বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপন ৬ ডিসেম্বর
ছবি: জাতীয় সংসদ
ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ৬ ডিসেম্বর 'মৈত্রী দিবস' উদযাপন করতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশ-ভারতের অকৃত্রিম বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত।
ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের পরিপূরক বলে উল্লেখ করেন জাতীয় সংসদেব স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় স্পিকার মৈত্রী দিবসে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মৈত্রী দিবস, এদেশে নারীদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ৬ ডিসেম্বর 'মৈত্রী দিবস' উদযাপন করতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশ-ভারতের অকৃত্রিম বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত।
ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের পরিপূরক। এসময় স্পিকার মৈত্রী দিবসে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। পীরগঞ্জসহ সারা দেশের বিভিন্ন মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে। পীরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশে নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীরা বিভিন্ন সেক্টরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। এসময় কারিগরি প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ নানাক্ষেত্রে নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বর্তমান সরকার করেছে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে ভারতের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/এমএমএ