বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বড় বন্যার আশঙ্কা নেই

দেশে বন্যার শঙ্কা আছে। তবে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। সিলেট-সুনামগঞ্জের মত পরিস্থিতি আর হবে না। এ কথা বলছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীরণ কেন্দ্র। তারা বলছে, জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বর্তমান সিলেটের পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। এটা আরও উন্নতি ঘটবে। সামনে বড় কোন বন্যা হওয়ার আশঙ্কা আর নেই, তবে বন্যা হবে। জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত বেশি হবে তাই বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।’

সিলেট-সুনামগঞ্জ এলাকাসহ যেসকল এলাকায় বন্যার কারণ সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি বলেন, উজানে ভারী বর্ষণ ও ঢলের কারণেই বন্যা হচ্ছে। তার মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি পড়েছে। এ কারণে বৃষ্টিপাত বেশি হচ্ছে।

নতুন করে যেসকল এলাকা বন্যা কবলিত হতে পারে তার একটি ধারণা তুলে ধরে এই কর্মকর্তা বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে জুলাই-আগস্ট মাসে বন্যার কিছুটা ঝুঁকি থাকবে। নতুন করে উত্তর ও উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের কিছু জেলা প্লাবিত হতে পারে। তবে সেটা সিলেটের মতো ভয়ঙ্কর হবে না। এখন কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধসহ ওই সকল এলাকায় বন্যার পাশাপাশি নদী ভাঙন হতে পারে।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা। গত কয়েকদিন ধরে এই দুই জেলার অর্ধকোটি মানুষ পানিবন্দী। প্রায় ৮০ এলাকা তলিয়ে গেছে এই দুই জেলার। তবে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পরিস্থিতি সোমবার থেকে ধীরে ধেীরে উন্নতি করছে। অন্যদিকে নতুন করে আরও কিছু জেলা প্লাবিত হচ্ছে। এরমধ্যে মৌলভীবাবাজর, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর, জামালপুর নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এবারের বন্যার মধ্য দিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ দুই দফা বানের জলে প্লাবিত হয়েছে। মে মাসে প্রথম দফা বন্যা হয়েছিল পাহাড়ি ঢলের কারণে।

আর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমিরিটাস অধ্যাপক এবং পানি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড.আইনুন নিশাত ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বন্যা হতে পারে। বন্যা হওয়া ভালো। তবে কবে কতটুক বন্যা হবে সেটা আগাম বলা মুশকিল।’

এদিকে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা এখানেই শেষ না আরও বন্যা আসতে পারে। সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে মেঘালয়ের বৃষ্টির পানি এসে সিলেট বিভাগে হঠাৎ বড় বন্যা সৃষ্টি করেছে। এই বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা ডুবে গেছে। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ সুনামগঞ্জে। জেলাটির ৯০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। ওদিকে আসামের বৃষ্টির পানি ঢল আকারে ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। এতে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও রংপুরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ১৯৯৮ সালের জুন মাসে এর কাছাকাছি পর্যায়ের বন্যা সিলেট বিভাগে হয়েছিল। ২০১৯ সালে সুনামগঞ্জ ও সিলেট শহর বন্যাকবলিত হয়। তখন পানি স্থায়ী হয়েছিল দু-তিন দিন। কিন্তু পুরো সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হওয়ার মতো বন্যা এর আগে হয়নি।

 

এসএম/এনএইচবি/

 

Header Ad

বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের চন্দ্রার বন্ধ হওয়া কারখানার বকেয়া বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন পাওনার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন করছেন মাহমুদ জিন্স লিমিটেড নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা। এর ফলে দুই পাশের রাস্তার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পরেন যাত্রীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে চন্দ্রা মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

মাহমুদ জিন্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বকেয়া বেতনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চন্দ্রা ফ্লাইওভারের সংযোগ সড়কের উভয়পাশও অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।

শিল্প পুলিশ, বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রা মোড় এলাকায় মাহামুদ জিন্স লিমিটেড নামে একটি কারখানা আছে। এ কারখানায় কাজ করতেন ৬০০ থেকে ৭০০ শ্রমিক। বিভিন্ন সংকটের কথা বলে কিছুদিন আগে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। আজ সকালে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন–ভাতাসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী সকাল থেকেই কারখানাটির সামনে আসতে থাকেন শ্রমিকেরা। কিন্তু এর মধ্যেই শ্রমিকদের পাওনা আজ পরিশোধ করা হবে না জানিয়ে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা চন্দ্রা মোড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক বিক্ষোভ করেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শকের মো. আজাদ সাথে কথা বলে জানা যায়, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে অনেক শ্রমিক অন্যান্য জায়গায় চাকরি নিয়েছেন। কেউ কেউ এখনো বেকার। তাঁদের দুই মাসের বেতন ও অন্যান্য পাওনা আজ পরিশোধ করার কথা ছিল। সে জন্য শ্রমিকেরা সকাল থেকে কারখানার সামনে জড়ো হন। কিন্তু এর মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ পাওনা পরিশোধ করতে পারবে না মর্মে নোটিশ টাঙিয়ে দেন। এ জন্য শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক ছাড়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা মহাসড়ক ছাড়ছেন না।

Header Ad

রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা থেকে ঢাকা ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবারও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, এর আগে মাতুয়াইল ও গুলিস্তানে দুইবার দুর্ঘটনার শিকার হয় তাকে বহন কারী গাড়ি। মাতুয়াইলে আঘাত করে পালিয়ে যায় একটি ট্রাক। আবার গুলিস্তানে আঘাত করে আরেকটি মিনি ট্রাক।

এদিকে পরপর এমন কয়েকটি ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা সন্দেহ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। 

এর আগে গতকাল বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে হাসনাত ও সারজিসের গাড়িবহরের একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয় একটি ট্রাক। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

পরে চাপা দেয়া ট্রাকটিকে জব্দ করে থানায় রাখা হয়। আটক করা হয়েছে চালককেও। আটক ট্রাকচালকের নাম মুজিবর রহমান (৪০)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর গ্রামে।

Header Ad

থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অনুসন্ধান কার্যক্রম বর্তমানে থমকে রয়েছে। সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে এই তদন্ত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই বন্ধ হয়ে আছে। এর পেছনে এস আলম গ্রুপের প্রভাব এবং দেশের প্রভাবশালী মহলের সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে।

সিআইডি সূত্র জানায়, ৩১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন এবং তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আনলেও তাঁদের হঠাৎ বদলি করা হয়েছে।

বদলির পেছনে কারা?
জানা গেছে, তদন্ত প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করার উদ্দেশ্যে এস আলম গ্রুপের পক্ষে কাজ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। বিশেষ পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার্দী হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির এবং তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনকে একযোগে বদলি করা হয়। একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশেই এ বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবিরকে চট্টগ্রাম, এসএস মো. সরোয়ার্দী হোসেনকে র‍্যাবে এবং অনুসন্ধান কর্মকর্তা মনির হোসেনকে শিল্প পুলিশে বদলি করা হয়। তিন কর্মকর্তাকেই বদলি করে দেওয়ায় গত ১২ অক্টোবর থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান স্থবির। তদন্ত কর্মকর্তা এখন অনুসন্ধানের কাজ অন্য একজনকে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছেন।

সিআইডির সূত্র জানিয়েছে, এস আলম গ্রুপের অর্থ পাচার অনুসন্ধানের কাজকে প্রভাবিত করার জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের বদলির নেপথ্যে একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত বলে জানা গেছে। অভিযোগ, তিনি এস আলমের বিষয়ে অনুসন্ধান কাজে ‘ধীরে চলো’ নীতিতে এগোতে বলেছেন। তাঁর কথা না শোনায় পুরো তদন্ত দলকে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে আরও তিন-চারজন কর্মকর্তা নেপথ্যে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। দৃশ্যত এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এস আলম গ্রুপ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ ইউনিট এস আলমের পরিবার ও তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম ও অর্থ পাচারের ব্যাপকতা এত বড় যে দেশ-বিদেশ থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধান একটি জায়গায় নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। তার মধ্যে এ ধরনের হস্তক্ষেপ কাজটি আরও কঠিন করবে।

সিআইডি ইতিমধ্যে এস আলমের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির কাছে চিঠি দিয়েছে। তবে গ্রুপটি এখনো কোনো চিঠির জবাব দেয়নি। সিআইডির অনুসন্ধান কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি দেখে এই বিতর্কিত ধনকুবেরের অর্থ পাচার তদন্তের উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা।

সিআইডির মুখপাত্র ও বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান অবশ্য এ বিষয়ে বলেছেন, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাঁর কথায়, অনুসন্ধান কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় অন্য কর্মকর্তাকে কার্যক্রম বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা স্বাভাবিক।

সিআইডি প্রাথমিকভাবে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। গ্রুপটির কর্ণধার সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং দুই ছেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাসসহ ইউরোপে অর্থ পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দাবি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পাচার করা এই বিপুল অর্থ দিয়ে তাঁরা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ কেনা ছাড়াও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। তাঁদের পাচারকৃত অর্থে সিঙ্গাপুরে ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ক্যানালি লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুয়া নথি তৈরি, জাল-জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নামে-বেনামে ছয়টি ব্যাংক থেকে নেওয়া ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন। বিদেশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান (শেল কোম্পানি) খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এস আলম ও তাঁর পরিবারসহ তাঁদের সঙ্গে যুক্ত অন্যদের সহযোগিতায় এ বিশাল অঙ্কের অর্থ পাচার করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দেশের অর্থনৈতিক খাতের স্বচ্ছতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্ত কার্যক্রম সফল হতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী