জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান বাংলাদেশ ও আইওএমের
বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএম আয়োজিত ‘হিউম্যান মোবিলিটি ইন দ্য কনটেক্সট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ: বিল্ডিং এ কমন ন্যারেটিভ অ্যান্ড একশন পাথওয়ে’ শীর্ষক পলিসি ডায়লগে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন সতর্ক করে বলেন, জলবায়ু অভিবাসন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গাফিলতি থাকতে পারে না। বাংলাদেশের নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ধীরে ধীরে জলবায়ু-সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন ব্যবস্থা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুখ খুলছে।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গতিপথ বজায় রাখার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য উপযুক্ত জীবনযাত্রার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সরকার যে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পলিসি ডায়ালগের সূচনা করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিশ্বব্যাপী জলবায়ু-প্ররোচিত অভিবাসীদের সমস্যা উত্থাপনে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশগুলোর পর্যাপ্ত অর্থ ও প্রযুক্তি প্রয়োজন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ার এবং ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সম্মানিত সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে সমন্বিত পদক্ষেপ, একত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি এবং জলবায়ু অভিবাসন নীতি ও পরিকল্পনার মধ্যে এম্বেড করা জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে। নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো অভিবাসী এবং তাদের পরিবারের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা ইতিবাচক হবে তা নির্ধারণ করবে।
আইওএম-এর বিশেষ দূত ক্যারোলিন ডুমাস 'গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিওনাল কনসালটেটিভ প্রসেস অ্যান্ড পলিসি ফ্রেমওয়ার্কস'-এর ওপর একটি মূল বক্তব্য প্রদান করেন, যেখানে জলবায়ু সেতু তহবিলের সচিবালয়ের প্রধান গোলাম রব্বানী একটি বিশদ ওভারভিউ শেয়ার করেন।
আইওএমের অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল, উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, আইওএম জলবায়ু অভিবাসনের জন্য একটি আহ্বায়ক সংস্থা হিসাবে কাজ করে যা অভিবাসনের বিষয়ে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কৌশলে প্রতিফলিত হয়েছে।
আরইউ/