শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

গ্রামীণফোন কোম্পানির কঠোর শাস্তি চায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

গ্রামীণফোনের নিকট সরকারের পাওনা বকেয়া প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দ্রুত আদায়সহ গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সংগঠনটির পক্ষ থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রামের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের যেকোনো অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবাদ করে আসছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

এর ধারাবাহিকতায় গ্রামীণফোনের নিকট সরকারের পাওনা বকেয়া প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দ্রুত আদায়সহ গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানবন্ধন করে।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের জনগণের পাওনা বকেয়া প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দ্রুত ফেরত না দিলে গ্রামীণফোনের কর্পোরেট লাইসেন্স বাতিল করে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। গ্রামীণফোনকে অবশ্যই জনগণের টাকা দ্রুত ফেরত দিয়ে এদেশে ব্যবসা করতে হবে।

কোনো দেশি-বিদেশি করপোরেট মাফিয়াকে দেশের জনগণের টাকা লুট করতে দিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচিতে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য রাখেন।

কর্মসূচিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রোমান হোসাইন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রামের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের যেকোন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবাদ করে আসছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এর ধারাবাহিকতায় গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের পাওনা বকেয়া প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দ্রুত আদায়সহ গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। অন্যথায় আরোও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘গ্রামীণফোন বাংলাদেশের জনগণের পাওনা বকেয়া প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দ্রুত ফেরত না দিলে গ্রামীণফোনের করপোরেট লাইসেন্স বাতিল করে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। গ্রামীণফোনকে অবশ্যই জনগণের টাকা দ্রুত ফেরত দিয়ে এদেশে ব্যবসা করতে হবে। কোন দেশি-বিদেশি করপোরেট মাফিয়াকে দেশের জনগণের টাকা লুট করতে দিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের অসহায়ত্বমূলক বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে, এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত গ্রামীণফোন কিভাবে সরকারকে হাজার হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিলো। এর জবাব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকে দিতে হবে। কারণ তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তথাকথিত সুশীল ড. ইউনুস গ্রামীণফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন। বাঙ্গালি জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করে ড. ইউনুস প্রমাণ করেছেন তিনি দেশ ও জাতির শত্রু। রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অপরাধে স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর ড. ইউনুসকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

সংগঠনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, ‘একাত্তরে আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আর কোন ষড়যন্ত্র করলে ড. ইউনুসকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সমুচিত জবাব দিতে বাধ্য হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ইউনুস গংদের রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনে আমরা আবার যুদ্ধে নামবো। গ্রামীণফোনের তালবাহানা বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে জনগণের টাকা ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা খুব শিগগিরই গ্রামীণফোন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে।’

ভাস্কর্য শিল্পী রাশা বলেন, ‘গ্রামীণফোন জনগণের টাকা লুট করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কলড্রপসহ বিভিন্ন অফারের নামে গ্রামীণফোন প্রতিনিয়ত জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অনেক আগেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। বিটিআরসির দায়িত্বহীনতার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছি। গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহি করা প্রয়োজন। কারণ তারা অনেক আগেই কঠোর ব্যবস্থা নিলে এধরণের রাষ্ট্রীয় ক্ষতির ঘটনা সংঘটিত হতো না। জনগণের ১১ হাজার কোটি টাকা জরিমানাসহ দ্রুত আদায় করতে হবে। এই টাকা লুটপাটের মূলহোতা ড. ইউনুসকে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রোমান হোসাইন। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্য অভিনেতা আহসানুল হক মিনু ও সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার