদেরও সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে। আমাদের ঘনবসিতপূর্ণ দেশে অনেক লোকের বাস। তাই সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। এখন সব স্কুল-কলেজ খোলা। তোমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাও, লেখাপড়া করো। করোনাভাইরাস এখনও যায়নি। নতুন ওয়েভ শুরু হয়েছে। কাজেই সে রকম পরিস্থিতি হলে যেকোনো সময় স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ ছাড়া দুই সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে পর পর দুই দিন দুজন মারা যাওয়ার ঘটনায় সরকার প্রধান বলেন, প্রথমে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে একজন মারা গেল। পরদিন আবার উত্তর সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে আরেকজন মারা গেল। এর কারণটা কী? এটা খুঁজে বের করতে হবে। আর ময়লার গাড়ি যারা চালায় তারা ময়লার গাড়ি চালানোর জন্য দক্ষ কি না, সেটাও দেখতে হবে। তাছাড়া ময়লার গাড়ি যখন যায় তার সামনে দিয়ে রাস্তা পার হতে হবে কেন?
এস/এম/এসআইএইচ/টিটি