মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঈদযাত্রায় ১২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩১১

ঈদুল আজহার আগে-পরে ১২ দিনে (৫ জুলাই-১৬ জুলাই) দেশে ২৭৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১৯৭ জন।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতের মধ্যে নারী ৪৩, শিশু ৫৮। ১৫৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১২৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৪৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন, অর্থাৎ ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।

এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১৪ টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১২৩ জন (৩৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ), বাস যাত্রী ৩৩ জন (১০ দশমিক ৬১ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-লরি আরোহী ১৬ জন (৫ দশমিক ১৪ শতাংশ), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার যাত্রী ১৮ জন (৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৫৭ জন (১৮ দশমিক ৩২), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-আলমসাধু-টমটম-মাহিন্দ্র-পাওয়াটিলার) ১০ জন (৩ দশমিক ২১ শতাংশ ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ৮ জন (২ দশমিক ৫৭ শতাংশ) নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১০৯টি (৩৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ৭৭টি (২৮ দশমিক ১০ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬১টি (২২ দশমিক ২৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৭টি (৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন

দুর্ঘটনাসমূহের ৭৬টি (২৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৯৯টি (৩৬ দশমিক ১৩ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৫১টি (১৮ দশমিক ৬১) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৪২টি (১৫ দশমিক ৩২) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৬টি (২ দশমিক ১৮) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ধরন ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ

ঈদুল আজহা উদযাপনকালে ১৫৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়-

১. অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ৩১ দশমিক ১৬ শতাংশ

২. মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২২ দশমিক ০৭ শতাংশ

৩. অন্য যানবাহন দ্বারা মোটরসাইকেল ধাক্কা/চাপায় আক্রান্ত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর এবং নিহত পথচারীদের ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছে।

২০২১ সালের ঈদুল আজহা উদযাপনকালে ৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৫ জন নিহত হয়েছিল। এই হিসেবে এ বছর ঈদুল আজহায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৮৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-লরি ১৬ দশমিক ৪২ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-জীপ ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ , যাত্রীবাহী বাস ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, মোটরসাইকেল ৩৪ দশমিক ০৯, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক) ১৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন- (নসিমন-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম-পাওয়ারটিলার) ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা ১ দশমিক ৮৭।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৪৮১টি। (ট্রাক ৩৬, বাস ৮৪, কাভার্ডভ্যান ৮, পিকআপ ১৬, ট্রাক্টর ৬, লরি ২, তেলবাহী লরি ৩, দশ চাকার লরি ১, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ১, ড্রাম ট্রাক ৬, মাইক্রোবাস ৬, প্রাইভেটকার ১১, জীপ ১, মোটরসাইকেল ১৬৪, থ্রি-হুইলার ৯৬ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৩১ (নসিমন-আলমসাধু-টমটম-মাহিন্দ্র-পাওয়াটিলার) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা ৯টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ

সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সকালে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ, দুপুরে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিকালে ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং রাতে ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ৩৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৩৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাণহানি ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ, প্রাণহানি ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৯৩টি দুর্ঘটনায় ১০৪ জন নিহত। ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম ১৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ১৭ জন নিহত হয়েছে।

একক জেলা হিসেবে টাঙ্গাইল জেলায় সবচেয়ে বেশি ২০ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, মাগুরা, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এই ৯টি জেলায় স্বল্প মাত্রার কিছু দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

রাজধানীতে ১৯টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছে।

ঈদযাত্রা ও দুর্ঘটনা পর্যালোচনা

এবারের ঈদুল আজহা উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ২৬ জন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনা ফিরতি যাত্রায় বেশি হয়েছে। গত বছরের ঈদুল আজহার চেয়ে এ বছরের ঈদুল আজহায় দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৩৭ দশিমক ৬১ শতাংশ।

গত ঈদুল আজহায় করোনা সংক্রমণরোধে মানুষের চলাচল সীমিত থাকার কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কম ছিল। তবে এটাও ঠিক, দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ক্রমাগত বাড়ছে। এই বৃদ্ধি প্রবণতার প্রধান কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বৃদ্ধি।

এবারের ঈদুল আজহায় রাজধানী ঢাকা থেকে কমবেশি ১ কোটি মানুষ ঘরমুখী যাত্রা করেছে এবং প্রায় ৩ কোটি মানুষ আন্তঃজেলায় যাতায়াত করেছে। পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ বঙ্গগামী ঈদ যাত্রা অনেক বেশি স্বস্তির ছিল এবং পাটুরিয়া-দৌলদিয়া ঘাটে যানবাহনের কোনো চাপ ছিল না।

উত্তর বঙ্গগামী সড়কে দীর্ঘ যানজট হয়েছে। ৬ ঘন্টার যাত্রা ২৫/২৬ ঘন্টায় ঠেকেছে। ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা গত ঈদুল ফিতরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও জনভোগান্তি বেড়েছে।

মোটরসাইকেল বন্ধের সুযোগে পরিবহন মালিকরা যাত্রী প্রতি ২/৩ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করেছে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে সরকার তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। মোটরসাইকেল বন্ধের কারণে যাত্রীর চাপা বেশি থাকায় পরিবহন মালিকরা তাদের অতি ভাঙ্গাচোরা যাচ্ছেতাই মার্কা যানবাহন রাস্তায় নামিয়েছে। এসব যানবাহন সড়কে বিকল হয়ে যানজট বাড়িয়েছে।

মানুষ বাধ্য হয়ে মুরগিবাহী পিকআপ ভ্যানের খাঁচার মধ্যে বসেও বাড়িতে গেছে। রাজধানীতে চলাচলকারী বহু বাস আন্তঃজেলায় চলাচল করেছে। ফলে রাজধানীতে তীব্র পরিবহন সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সুযোগে সকল প্রকার যানবাহন ব্যাপক ভাড়া নৈরাজ্য চালিয়েছে।

ঈদ যাত্রায় রেল গাড়িতে ব্যাপক শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। টিকেট কালোবাজারী ও ভাড়া নৈরাজ্য ছিল পূর্বের মতোই। নৌ-পথে অনেকটা স্বস্তি থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও ছিল।

ঈদের আগে সরকারি ছুটি কম থাকার কারণে ঘরমুখী যাত্রায় জনভোগান্তি বেশি হয়েছে। ঈদের পরে ছুটি কম থাকলেও মানুষ এক সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে ঢাকায় ফিরেছে। ফলে ফিরতি যাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক ছিল। যদিও ভাড়া নৈরাজ্য বহাল ছিল এবং এখনো চলছে।

উল্লেখ্য, ঈদযাত্রা ও ঈদ উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছে। কিন্তু যে সকল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেনি, শুধু আহত হয়েছে-সেসব দুর্ঘটনার অধিকাংশই গণমাধ্যমে আসেনি। ফলে দুর্ঘটনায় আহতের প্রকৃত চিত্র জানা যায়নি। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যে পরিমাণ মানুষ ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছে এবং নিচ্ছে তা থেকে অনুমান করা যায়, সারা দেশে আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণসমূহ

১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন;

২. বেপরোয়া গতি;

৩. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা;

৪. বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা;

৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল;

৬. তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো;

৭. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা;

৮. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা;

৯. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি;

১০ গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সুপারিশসমূহ

১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে;
২. চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;
৩. বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;
৪. পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে;
৬. পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে;
৭. যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে;
৮. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে;
৯. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে;
১০.গণপরিবহন উন্নত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে মোটরসাইকেল ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হবে;
১১. ঈদের আগে-পরে সড়ক, নৌ ও রেলপথে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে;
১২. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে;
১৩. ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জীবনে এখন নিত্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মূলত সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যস্থাপনার কারণে। এই অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। এ জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মনে করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

আরইউ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!

সালমান খান ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

তামিল পরিচালক অ্যাটলি কুমারের নতুন সিনেমা নিয়ে উত্তেজনা কমছে না। ‘জাওয়ান’-এর সফলতার পর এবার অ্যাটলি তাঁর পরবর্তী মেগাবাজেট সিনেমা নিয়ে আসছেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সালমান খানকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করবেন তিনি।

তবে এখন জানা গেছে, এই সিনেমায় থাকছেন না সালমান খান। বরং, পরিচালক এবার তার জায়গায় দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে নেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘পুষ্পা ২’ তারকা মৌখিকভাবে সবুজ সংকেত দিলেও আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনও বাকি। শুটিং শিডিউল নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে পরিচালক-অভিনেতার। আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসের মধ্যেই প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হবে পুরোদমে।

কিন্তু হঠ কেন সালমান খানকে বাদ দিতে হল? এ বিষয়ে জানা গেছে, পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে অ্যাটলি পরিচালিত এই সিনেমার প্রযোজনা করবে ডাকসাইটে তামিল প্রযোজনা সংস্থা সান পিকচার্স। যারা এই পিরিয়ড ড্রামার জন্য ৬০০ কোটির বাজেট নির্ধারণ করেছেন। আর সেই প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকেই নাকি আপত্তি উঠেছে।

সালমান খান-অ্যাটলি কুমার ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

প্রযোজক নাকি সালমানের ওপর মেগাবাজেট সিনেমার ভার ছাড়তে নারাজ। সম্ভবত ভাইজানের বিগত কয়েক বছরের বক্স অফিসের গ্রাফ দেখেই এমন সিদ্ধান্ত তাদের! আর সেই জন্যই আল্লু অর্জুনকে বেছে নিয়েছেন তারা। যে ‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দৌলতে একাই দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রিকে ৩০০০ কোটির ব্যবসা দিয়েছিল।

চব্বিশ সালের শেষের দিকেই শোনা গিয়েছিল, অ্যাটলির সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন সালমান খান। বিগ বাজেট সিনেমার স্টারকাস্টে যে দক্ষিণী পরিচালক বড় চমক দেবেন, সেই ইঙ্গিতও মিলেছিল তখন। ভারতীয় বিনোদুনিয়ার দুই মেগাস্টার রজনীকান্ত এবং কমল হাসানের নামও শোনা গিয়েছে। তবে সালমান না থাকলেও দক্ষিণের এই দুই তারকাকে দেখা যাবে সিনেমায়।

‘জাওয়ান’ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া ফেলতেই গত দুই বছর ধরে অ্যাটলি মগ্ন নতুন সিনেমাটির চিত্রনাট্য নিয়ে। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, অ্যাকশন প্যাকড সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। গত বছর দিনরাত এক করে পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে এই মেগা বাজেট সিনেমার কাজ করছেন অ্যাটলি কুমার। চিত্রনাট্যে অতীত এবং বর্তমান দুই সময়কাল ধরা হবে।

জানা গেছে, অ্যাটলি চিত্রনাট্য এমনভাবে তৈরি করছেন, যেরকম পিরিয়ডিক গল্প আগে কোনওদিন সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। কাল্পনিক জগতের আঁধারে সিনেমাতে থাকবে রুদ্ধশ্বাস সব দৃশ্য। অ্যাটলির ফ্রেমে যোদ্ধার অবতারে চমক দেবেন আল্লু। যেহেতু অতীত-বর্তমান মিলিয়ে গল্প সাজানো হচ্ছে, তাই আপাতত চিত্রনাট্যে ঘষামাঝা করতে ব্যস্ত পরিচালক।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ছবি: পিআইডি

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪’ বাতিল করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই পদকের নীতিমালা চুড়ান্ত হলেও, সেটা কাউকে দেওয়া হয়নি।

গত বছর ২০ মে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক' সংক্রান্ত নীতিমালার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল তৎকালীন সরকার।

তবে এ সংক্রান্ত কোনো পুরস্কার এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। অনুমোদনের ১০ মাসের মাথায় অন্তর্বতী সরকার সেটা বাতিল করল।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পরপর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের। পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ডলার এবং ৫০ গ্রাম ওজনের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক ও সনদ।

পৃথিবীর যেকোনো স্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি, যুদ্ধ বন্ধ ও বিরতিতে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল বাতিল হওয়া নীতিমালায়।

Header Ad
Header Ad

‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার পর ভাইরাল হওয়া সুনামগঞ্জের যুবদল নেতা হাসমত আলীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সোমবার (৪ মার্চ) রাতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সদস্য (সাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট আব্দুল হক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত নেতা হাসমত আলী দিরাই পৌর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন হাসমত আলী। বক্তব্যের শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেন, যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ প্রসঙ্গে হাসমত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, "আমি দীর্ঘদিন ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অসুস্থতার কারণে অসাবধানতাবশত এমনটা হয়ে গেছে।"

এ ঘটনা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
৬৭ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার
যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোরেলের ভেতরে পুলিশ মোতায়েন
ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি এবং পুলিশ লাইনে বন্দিশালার খোঁজ পেয়েছে গুম কমিশন