বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এদেশের মানুষের জন্য যে কোনো আত্মত্যাগেই আমি প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সব সময় অধিকার বঞ্চিত, শোষিত নিপিড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে, অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। কত পরিবার কষ্ট পেয়েছে, কত মানুষ জীবন দিয়েছে, আত্মত্যাগ করেছে তার কোনো হিসেব নাই। আওয়ামী লীগ মানুষের ভাগ্য গড়তেই এসেছে। বাবা মা ভাই বোনকে হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলাম, একদিকে আওয়ামী লীগ আমাকে তাদের সভাপতি করেছিল, পাশাপাশি এদেশের জনগণ তাদের আশ্রয়ে আমি এসেছিলাম, তাদের মাঝেই আমি খুঁজে পেয়েছিলাম আমার হারানো বাবা মায়ের স্নেহ, আমার ভাইয়ের স্নেহ। তাই এদেশের মানুষের জন্য যে কোনো আত্মত্যাগেই আমি প্রস্তুতু।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন সংসদ নেতা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আওয়ামী লীগ অর্থ মাতৃভাষায় কথা বলা, আওয়ামী লীগ অর্থ স্বাধিকার অর্জন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হয়। আজ আওয়ামীলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে দলটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, শামছুল হক সাধারণ সম্পাদক আর শেখ মুজিবুর রহমান হন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন কারাগারে, কিন্তু তাকে নিয়েই এই সংগঠনটা গড়ে ওঠে পুরান ঢাকার কে এম দাশ লেনের রোজগার্ডেন।

সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এমন একটা কারণে যখন পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটি হবার পর মাত্র ৭ মাসের মধ্যে তাদের একটা বৈরি মনোভাব আমাদের পূর্ববাংলার মানুষের ওপর দেখা যায়। আমাদের মাতৃভাষা-বাংলা ভাষা কেড়ে নেবার প্রচেষ্টা, আত্মসামাজিকভাবে আমাদেরকে নির্যাতন শোষণ শুরু করে। তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশে শেখ মুজিব ‘৪৮ সাল থেকে ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ‘৪৯ সালে আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়। সৃষ্ঠি লগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশে মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ সৃষ্টির লগ্ন থেকেই সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পাকিস্তান নামের দেশটি যারা আমাদের শোষণ করছিলো, দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছি। কাজে এই বাংলাদেশ নামটি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানেরই দেয়া। আওয়ামী লীগকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা গড়ে তোলার জন্য ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে নাম দেয়া হয়েছিল পূর্ব বাংলা আওয়ামী লীগ। সকল দলমত জাতি নির্বিশেষে সবার জন্য এ দলকে উম্মুক্ত করা হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে কাউন্সিল অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে দলটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আওয়ামী লীগ নামের সঙ্গে বাংলাদেশের যেমন স্বাধীনতা, অধিকার জড়িত, মাতৃভাষায় কথা বলা অধিকার এবং বাংলাদেশ একটা যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ, যে বাঙালী মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিল, সেই যুদ্ধ বিধ্বস্থ একটি দেশ এবং একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করে একটি সংবিধান জাতির পিতা আমাদের দিয়েছিলেন, এবং অতি অল্প সময়, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশ একটি স্বল্প উন্নত দেশের মর্যাদা পেয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জীবনে যে অমানিষার অন্ধকার নেমে আসে, আমরা শুধু জাতির পিতাকে হারাইনি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সব সম্ভাবণাকেও হারিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়েছিল, জয়বাংলা স্লোগার নির্বাসিত হয়েছিল, যে স্লোগান দিয়ে লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ ২১ বছর অংশ নিয়ে বিজয় এনেছিল, তার বিষর্জন দেয়া হয়। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামটা মুছে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে এবং পরবর্তিতে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসে, এখন বাংলাদেশ বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে আমরা উন্নয়ন শীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। যদি আওয়ামী লীগ দেশের জনগনের সেবা করার সুযোগ পায় তাহলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা পাবে। সেই পরিকল্পণাও তৈরি করে আমরা দিয়ে যাচ্ছি, আমি ২১০০ সালের ডেল্টা প্লানও তৈরি করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ যাতে উন্নত সম্মৃদ্ধ দেশের মর্যাদা পায় সেই পরিকল্পনাও আমি তৈরি করেছি। এ ধারাবাহিকতা দিয়ে যদি এই দেশ চলতে থাকে এর অগ্রযাত্রা আর কেউ রুখতে পারবে না, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারে থাকি আর বিরোধী দলে থাকি-যখন দেশের মানুষ কোন সমস্যায় পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, জনগনের পাশে দাঁড়িয়েছে, সহযোগিতা করেছে। সিলেটের সুনামগঞ্জেও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সবার আগে গেছে, সাহায্য করছে। এভাবে দেশের মানুষের সেবা করাই আওয়ামী লীগের আদর্শ, দায়িত্ব কর্তব্য। মানুষের সেবা করাই আমাদের মুক্তি যুদ্ধের চেতনা, মুক্তি যুদ্ধের আদর্শ।

আমির হোসেন আমু দলের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে এদেশে পুনর্বাসিত করেছে বিএনপি। তারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়া হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নিজেদের অর্থায়নে আজ পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। এতে বোঝা যায় বাংলাদেশ আজ কারও মুখাপেক্ষী নয়। আর এটাই প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিজের বিভিন্ন স্মৃতি তুল ধরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দলটির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই। বঙ্গবন্ধু একটি লক্ষ্যে যাওয়ার জন্য রাজনীতি করেছেন। দেশকে স্বাধীন করেছেন। তিনি ফাঁসিকাষ্ঠে গিয়ে বলেছেন বাঙ্গালীদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ এক অনন্য নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাদের মাঝে ফিরে না আসতেন তাহলে আজ পদ্মা সেতু পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ আমরা শেখ হাসিনার মাধ্যমেই করতে পারবো।

এসএম/

 

Header Ad
Header Ad

রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে, আদালতের আর কিছু করার নাই। ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে একটি রিট শুনানিকালে হাইকোর্টের এক বিচারক এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান এই বেঞ্চে ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদনটি করেন। চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির আর্জিও তিনি জানান। আবেদনের শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ডেকে পাঠায় আদালত। পরে এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি এখন সরকারের ‘টপ প্রায়োরিটি’। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তারা বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

গতকাল বুধবার ইসকন কি ধরনের সংগঠন, এই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আছে কিনা, কারা এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা, তা জানতে চান হাইকোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে এ তথ্য আদালতে জানাতে বলা হয়। ওইদিন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

Header Ad
Header Ad

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ছবি: সংগৃহীত

নয় দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন এ পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।

এ সময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারনের দাবিও জানান তিনি। দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সকল আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জৈষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান। কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।

পূর্বের ন্যায় ১০০% পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।

চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছরের ০৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা, সচিবালয় কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (বামে) এবং চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য একান্তই তার নিজস্ব, যার কোনো দায়ভার ইসকন নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঘিরে ভারতের মন্তব্যে বা অবস্থানের সঙ্গেও ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি চিন্ময়কে নিয়ে কি উদ্যোগ নিলো বা কি বললো তার জন্য ইসকন দায়ী নয়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যায় ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে মিথ্যাচার চলছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায়ও ইসকন দায়ী নয়। শিশুর সঙ্গে খারাপ কাজসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে অনেক আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর বিবৃতি দেয় ইসকন। যেখানে ভারতকে আলোচনা করতে বলা বাংলাদেশের সঙ্গে। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তুললে সেখানে হট্টগোল করে ইসকনের সমর্থকরা। ভাঙচুর চালানো হয় মসজিদে। এ সময় একজন আইনজীবীকে তুলে নিয়ে কুপিয়েও হত্যা করে ইসকন সদস্যরা। যদি এসব বিষয় এখন অস্বীকার করছেন তারা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা